|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
বিড়াল ছানার বড় হওয়া |
বাড়ির পোষা বিড়ালটির লাল-সাদা-কালো রঙের তিনটি সুন্দর বাচ্চা হল জানলার বক্সে। ন্যাংড়া পেতে বাচ্চাগুলোকে সঙ্গে সঙ্গে তার উপর রাখা হল। বিড়ালটি বাচ্চাগুলোর গা চেটে চেটে পরিষ্কার করে দিল এবং দিন-রাত ওদের শুধু দুধ দেয় আর নজর রাখে। বাচ্চাগুলো শুধু নড়াচড়া করে আর মিঁ মিঁ ডাকে। পনেরো দিন পর থেকে ওরা হাঁটতে শিখল অল্প এবং চোখ ফুটল। এক মাস পর থেকে ওরা নিজেদের মধ্যে খেলা শুরু করল। অল্প ভাত-মাছ খেতে লাগল। আর ওদের মা গলা মুখে করে বাড়ির মধ্যে নানা জায়গায় রাখতে লাগল। এক দিন ওর মা একটা ইঁদুর মেরে এনে ওদের দিয়েছে আর ওরা মাংস খাবার চেষ্টা করছে। তিন মাস পর থেকেই দিনে-রাতে পাশের বনে শিকার করা শেখাতে নিয়ে যেত। এখন ওরা ইঁদুর, মাকড়সা, ঝিঁঝিঁ পোকা, ফড়িং ইত্যাদি মেরে খায়।
অর্কদীপ বিশ্বাস। চতুর্থ শ্রেণি, সেন্ট স্টিফেন্স স্কুল |
|
|
কবুতরের বাসা |
আমাদের বাড়ির কাছেই একটা দেবদারু গাছ আছে। সেখানে একটা কবুতর বাসা বেঁধেছে। প্রতিদিন আমি লক্ষ করি ওখানে ও ছোট ছোট শুকনো ঘাস, ছেঁড়া ন্যাকড়া ইত্যাদি নিয়ে যাচ্ছে। বুঝলাম, ওর বাচ্চা হয়েছে। তাদের যত্নের জন্যই এত আয়োজন। বাবা এক দিন গাছের ডাল কাটতে উঠল। ওই গাছে পাখির বাসা আছে। তাই বারণ করলাম। বাবা আমার কথা রাখল। এখন দেখি কবে ছানাগুলি বাসা থেকে বেরোয়।
সুমনা পাহাড়ী। কে জি-থ্রি, বিশ্বনাথপুর নার্সারি স্কুল, পটাশপুর |
|
|
পাখির দল |
বাড়ির ছাদে সকালে চা-বিস্কুট নিয়ে বসলেই কয়েকটি ছাতারে পাখি চলে আসে। পরের দিন দেখলাম একটা-দুটো দোয়েল পাখিও এল। এখন দেখি কালো কুচকুচে কয়েকটা কাক এসে হাজির। কাকগুলো ওদের খাবার কেড়ে খেয়ে নিচ্ছে। কারণ, ওরা তো বাচ্চা কাকেদের সঙ্গে পেরে ওঠে না।
কিঞ্জন সেন। ষষ্ঠ শ্রেণি, কালনা হিন্দু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|