শনিবারের নিবন্ধ ১
মা তোমাকে একটা কথা বলার আছে
লখাবার দিতে গিয়ে মেয়েকে তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন পারমিতা। তিন দিন কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। পৃথিবীটা দুলছিল। রাই নিজেই তার পর মায়ের সামনে এসে চোখে চোখ রেখে বলেছিল, “সত্যিটা অ্যাকসেপ্ট করো মা। শুধু সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন দিয়ে আমাকে বিচার কোরো না। আমি সেই তোমার রাই-ই আছি। সেখানে কিছু বদলায়নি।”
যতটা সহজ বলা, করাটা অবশ্যই নয়। সত্যিটা বড্ড কড়া। চোখের সামনে দেখতে হবে মেয়ে আরেকটা মেয়েকে নিয়ে দরজায় ছিটকিনি দিল! দেখতে হবে, আমার ছেলে অন্য একটা ছেলের হাত ধরে ঘুরছে। মেনে নিতে হবে, তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত ধ্যানধারণা, মূল্যবোধ তাতে দিশেহারা হবেই। আমার মেয়ে কি তা হলে পুরো মেয়ে নয় বা আমার ছেলেকে কি আর ছেলে বলা যাবে না, এই ভাবনাগুলো সব কিছু গুলিয়ে দেবে। পর পর কতগুলো চিন্তা ধাক্কা দিতে থাকবে আমার মেয়ের বা ছেলের বিয়ে হবে না। তার কোনও যৌন সঙ্গী হলে সে সমলিঙ্গের হবে। তার কোনও দিন ছেলেমেয়ে হবে না। এর পর আসতে থাকবে আরও প্রশ্ন। আত্মীয়স্বজনের কাছে কী বলব? কী ব্যাখ্যা দেব? সবাই আঙুল তুলবে, হাসবে, সমাজে কী করে মুখ দেখাব?
অদ্ভুত একটা ‘সেন্স অফ লস’ বা ‘সব হারানো’র অনুভূতি চেপে বসতে থাকে সেই সব অভিভাবকের মনে। বেশির ভাগ অভিভাবক চূড়ান্ত অবসাদে ভুগতে থাকেন। একটা অংশ আবার কিছুতেই বিষয়টা মেনে নিতে না-পেরে পাগলের মতো বিভিন্ন অবাস্তব পথ হাতড়ে বেড়ান।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রথমা চৌধুরী, মনস্তাত্ত্বিক মোহিত রণদীপেরাই জানালেন, এইরকম অবস্থায় কেউ ছেলে বা মেয়ের মানসিক কাউন্সেলিং করাতে চান, এমন লোকও আছেন যাঁরা সরাসরি ছেলেমেয়েকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে ভর্তি করে দিয়েছেন। বারণ করলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেছেন। তার উপর তাবিজ-কবজ-জ্যোতিষী তো আছেই। নিখিল আদবানি নির্দেশিত ‘কাল হো না হো’ ছবিতে শাহরুখ-স্যাফ জুটি স্রেফ সমকামীর অভিনয় করতেন আর তাঁদের দেখেই আতঙ্কে, ঘেন্নায় কান্তাবাইয়ের আধমরা হওয়ার মতো অবস্থা হত। এটাই এখনও পর্যন্ত সমকামীদের প্রতি সমাজের একটা বড় অংশের মানসিকতার সারৎসার। তাই ছেলে সিনেমায় গে-র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বলে বাবা-মা তাঁকে ত্যাজ্যপুত্র করেন। ক্রিকেটের এক শীর্ষকর্তার ছেলে অভিযোগ জানান, গে বলে তাঁর বাবা তাঁর উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন। ছেলে ছেলের মতো হবে আর মেয়ে মেয়ের মতো এই চেনা ছক এলোমেলো হলেই ছকবন্দি মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত জীবনে অবধারিত সুনামি।
