কাজে বেরিয়ে ‘নিখোঁজ’, রহস্য
কাজে বেরিয়ে এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। রবিবার শিলিগুড়ি থানার ক্ষুদিরামপল্লির বাসিন্দা নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রী মুনমুন চক্রবর্তী সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার পিছনে তাঁর দোকান ভাড়াটিয়ার হাত রয়েছে। ভাড়াটে উচ্ছেদ নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে ঘটনার দিনকয়েক আগে অভিযুক্ত তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। নিখোঁজ ব্যক্তির নাম সুপ্রিয় চক্রবর্তী। তিনি দোমাইলে একটি বেসরকারি কারখানায় ফোম তৈরির কাজ করতেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি কাজে বেরোন। তার পরে আর বাড়ি ফেরেননি। ৫ সেপ্টেম্বর মুনমুন দেবী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শুক্রবার তিনি ভাড়াটিয়া সঞ্জয় ঘোষের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন। শিলিগুড়ির ডেপুটি কমিশনার ও জি পাল বলেন, “ওই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শীঘ্রই ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে বলে আশা করছি।” বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন শিলিগুড়ির পুরসভার চেয়ারম্যান নান্টু পাল। তিনি বলেন, “পুলিশ যাতে সকলের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত নিখোঁজ রহস্য উদঘাটন করে সে আর্জি জানিয়েছি।” সঞ্জয়বাবুর স্ত্রী সাবিত্রী দেবী জানান, গত শুক্রবার থেকে তাঁর স্বামীও নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার স্বামীর নামে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে। শুক্রবার আমাকে ফোন করে বাড়ি আসতে পারবে না বলে জানায়। তার পর থেকে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি।” পুলিশ সূত্রের খবর, ক্ষুদিরামপল্লি সব্জি বাজারে একটি তিন তলা ভবনের উপরের তলায় সুপ্রিয়বাবু পরিবার নিয়ে থাকেন। নিচতলায় তাঁর একটি ছোট দোকান রয়েছে। গত প্রায় দশ বছর ধরে দোকানটি সঞ্জয়বাবু তাঁর স্ত্রীর নামে ভাড়ায় নিয়ে চালাচ্ছেন। বর্তমানে সেখানে একটি সেলুন রয়েছে। সম্প্রতি দোকানটি নিজেরা ব্যবহার করবেন বলে ভাড়াটিয়াকে উঠে যেতে বলেন সুপ্রিয়বাবু। কিন্তু সঞ্জয়বাবু দোকান ছাড়তে না চাওয়ায় দু’জনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে একটি মামলাও করেন সঞ্জয়বাবু। গত এপ্রিল মাসে ট্রেড লাইন্সেস তৈরিতে সঞ্জয়বাববু সুপ্রিয়বাবুর সই জাল করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে পুরসভায় লিখিত অভিযোগ করেন সুপ্রিয়বাবু। ওই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য সঞ্জয়বাবু তাঁকে খুনের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সাবিত্রীদেবী দাবি করেন, ওই দোকানটি বিক্রি করার জন্য অন্য একজনের কাজে বরাত নিয়েছিলেন সুপ্রিয়বাবু। তার পর থেকে তাঁদের তুলে দেওয়ার চেষ্টা হয়। তিনি বলেন, “সুপ্রিয়বাবু ১০ লক্ষ টাকায় দোকানটি অপর একজনের কাজে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা ওই টাকাই দিতে চেয়েছি। তার পরেও মানছেন না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.