|
|
|
|
|
|
পর্দার বাইরে বিদিতা বাগ-এর মুখোমুখি হলেন পথিক পণ্ডিত |
|
আপনি নাকি এই মুহূর্তে বি-টাউনের ‘স্পাংক চিক’? কীসে সাহসী?
বিদিতা: স্পাংক আমার চরিত্রে রয়েছে। আমার ফিল্মি রোলেও রয়েছে। আমি আজ অবধি যা যা ছবি করেছি সবেতেই সাহসী ব্যাপারটা রয়েছে। স্পাংক তো থাকতেই হবে, না হলে হবে কী করে, তাই না।
‘ইচ্ছে’ রিলিজের ঠিক এক বছর পর আপনার হিন্দি ডেবিউ ‘ফ্রম সিডনি উইথ লাভ’ রিলিজ করল। আপনি কি বছরে একটির বেশি ছবিতে অভিনয় করবেন না ঠিক করেছেন?
বিদিতা: না, না, তা কেন। আমি তো প্রচুর ছবিতে অভিনয় করি। কিন্তু আমার ছবিগুলো যে রিলিজ করতে এত সময় নেয়, আমি কী করি বলুন তো? এই মুহূর্তে আমার পাঁচটা বাংলা ছবি ও আরও একটি হিন্দি ছবি রেডি। তার মানে এখন থেকে যদি ছবিগুলো মাসে একটা বা দু’মাসে একটা রিলিজ করতে থাকে, তবে সারা বছর আমার ছবি দেখতে পাবেন।
আপনাকে তো কঙ্গনা রানওয়াত এবং দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গেও তুলনা করছে। আপনার স্ট্র্যাটেজি কি ওদের জায়গা দখল করা?
বিদিতা: না বাবা, আমি কারও জায়গা দখল করব না। আমি নিজের জায়গা বানাবার চেষ্টা করছি। তবে আমার জায়গাটাও কাউকে দখল করতে দেব না। আর, শুধু কঙ্গনা বা দীপিকা না, কেউ কেউ আবার সানি লিওনের সঙ্গেও তুলনা করছেন!
|
|
কিন্তু, পর্ন স্টার সানি লিওনের সঙ্গে তুলনাটা কী কারণে, বুঝলাম না।
বিদিতা: আসলে আমার ‘ফ্রম সিডনি উইথ লাভ’ ছবিটা সানি লিওনের ‘জিসম-২’র সঙ্গে একই দিনে রিলিজ হওয়ার কথা ছিল। বোধ হয়, সেই কারণেই লোকজনকে বলতে শুনেছি, সানি লিওনের সঙ্গে নাকি আমি পাঙ্গা নিয়েছি। আমি চাই অ্যাক্টিং স্কিল দেখাতে। জামাকাপড় খুলে দাঁড়িয়ে যাওয়া, এটা তো নতুন কিছু নয়।
আপনি যদি সানি লিওনের মতো সাহসী রোল পান, তবে অন স্ক্রিন এক্সপোজ করবেন?
বিদিতা: বিদ্যা বালন যদি সিল্ক স্মিতার রোল করতে পারে, আমি কেন সানি লিওন করতে পারব না? আমি তো অভিনয়টা করতে পারি। সব ধরনের রোল মানিয়ে নেওয়াটাই আমার পেশা।
মডেলিং-এ সুযোগ আসে কী ভাবে?
বিদিতা: ইলেভেন-টুয়েলভ পড়ার সময় পোর্টফোলিয়ো বানিয়ে সার্কুলেট করছিলাম। তো আমার ছবি পড়ে যায় প্রবীরকুমার দের হাতে। তার পর আমার ছবি দেখায় সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়, কিরণ উত্তম ঘোষকে। একই সপ্তাহে ওই দুই বড় ডিজাইনারের জন্য আমি শুট করি। মডেল হয়ে যাই।
তা হলে আপনাকে সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় এবং কিরণ উত্তম ঘোষই লাইমলাইটে এনেছেন?
বিদিতা: বলতে পারেন। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’, ‘উনিশকুড়ি’, ‘সানন্দা’র অবদানও কোনও অংশে কম নয়।
‘ফ্রম সিডনি উইথ লাভ’-এর পরিচালক প্রতীক চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ হল কী ভাবে?
