বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: রক্ষকই ভক্ষক
‘শুকিয়ে’ যাচ্ছে ভ্যান
গঘের হলুদ ফুল

ফুলগুলো ‘তাজা’ রাখার জন্য নেওয়া হয়েছিল বিশেষ ব্যবস্থা। কিন্তু বেশি যত্নের চোটেই কি শেষ অবধি ‘শুকিয়ে’ যাচ্ছে ওগুলো?
ডাচ চিত্রকর ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের একটি ছবি পরীক্ষা করে এমন তথ্যই সামনে এনেছেন এক দল বিজ্ঞানী। ১৮৮৭ সালে আঁকা ছবিটির নাম ‘ফ্লাওয়ারস ইন আ ব্লু ভাস’।
একটি নীল রঙের ফুলদানিতে রাখা রয়েছে এক গোছা ফুল, যেগুলির মধ্যে উজ্জ্বল হলুদ রঙের ফুলের সংখ্যাই বেশি। বেশ কিছু দিন ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছিল ফুলগুলির উজ্জ্বল হলুদ রংয়ে কেমন যেন একটা কালশিটে পড়ছে। শুকিয়ে যাওয়া ফুলের মতো ধুসর-কমলা রং ধরছে তাতে। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল সর্ষের মধ্যেই ভূত! ছবিটি সংরক্ষণের জন্য তার উপরে যে বার্নিশের আস্তরণ লাগানো হয়েছিল, সেটাই আসলে ভক্ষকের ভূমিকায়। বার্নিশের কিছু উপাদানের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলেই এই বিপত্তি। বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়র্প বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়েন জ্যানসেন্সের নেতৃত্বে এক দল গবেষক ছবিটি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য খুঁজে বের করেছেন। ‘অ্যানালিটিক্যাল কেমিস্ট্রি’ বিজ্ঞানপত্রিকায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
১৮৮৭ সালে আঁকা সেই ছবি
সাধারণ ভাবে নিজের আঁকা ছবিতে বার্নিশ রং লাগানোটা পছন্দ করতেন না ভ্যান গঘ। বিশ শতকের গোড়ার দিকে ‘ফ্লাওয়ারস ইন আ ব্লু ভাস’ ছবিটির দায়িত্ব নেয় নেদারল্যান্ডসের ক্রোলার মুলার মিউজিয়াম। সম্ভবত তখনই তাতে বার্নিশ লাগানো হয়। হলুদ ফুলে কালশিটে পড়ার বিষয়টা মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের নজরে আসে ২০০৯ সালে। দেখা যায় একটা ধূসর আস্তরণের মতো তৈরি হয়েছে ওই অংশে। এই বিশেষ ছবিটিতে ভ্যান গঘ যে হলুদ রং ব্যবহার করেছিলেন সেটি হল ‘ক্যাডমিয়াম ইয়েলো’, যার রাসায়নিক উপাদান হল ক্যাডমিয়াম সালফাইড। এই উপাদানটি বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সাদা রঙের ক্যাডমিয়াম সালফেট তৈরি করে। ফলে ঔজ্জ্বল্য হারায় ছবির রং। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তো বার্নিশের ‘সুরক্ষাকবচ’ ছিল! তা হলে কালশিটেটা কীসের?
বার্নিশের রাসায়নিকে হলুদের উপরে কমলা-ধূসর আস্তরণ
শুরু হয় কারণ খোঁজার পালা। ছবির থেকে অতি সামান্য রংয়ের নমুনা সংগ্রহ করে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ তা পাঠিয়ে দেন জ্যানসেন্সের কাছে। নমুনাগুলি শক্তিশালী এক্স রে-র সাহায্যে পরীক্ষা করেন জ্যানসেন্সরা। তাতে ছবির আসল রংয়ের (ক্যাডমিয়াম ইয়েলো) এবং বার্নিশের স্তরের সংযোগস্থলের রাসায়নিক উপাদান ধরা পড়ে। তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় কালশিটের আসল কারণটা। দেখা যায় ক্যাডমিয়াম সালফেটের লেশমাত্র নেই নমুনায়। পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত আর এক বিজ্ঞানী জেরাল্ড ফ্যালকেনবার্গের কথায়, “বার্নিশের উপাদানগুলির সঙ্গে বিক্রিয়া করে ক্যাডমিয়াম সালফেট। তৈরি হয় অ্যাংলেসাইট এবং ক্যাডমিয়াম অক্সালেট।” এই দু’টি যৌথ ভাবে একটা কমলা-ধূসর আস্তরণ ফেলে দেয় হলুদ রংয়ের উপরে।
ভ্যান গঘ
হলুদ ফুলের তোড়া ‘শুকিয়ে যাওয়া’-র পিছনে এটাই কারণ বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এই পরীক্ষার ফলাফলে খুশি আমস্টারডামে ভ্যান গঘ মিউজিয়ামের সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান এলা হেনড্রিকস। তাঁর কথায়, “অতীতে ভ্যান গঘের বহু ছবিই যথেচ্ছ ভাবে বার্নিশ করা হয়েছে। সেগুলো তুলে ছবিগুলো আসল চেহারায় ফেরানোটা সংরক্ষকদের কাছেই একটা চ্যালেঞ্জ। ছবির সংরক্ষণ তো আসলে একটা জটিল রাসায়নিক পদ্ধতি। তার ফলাফল মাথায় রেখেই কাজ করতে হয়। সে দিক থেকে জ্যানসেন্সদের পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভ্যান গঘের বিভিন্ন ছবি আরও ভাল ভাবে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে এর ফলাফল খুবই কাজে আসবে।”

বিজ্ঞান শিক্ষণ
বিজ্ঞান শিক্ষণ শিবির।
মেদিনীপুর বিবেকানন্দ যুব মহামণ্ডলের উদ্যোগে এক যুব শিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল রবিবার। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ (বালক) চত্বরে অনুষ্ঠিত এই শিবিরের উদ্বোধন করেন খড়্গপুর আইআইটি’র প্রাক্তন অধ্যাপক সুকুমার মাইতি। সব মিলিয়ে ২৫০ জন যুবক এই শিবিরে যোগ দেন। মনোসংযোগ, চরিত্রগঠন ও চরিত্রের গুণাগুণ-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের বিভিন্ন দিক উঠে আসে। প্রসঙ্গত, এ বছর বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষ। এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক স্বদেশ কুমার মাইতি-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

শক্তিশালী তারা
সূর্যের থেকে ২০ হাজার গুণ বেশি মাধ্যাকর্ষণ আর ৩৫ গুণ বেশি ভরের নক্ষত্র এনজিসি ১৬২৪-২র আবিষ্কার হয়েছে। ২০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.