কলকাতারই এক মেয়ের লেসবিয়ান হওয়ার কথা জানতে পেরেছিল তার দাদা-রা। তার পর নিজের দাদা ও খুড়তুতো দাদা মিলে একবছর ধরে মেয়েটিকে পালা করে ধর্ষণ করে। অজুুহাত দেয়, এতে নাকি পুরুষের প্রতি মেয়ের যৌন আকর্ষণ বাড়বে। মেয়েটিকে অবশ্য এর পর আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়। অন্য একটি ছেলেকেও একই কারণে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন তাঁর বাবা। চিকিৎসকেরা যত বোঝান যে, এটা রোগ নয়, এটা এমন একটা বাস্তব সত্যি যা মেনে নিতে হবে, বাবা তত বেঁকে বসেন। এর কয়েক মাস পরে সেই বাবা এসে ডাক্তারদের জানিয়েছিলেন, তিনি যৌনকর্মীদের সঙ্গে কয়েক বার ছেলেকে সহবাস করিয়েছেন। এতেই নাকি প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে তাঁর ছেলে পুরোপুরি ‘ছেলে’ই রয়েছে। তাই তিনি ছেলের বিয়েও ঠিক করে ফেলেছেন।
চিত্রাঙ্গদার গল্প মনে পড়ে যাচ্ছিল। রাজা চেয়েছিলেন ছেলে, হল মেয়ে। প্রকৃতির ইচ্ছের তোয়াক্কা না-করে রাজা তখন নিজের কাঙ্ক্ষিত লিঙ্গ-ইচ্ছেকে চাপিয়ে দিলেন মেয়ের উপর। তাকে মানসিক ভাবে ছেলে করে তুলতে চাইলেন। যুদ্ধ করা, শিকার খেলা শেখালেন। সেই শিকারে গিয়েই অর্জুনের সঙ্গে দেখা। প্রকৃতি যাবে কোথায়, মেয়ের আবার সত্যিকারের মেয়ে হতে ইচ্ছে করল। চিত্রাঙ্গদা সুরূপা হলেন। ২০১২ সালের ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চিত্রাঙ্গদা’-ছবির নায়কও সপাটে বললেন, ‘‘চিত্রাঙ্গদা তো একটা ইচ্ছের গল্প। আমি ইচ্ছেমতো আমার লিঙ্গ বাছাই করতেই পারি!’’

ফার্স্ট এড
নিজেকে নিজে বোঝান, এটা একটা স্থায়ী প্রবণতা বা স্বভাব যা চিরকাল স্থায়ী হবে। এই কঠিন সত্যটা মানতেই হবে
সন্তানের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। তাকে বোঝার চেষ্টা করুন, বন্ধু হন
লোকে জিজ্ঞাসা করলে কী বলবেন তার একটা স্পষ্ট উত্তর তৈরি করে রাখুন
আত্মীয়স্বজনকে সত্যি কথাটা বলুন। বুঝিয়ে দিন, বাস্তবটা মানতে পারলে যোগাযোগ থাকবে, নয়তো নয়
আপনার সমকামী সন্তান অনেক বেশি দিশেহারা, একা। মা-বাবার অসহযোগিতা তাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলতে পারে
যৌন পরিচয় মানুষের একমাত্র পরিচয় নয়। সমকামী হলেও আপনার সন্তান আপনারই রয়েছে
পরামর্শ— মনোরোগ চিকিৎসক প্রথমা চৌধুরী ও মনোবিদ মোহিত রণদীপ

কিন্তু এই ‘আমি’-র অস্তিত্ব তো সব সময় একা আমি-কে নিয়ে নয়। তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ‘আমি’-র আত্মীয়, বন্ধু, সমাজ। তাই ঋতুপর্ণর চিত্রাঙ্গদার নায়ককে প্রশ্ন করতে হয় “হাইপোথেটিক্যালি ধরা যাক, অর্জুনোত্তর পর্বে চিত্রাঙ্গদা নারী বেশে রাজা অর্থাৎ তাঁর বাবা-র সামনে উপস্থিত হলেন। তখন তাঁর সেই ‘নিউ রিফাইন্ড আইডেন্টিটি’ কতটা মানতে পারবেন তাঁর বাবা?”