বিদিতা: উনি ফেসবুকে যোগাযোগ করেছিলেন। ভেবেছিলাম কেউ হয়তো মশকরা করছে। বলেছিলাম, সিনপসিস কই, স্ক্রিন প্লে? সেটাও ই-মেলে পাঠিয়ে দিলেন। তখন মুম্বই গিয়ে যোগাযোগ করি।
আপনার জন্ম হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে। কেমন কেটেছিল মেয়েবেলা? বাড়িতে কে কে আছেন?
বিদিতা: হ্যাঁ। আমার ছোটবেলায় বিভিন্ন রকম ফেজ গিয়েছে। ছোটবেলায় সবার যেমন স্বপ্ন থাকে আমারও ছিল। কখনও ভাবতাম আইসক্রিমওলা হব, কখনও বা ভাবতাম কল্পনা চাওলার মতো আকাশে পাড়ি দেব। অভিনয় করার ইচ্ছেও ছিল। কিন্তু হঠাৎ যে পুরোপুরি অ্যাক্টর হয়ে যাব, ভাবিনি। বাবা-মা আর দিদা থাকেন সাঁতরাগাছির বাড়িতে। দাদা থাকেন দিল্লিতে। আমি মুম্বইতে। পড়াশোনা— সাঁতরাগাছি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ক্লাস টেন, ইলেভেন-টুয়েলভ ফোর্ট উইলিয়াম কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকনমিক্স।
মডেলিং-এ এলেন, বাড়িতে আপত্তি করেনি?
বিদিতা: আপত্তি একটু ছিল, বাবার। দাদা দিল্লি স্কুল অব ইকনমিক্স-এর অধ্যাপক, বাবা চাইতেন পড়াশোনা করে ও রকমই কিছু একটা হই। আমার মাথায় সিনেমার ভূত চাপবে, পুরোপুরি অ্যাক্টিংয়ের দিকে চলে যাব, ভাবতে পারেননি।
অভিনয়ে এলেন কী ভাবে?
বিদিতা: একটা সময় প্রচুর অভিনয় করার চেষ্টা করেছি, কোথাও পাত্তা পাইনি। টেলিফিল্মে, সিরিয়ালে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। কেউ তখন নেয়নি। তার পরে খুব বিরক্ত হয়ে চলে এসেছিলাম মুম্বই, তখন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ‘ইচ্ছে’ ছবিটা করার জন্য। এক সপ্তাহ ওয়ার্কশপ করি। তখন বুঝতে পারি, অভিনয়টা পারব। তার আগে মুম্বইতে টিভি কমার্শিয়ালে কাজ করেছি।
প্রদীপ সরকার, সুজিত সরকারদের মতো বড় বড় পরিচালকের সঙ্গে টিভি কমার্শিয়াল করেছেন। ওঁদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
বিদিতা: খুউব ভাল। ওঁদের সঙ্গে কাজ করে খুঁটিনাটি অনেক কিছু শিখেছি। সুজিত সরকার ‘ইচ্ছে’ দেখে খুব প্রশংসা করেছিলেন।
অভিনয় শিখেছেন কারও কাছে?
বিদিতা: না। আমার মনে হয়, অভিনয়টা শেখা যায় না। নিজের মধ্যে থাকতে হয়।
কলেজ জীবনে প্রচুর ঝাড়ি করতেন না?
বিদিতা: যাদবপুরে একটা ছেলে তিন-চারটে মেয়ের সঙ্গে ঘুরত। ঝাড়ি করার জন্য ছেলে পাইনি। পেলে করতাম।
প্রেমের প্রস্তাব পেতেন?
বিদিতা: না। কেউ প্রোপোজ করেনি, কলেজেও না, স্কুলেও না। এখন যে ক’টা প্রোপোজাল আছে, ফেসবুকের মারফত।
প্রেম তা হলে আসেনি?
বিদিতা: না, না, প্রেম আর এল কই?
|
|
|
• খবরে প্রকাশ, বিধাননগর পুরসভা ডেঙ্গি প্রতিরোধে ঢাক বাজিয়ে প্রচার চালাবে। তাই এ বার বোধ হয় সল্ট লেকের মশারা গুনগুনিয়ে গাইবে— ঢাকের তালে কোমর দোলে, ‘ডেঙ্গি’তে নাচে মন...
