কয়েক দিন ধরে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্যালাইন এবং বেশ কিছু ওষুধ না-মেলায় বিপাকে পড়েছিলেন রোগীদের অনেকেই। মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজখবর করেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। কেন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ভারপ্রাপ্ত সুপার এবং উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে তা জানতে চেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এর পর মন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয়ভাবে এ দিনই ওই সমস্ত ওষুধ এবং স্যালাইন কিনে আনা হয় রোগীদের জন্য। হাসপাতালের ওই সমস্যা নিয়ে এ দিন ভারপ্রাপ্ত সুপার রঞ্জিত ভগতকে স্মারকলিপি দেয় ডিওয়াইএফ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “৪/৫ দিন ধরে হাসপাতালে কয়েকটি ওষুধ, স্যালাইন ছিল না। ওই সমস্ত ওষুধ, স্যালাইন কিনতে স্বাস্থ্যভবন থেকে টেন্ডার করা হয়েছে। যারা সরবরাহ করবেন তারা দেরি করায় সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় ভাবে সে সব কিনে পরিস্থিতি সামাল দিতে বলা হয়েছে।” |
গৌতমবাবু জানান, কয়েক বছর আগে এই হাসপাতাল জেলা হাসপাতালের পর্যাদা পেলেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে তা নথিভুক্ত হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নথি পাঠিয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে। তা হলে অন্যান্য জেলা হাসপাতালের মতো এ ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের সাহায্য পাবেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের তহবিল থেকে স্যালাইন এবং ওষুধ কেনার টাকা খরচ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফেও ৫ লক্ষ টাকা রোগী কল্যাণ সমিতিকে দেওয়া হবে। হাসপাতাল সাফাইয়ের জন্য পুর কর্তৃপক্ষের কাছেও সহযোগিতা চাওয়ার কথা ঠিক হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায়। এ দিন হাসপাতালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী যাওয়ার ঠিক আগে ডিওয়াইএফ তাদের সংগঠনের পতাকা নিয়ে মিছিল করে হাসপাতালে ঢুকে স্মারকলিপি দিতে গেলে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল, দুলাল দত্ত, জয়দীপ নন্দীরাও হাসপাতালে যান। দীপক শীল, রথীন বসু, মিলন দত্তের মতো নেতারাও পৌঁছন। |