হয়তো এখনও তাঁরা ব্যতিক্রমী, এমন অনেক অভিভাবক রয়েছেন, যাঁরা বিষয়টিকে গ্রহণ করার প্রসারতা দেখাতে পেরেছেন। পছন্দমতো লিঙ্গে বাস করার ছকভাঙা সিদ্ধান্তে নিজের ছেলে বা মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
শুরু করা যাক এক সেলিব্রিটিকে দিয়ে। বিক্রম শেঠ। ইংরেজি সাহিত্যের প্রথিতযশা লেখক। তাঁর মা প্রাক্তন আইনজীবী লীলা শেঠ তাঁর আত্মজীবনী ‘অন ব্যালান্স’-এ ছেলের যৌনতা নিয়ে খোলাখুলি লিখেছেন। বিক্রম উভকামী জানার পর ‘শকড্’ হয়েছিলেন। ভয়ঙ্কর চিন্তা হয়েছিল। তার পর কী ভাবে পুরোটা সামলেছিলেন, ছেলের সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছিলেন, লিখেছেন সবটাই। জানিয়েছেন, বইটা পড়ে কয়েক জন মহিলা তাঁকে ফোন করেছিলেন। তাঁরা স্বীকার করেছেন যে নিজেদের ছেলে বা মেয়ের সমকামিতার ব্যাপারটা তাঁরা ভুল ভাবে ‘হ্যান্ডেল’ করে ছেলেমেয়েদের দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন।
তিন বছর আগের কথা। ২০০৯ সালের ২ জুলাই। ঐতিহাসিক রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সমকামিতার উপর থেকে ‘অপরাধ’-এর তকমা তুলে নেওয়া হল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় সমকামিতা বা প্রকৃতিবিরুদ্ধ যৌন সম্পর্ক অপরাধ হিসাবে গণ্য হত। কোর্ট বলল এর ফলে সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার স্বাধীনতা ও সকলের সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে তা সমকামীদের ক্ষেত্রে খর্ব হচ্ছিল।
এক ধাক্কায় সেই ‘অপরাধ’-এর পরিচয় মুছে যেতেই রাগে ফেটে পড়লেন কট্টরপন্থীরা। হাইকোর্টের রায় পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন। পাশাপাশি একই সময়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে অন্য চারটি ‘অভিনব’ আবেদন জমা পড়ল। অভিনব কারণ, ওই চারটির মধ্যে একটি আবেদন দায়ের করেছিলেন সমকামী, ট্রান্সজেন্ডরড, বাইসেক্সুয়ালদের ১৯ জন অভিভাবক। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বীণা গুহঠাকুরতা, মমতা জানা, বিজয়লক্ষ্মী রায়চৌধুরীর মতো মায়েরা। তাঁরা চেয়েছিলেন, দেশের অন্য নাগরিকদের মতো নিজের পছন্দমতো যৌন সঙ্গী নির্বাচন ও তাঁর সঙ্গে জীবন কাটানোর অধিকার যেন তাঁদের সমকামী সন্তানদেরও থাকে। এই বাবা, মা-রাই মূল শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের সন্তানের যৌন অস্তিত্ব খোঁজার লড়াইয়ে।

বীণা গুহঠাকুরতার কথা
তীর্থঙ্করের সঙ্গে তাঁর মা বীণা গুহ ঠাকুরতা
মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারের গৃহবধূ। বিয়ের পর ঘর সামলেছেন, একটু-আধটু রাজনীতি করেছেন আর ছেলে মানুষ করেছেন। শতকরা নব্বই ভাগ মধ্যবিত্ত বাঙালি বউয়ের যেমন দিন কাটে, জীবনটা সেই রকমই ছক মেনে কাটছিল। তাল কাটল তখন যখন একমাত্র ছেলে তীর্থঙ্কর জানালেন, তিনি সমকামী, গে। পুরুষ হয়েও তিনি পুরুষে আসক্ত। অন্য এক পুরুষকে ভালবাসেন।
নিজের বাড়িতে তীর্থঙ্করের পাশে বসেই বীণাদেবী বলছিলেন, “মনে হয়েছিল চারপাশে সব আলো নিভে গিয়েছে। মনে হয়েছিল, কেন আমার সঙ্গেই এটা হল! কী করে আত্মীয়-সমাজ-পাড়ায় মুখ দেখাব! টানা এক সপ্তাহ ভেবেছি, কেঁদেছি, আবার ভেঙেছি। তীর্থঙ্করের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেছি। তার পর একটা সময় শান্ত হয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ছেলের পাশেই থাকব।”