দেবব্রত ঘোষ। সল্ট লেক
•
আপনার জ্বর জ্বর ভাব? ডাক্তারবাবু রক্ত পরীক্ষা করতে দিয়েছেন? তবে প্রার্থনা করুন, যেন আপনার রিপোর্টটি ‘পজিটিভ’ (ডেঙ্গি) হয়; কারণ আমরা কোনও ‘নেগেটিভ’ পছন্দ করি না!
ল্যাংড়া সরকার। বর্ধমান
•পুজোয় চাই নতুন মশারি!
হীরালাল শীল। কলেজ স্ট্রিট
• দিদি বুনিয়াদপুরে চার কিমি পথ পায়ে হেঁটে বিরোধীদের কি বোঝাতে চাইছেন, যে তাঁর সরকারের বুনিয়াদ কতটা শক্ত?
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া
• গাওস্কর জানিয়েছেন বয়স সচিনের ফুটওয়ার্ক মন্থর করে দিয়েছে। অথচ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মিছিলে রাজপথে কমরেড বিমান বসুর গতিসম্পন্ন ‘ফুটওয়ার্ক’ দেখে তো পশ্চিমবঙ্গবাসী থ!
শোভনলাল বক্সী। লেক গার্ডেন্স
• এত দিন জেনে এসেছি ‘গঙ্গা যাত্রা’ মানে বাই বাই জগৎ সংসার। কিন্তু বিজেপির অগ্নিকন্যা উমা ভারতী অচিরেই দেখাতে চলেছেন ‘গঙ্গা (সমগ্র) যাত্রা’ করে কী ভাবে নতুন করে রাজনীতির অলিন্দে প্রবেশ করতে হয়! উ, মাগো, বলিহারি যাই!
গৌতম মুখোপাধ্যায়। খড়দহ
•অলিম্পিকে সোনা পায়নি ৩১টি দেশের মধ্যে ভারত সবার আগে। নিন্দুকেরা কি জানে, ফার্স্ট শুধু প্রথম দিকেই হয় না, শেষের দিক থেকেও এক জন ফার্স্ট হয়!
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর
•পঞ্চায়েত সেল, শিক্ষা সেল, পরিবহণ সেল সরকারের বিভিন্ন ‘সেল’ তৈরি হলেও চার্জার তো একটাই!
প্রতীপ বেরা। গোপালপুর
•
পুলিশ-প্রশাসন, কেউই যখন কিছু করতে পারছে না, তখন আসন্ন শারদোৎসবে দুর্গতিনাশিনীর কাছেই প্রার্থনা করতে হবে ধর্ষক-অসুরদের দমনের জন্য!
বিউটি দাম। মালদা
•
শুধু বারাসত নয়, গোটা রাজ্যেই এখন (নারী) ‘বিকাশবন্ধু’র বড় অভাব!
ভবসিন্ধু সর্দার। ছোট মোল্লাখালি
•
বাগদা হাতে বাঙালি: একেই বলে ইলিশের স্বাদ চিংড়িতে মেটানো!
কাজী পারভেজ। হরিণঘাটা
•
ময়দানের কথা বলতে পারব না, এটুকু জানি ভালই লাফাতে পারে ‘সোনা’!
