ভাঁড়ারে টান, তাই বরাদ্দে
দেরি উন্নয়নের নানা কাজে
 
• ময়নায় কংসাবতী নদীর উপর পাকা সেতু তৈরি হয়েছে কয়েক বছর আগেই। কিন্তু সেতু সংলগ্ন পশ্চিম দিকে পাকা সড়ক তৈরি হয়নি এখনও। ময়নায় কংসাবতী ও কেলেঘাই নদীর সঙ্গমস্থলে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?

ময়নায় কংসাবতী সেতু সংলগ্ন পশ্চিম দিকে সড়ক তৈরির জন্য আগে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে তার কিছুটা পরিবর্তন করতে হয়েছে। এর জন্য খরচ অনেক বেশি হবে। রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বর্তমান আর্থিক সংকটের জন্য সেই অর্থ বরাদ্দে কিছুটা দেরি হচ্ছে। ময়নার কংসাবতী ও কেলেঘাই নদীর সঙ্গমস্থল ঢেউভাঙা এলাকা ছাড়াও নরঘাট, গেঁওখালি, হরিখালি, পঁচেট, মন্দারমণি প্রভৃতি জায়গাগুলিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

• মহিষাদলের গেঁওখালিতে একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসার ভাল ব্যবস্থা নেই। মহিষাদল গ্রামীণ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের অবস্থা খারাপ। গেঁওখালির নদীপথে গাদিয়াড়া ও নুরপুরে যাওয়ার ফেরিঘাটে কোনও জেটি না থাকায় যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে দুর্ভোগ হয়। ওখানে জেটি তৈরি করলে খুবই উপকার হয়।

গেঁওখালিতে ১০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মহিষাদল গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতির জন্য ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করা হয়েছে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে মহিষাদল সংলগ্ন জাতীয় সড়কের ধারে অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টার গড়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। গেঁওখালিতে জেটি না থাকায় সমস্যার কথা আমরা জানি। ওখানে জেটি তৈরি করা হবে।
ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।
পাঁশকুড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম সব্জি বাজার থেকে বছরে কয়েক লক্ষ টাকা আয় হয় জেলা পরিষদের। কিন্তু ওই বাজারের আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। ন্যূনতম পরিকাঠামোটুকুও নেই বাজারে। পাঁশকুড়া থেকে কোলাঘাটে রূপনারায়ণ পর্যন্ত মেদিনীপুর ক্যানেল মজে গিয়েছে। ওই খাল সংস্কারে কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কি?

পাঁশকুড়া সব্জিবাজার নিয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সেই কারণে উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা থাকলেও কার্যকরী করা যাচ্ছে না। আশা করছি শীঘ্রই আইনি জটিলতা কেটে যাবে। তারপরই ওখানে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। মেদিনীপুর ক্যানেলের মত বড় খাল ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে সংস্কার করা সম্ভব নয়। সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ওই খাল সংস্কার করা হবে।

জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে বেনিফিসিয়ারি কমিটি গঠন করা হচ্ছে না। ফলে কাজের যথাযথ নজরদারি হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি কেন? শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার জন্মস্থান হোগলা গ্রাম ও কর্মস্থল আলিনান গ্রামে যাতায়াতের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। ওই রাস্তার কাজ কবে হবে?


বেনেফিসিয়ারি কমিটি গঠন না করা হলেও কাজের বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েই থাকে। শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার গ্রামে যাতায়াতের রাস্তা সংস্কারের কাজ গ্রাম সড়ক যোজনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শীঘ্রই কাজ হবে।

জেলার গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলিতে বহু পদ শূন্য রয়েছে। এর ফলে গ্রন্থাগার পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। ওই শূন্য পদ পূরণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি? জেলার সর্বত্র অনুমতি ছাড়াই যন্ত্রচালিত ভ্যান রিকশা চলছে। এদের নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা আছে কী?


জেলায় গ্রন্থাগারগুলিতে ১৪২টি পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ৩৭টি পদে নিয়োগের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাকি পদে নিয়োগের জন্য অনুমোদন চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যন্ত্রচালিত ভ্যান রিকশাকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি পরিবহন দফতরের। তাই এই নিয়ে এই মুহূর্তে আমরা কিছু ভাবছি না।

তমলুক থেকে কোলাঘাট পর্যন্ত রূপনারায়ণ নদীবাঁধের পাকা সড়কে মথুরী ও নুন্নান খালের উপর পাকা স্লুইস গেট তৈরির কাজ তিন বছরেও সম্পূর্ণ হল না কেন?


মথুরীর কাজ অনেকটাই হয়েছে। মূলত ঠিকাদার সংস্থার গড়িমসিতেই ওই কাজ ব্যাহত হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.