অনেকগুলো বছর পেরিয়ে যিনি এখন নিজের সমকামী ছেলের সোচ্চার সমর্থকই নন, সমকামী মানুষ ও তাঁদের পরিবারের লোকজনের কাউন্সেলারও বটে। যিনি দাপটের সঙ্গে বলেন “হ্যাঁ আমার ছেলে ‘গে।’ চোর-ডাকাত তো নয়। তাঁকে নিজের ইচ্ছামতো জীবন কাটানোর অধিকার দিতে হবে।” আত্মীয়-প্রতিবেশীদেরও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ছেলের জন্য কারও অসুবিধা থাকলে তাঁদের বাড়ি আসার বা সম্পর্ক রাখার দরকার নেই।

বিজয়লক্ষ্মী রায়চৌধুরীর কথা
পড়াশোনায় দুর্দান্ত ছিলেন অনীশ। অনীশ রায়চৌধুরী। রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। সবাই এককথায় বলত, ‘রত্ন’। বাবা-মা কল্পনাতেও আনতে পারেননি, ভিতরে-ভিতরে অনীশ তখন নিজের যৌন অস্তিত্বটাই হাতড়াচ্ছে। বুঝতে পারছে না, তাঁর ছেলে হয়ে থাকা উচিত, না মেয়ে! কথাটা অনীশই একদিন মা বিজয়লক্ষ্মী দেবীকে বলেন লোডশেডিংয়ের সময় ছাদে শুয়ে, খানিকটা নাটকীয় ভাবেই। মানসিক ধাক্কায় টানা এক সপ্তাহ বিজয়লক্ষ্মীদেবীর কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল! রোগগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। টেলিফোনে নিজেই বলছিলেন, “শরীর যেন হাড়ের উপর চামড়া হয়ে গিয়েছিল। শুধু ভাবতাম, কেন এমন হল! তার পর এক সময় মনে হল, অনীশ তো কোনও দিন আমাদের অসন্মানিত করেনি। তা হলে আমরাও বা কেন ওঁর ভাবনাকে সন্মান দেব না?” সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো আবেদনে বিজয়লক্ষ্মী দেবী ও তাঁর স্বামী প্রমথনাথ চৌধুরী দু’জনেই সই করেছিলেন।

মমতা জানার কথা
মা মমতা জানার সঙ্গে পুত্র জয়দীপ
শ্রীরামপুরের মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারের বউ মমতা। দুই ছেলে। জয়দীপ বড়। ছোটবেলা থেকেই ছেলেটা একটু মেয়েলি। বড় হওয়ার পর মমতা একদিন জয়দীপকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোনও শারীরিক অসুবিধা আছে কিনা, তা হলে ডাক্তার দেখানো যাবে। জয়দীপ তখন সব খুলে বললেন।
মমতার কথায়, “মাথাটা টলে গিয়েছিল। প্রথমেই মনে হয়েছিল, বাড়ি ভর্তি লোকজন, আত্মীয়স্বজনকে কী বলব। নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধ, কথাবার্তা চলল প্রায় দিন পনেরো। তার পর ভাবলাম, ও কারও অসুবিধা তো করছে না। অন্য সবার মতোই ঘরে-বাইরে কাজ করছে, সবাইকে সাহায্য করছে, সুস্থ আচরণ করছে। ব্যক্তিগত জীবনে যদি নিজের মতো থাকতে চায়, থাক না। এইটুকু অধিকার ওর আছে।” মমতাও সই করেছেন কোর্টে পাঠানো সেই আবেদনে।
আজ থেকে ১৬ বছর আগে দিল্লির আদিত্য আডবাণী একদিন তাঁর মা-কে বলেছিলেন, “মা, আমি গে।” মা প্রথমে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। তার পর বলেছিলেন, “তুমি চাইলে আমরা উপযুক্ত পাত্র চেয়ে পেপারে বিজ্ঞাপন দিতে পারি। তাতে তুমি যে গে সেটা আলাদা করে লেখা থাকবে। আমরা চাই তুমি তোমার জীবন তোমার ইচ্ছায় কাটাও।” এর কিছু দিনের মধ্যেই আডবাণীদের সুন্দরনগরের বাড়ির ড্রয়িং রুমে পার্টনার মিখাইল টোর-এর সঙ্গে ছোট পারিবারিক অনুষ্ঠান করে আদিত্যর বিয়ে হল। বাবা-মা, সমস্ত আত্মীয়স্বজন তাতে ছিলেন। বিয়ে দিয়েছিলেন পারিবারিক গুরুদেব। ২০০৮ সালে সিয়াটেলে এই রকমই অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয়েছিল আরেক ভারতীয় গে কাপল-এর। তাতে নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় সাড়ে চারশো লোক।
যৌন অস্তিত্ব খোঁজা মানুষগুলোর আসল ইচ্ছাপূরণের শুরু হোক এই ভাবে পরিবারকে দোসর পেয়ে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.