সোমা দত্ত। ভান্ডারকোলা |
|
|
সৌমিত্র মিত্র |
একটি কাব্যনাট্য লিখবেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়, তাতে যুক্ত হবে রবীন্দ্রসঙ্গীত। তার পর একটি অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হবে সেই কাব্যনাট্যটি। বর্ধমানের কাছে কানাইনাটশাল বাংলোয় সপরিবারে আমার এবং শক্তিদার যাওয়ার দিন স্থির হল। কাব্যনাট্য সেখানেই লেখা হবে, কবির প্রিয় জায়গা। যাওয়ার দিন সকালে শক্তিদার বাড়ি গিয়ে দেখি বাবুই, তাতার, মীনাক্ষীদি তৈরি, কিন্তু শক্তিদা সকালে বাজার করতে বেরিয়ে উধাও। আমি মুনমুনকে রেখে শক্তিদার খোঁজ করতে বেরিয়ে পড়লাম।
শক্তিদার ডেরাগুলো আমার সবই জানা। কাছেই সমরেশ বসু, সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, আয়ান রশিদের বাড়ি, কোথাও শক্তিদাকে পেলাম না। শেষে ভরদুপুরে বালিগঞ্জে দ্বারিক মিত্র-র বাড়িতে খোঁজ পাওয়া গেল। সাদা পানীয় সেবনে টইটম্বুর তিনি। ধরে-বেঁধে বাড়িতে নিয়ে এলাম। পর দিন যাওয়া স্থির হল। কানাইনাটশাল বাংলোতে পৌঁছে শক্তিদার কাব্যনাট্য লেখায় আর মন নেই। গল্প, বাজার করা, আর খুনসুটিতে মেতে রইলেন। শেষমেশ লিখতে বসলেন। আদুড় গায়ে উপুড় হয়ে শুয়ে লিখতে ভালবাসতেন। আমাকে বললেন, ঘণ্টা দুই সময় দে। সকালের খাওয়া শেষ করে, আমরা শুনতে বসলাম সেই কাব্যনাট্য শীত বসন্তের সংলাপ। শীতকুমারী ও বসন্তকুমারের সংলাপের ফাঁকে ফাঁকে রবীন্দ্রসঙ্গীত।
বাইরে হিমেল হাওয়া, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জলদমন্দ্র কণ্ঠস্বর
এসো নীলাঞ্জন মেঘ
পিঁড়ি পাতা আছে
দু’দণ্ডের জন্য বসো
যদি হাতে থাকে সময়
জানো প্রবাসিনী
দু’দণ্ড সুখের চেয়ে
দুঃখ খুবই বড় অবিনাশী।
বার্নপুরে একটি অনুষ্ঠানে প্রথমে পরিবেশিত হয়েছিল কাব্যনাট্যটি।
সে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। |
|
|
প্রাণ বাজি রেখে কাজ করছিল ওরা,
দেওয়ালির রাতে ফুটবে তারার আলো।
জানত না আরও অনেক প্রহর আগে,
জীবনে নামবে মরণ আঁধার কালো।
গরিবের প্রাণ বাজির মতোই পোড়ে,
তাতে কী বা আসে যায়।
ঘুঁটের মালাটি বাজি মালিক,
পরুক তার গলায়। |
|
|
কয়লা কেলেঙ্কারি: লক্ষ কোটি বার
ধুলেও
কয়লা থেকে ময়লা যাচ্ছে না!
মানসকুমার রায়চৌধুরী, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ |
|
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
আমরা আমাদের জীবনের সুখ-দুঃখ একসঙ্গে ভাগ করে নিতাম। সে বার শিক্ষক দিবসে আমি কাউকে না জানিয়েই ঠিক করলাম যে, হেড মিস্ট্রেসকে একটা উপহার দেব। সেই মতো একটা সুন্দর পেন কিনলাম। সকালে স্কুলে গিয়ে বন্ধুকে পেনটা দেখালাম। বন্ধুটি বলল, ও একদম ভুলে গিয়েছে। আমি যদি একা উপহার নিয়ে যাই তা হলে ও সংকোচে পড়বে। ওর কথা শুনে দু’জনের নামেই উপহারটা দেব ঠিক করলাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হল। স্টেজে উঠে দিদিকে উপহার দিতে কেমন লজ্জা বোধ করলাম। বন্ধুটি বুঝতে পেরে বলল, তুই তো ভয় পাবি, দে তোর নাম করেই বড়দিকে উপহারটা দিই। সরল মনে ওকে পেনটা দিলাম। স্টেজে একসঙ্গেই উঠলাম। ও কিন্তু নিজের নামেই দিদিকে উপহারটা দিল। বন্ধুর এই আচরণে আমি খুবই আঘাত পেলাম। তার পরেও আমি ওর সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলেছি। কিন্তু কোনও দিন আর ওকে বিশ্বাস করতে পারিনি। শমিলা গুহ,
মুর্শিদাবাদ |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
|
|
|
|
|
|
|