পুজোর এখন ঢের দেরি। কিন্তু এরই মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে জলঙ্গির দূষণ রোধ করার চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছে কৃষ্ণনগর পুরসভা। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা জলঙ্গির জলে দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। মূলত কদমতলা ঘাটেই বিসর্জন হয়। এই সব প্রতিমা নদীর গভীরতা কমায়। প্রতিমার বিচালি, কাপড় পচে দূষণ ছড়ায় জলে। তাই প্রতি বছরই শহরবাসী জলঙ্গির দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কিন্তু বিসর্জন পর্ব মিটে গেলেই সকলেই ভুলে যান দূষণের কথা। এ বছর পুরসভা অনেক আগে থেকেই এই দূষণ রোধ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। কংগ্রেসের পুরপ্রধান অসীম সাহা বলেন, “জলঙ্গি নদীর দূষণের ব্যাপারটি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। নদী দূষণ রোধ করার ব্যাপারে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে শুরু করেছি।”
পুরসভার তথ্য বলছে গত বছরই কদমতলা ঘাটে ৭০টি দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হয়। দুর্গাপুজোর এক মাস পরেই আসে জগদ্ধাত্রী পুজো। এরই মাঝে হয় কালীপুজো। এ সব পুজোর প্রতিমারও বিসর্জন ঘটে জলঙ্গির জলে। এর ফলে নদীর জল দূষিত হয় বলে দাবি পরিবেশপ্রেমীদের।
পুরপ্রধান অসীম সাহা বলেন, “দূষণের বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর প্রতিমা দ্রুত বিসর্জনের পাশাপাশি জল থেকে কাঠামোগুলিকেও সত্ত্বর সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর জন্য অন্য বছরের তুলনায় পুরসভা অনেক বেশি কর্মী নিয়োগ করবে। কাঠামোগুলিকে সরানোর কাজে ক্রেনের ব্যবহার করা হবে।”
উদ্বিগ্ন শহরবাসী অবশ্য সাধারণের মানুষের সচেতনতার উপরেই ভরসা করছেন বেশি। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা স্বদেশ রায় বলেন, “কেবল পুরসভার উদ্যোগই যথেষ্ট নয়। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষ ও পুজো কমিটির কর্তাদেরও বিশেষ ভাবে সচেতন হতে হবে।” |