|
|
|
|
বিপাকে যাত্রীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
বেসরকারি পরিবহণ কর্মীরা কর্ম বিরতির ডাক দিয়ে সভা করায় শুক্রবার ময়নাগুড়িতে নিত্য যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠল। এ দিন ছোট বড় কোনও বাস রাস্তায় নামেনি। এমনকী বন্ধ ছিল অটো পরিষেবাও। বাসের খোঁজে যাত্রীদের এক স্ট্যান্ড থেকে অন্য স্ট্যান্ডে দৌড়ে বেড়াতে হয়েছে। যদিও বেসরকারি পরিবহণ কর্মীদের যৌথ সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক সিরাদ আহমেদ বলেন, “আমরা পরিষেবা বন্ধ করিনি। কর্ম বিরতি পালন করেছি মাত্র। ময়নাগুড়ির বাইরের সমস্ত বাস চলেছে। বাস ধরার জন্য যাত্রীদের সাহায্য করা হয়েছে।” মূলত বেতন ও পুজো বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে আলোচনার জন্য এ দিন কর্ম বিরতির ডাক দিয়ে স্থানীয় বাস টার্মিনাস চত্বরে বেসরকারি পরিবহণ কর্মীদের নিয়ে সভা করে যৌথ কমিটি। সভায় অন্তত ১ হাজার বেসরকারি পরিবহণ কর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি। |
|
ময়নাগুড়িতে পরিবহণ কর্মীদের সভা। ছবি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক। |
তাঁরা জানান, কর্মীরা সভায় যোগ দেওয়ায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুশো বাস, অটো রাস্তায় নামেনি। এ দিনের সভায় কর্মীদের বেতন ও বোনাস ছাড়াও উঠে আসে বেহাল জাতীয় সড়কের প্রসঙ্গ। বাস কর্মীরা দ্রুত রাস্তা মেরামতের দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তাব দেন। যৌথ সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক বলেন, “রাস্তার বেহাল দশার জন্য কর্মীরা অসুস্থ হচ্ছেন। বিকল বাসের সংখ্যা বাড়ছে। মজুরি মিলছে না।” এ ছাড়াও ময়নাগুড়ি শহরের ফুটপাত জবরদখল মুক্ত করা, বাসস্ট্যন্ডে শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থার দাবিও সংস্থার তরফে জানানো হয়। যৌথ সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্ব জানান, সভায় উঠে আসা বিষয় নিয়ে ফের আলোচনায় বসে তাঁরা আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবেন। কিন্তু সভায় স্থান পায়নি নিত্য যাত্রীদের ভোগান্তির কথা। টার্মিনাসে যখন সভা চলছে তখন স্ট্যান্ডের যাত্রীরা অভিযোগ করেন, পরিষেবা চালু রেখে সংগঠনের নেতারা কর্মীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারতেন। কিন্তু তা হয়নি। ফলে শিলিগুড়িতে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় থেকেও বাস মেলেনি। যদিও যৌথ সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্ব ভোগান্তির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁদের দাবি, “ময়নাগুড়ির বাইরের বিভিন্ন এলাকার বাস চলাচল করেছে। তাই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছতে সমস্যা হয়নি।” |
|
|
|
|
|