স্বপ্ন-উড়ানে ওঁরা হারালেন আংশিক পক্ষাঘাতকেও
প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম সেরিব্রাল পালসি বা আংশিক পক্ষাঘাত। সেই লড়াইয়ে জিতে সুমন্ত বাসুকি আপাতত ইনদওরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট বা আইআইএমের পড়ুয়া।
কিংবা মালিনী চিব। জন্ম থেকেই সেরিব্রাল পালসিতে গোটা শরীর অকেজো। একমাত্র হাতের কড়ে আঙুলটা ঠিকঠাক নাড়াতে পারতেন। তা দিয়েই টাইপ করে লিখে ফেললেন গোটা একটা বই, ‘ওয়ান লিটল ফিঙ্গার’।
ছোটবেলায় সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত কলকাতার সায়মদেব মুখোপাধ্যায়। ওরফে ডেনের গল্পটাও প্রায় একই রকম। ওকে দেখে অনেকে আফসোস করেছেন, দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন। বছর সাতেক আগেও কথা বলতে পারতেন না। ৩২ বছরের ডেন এখন সুপরিচিত রেডিও জকি।
সেরিব্রাল পালসি
জয়ী সায়মদেব
বিশ্বের প্রথম ‘সেরিব্রাল পালসি দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সেরিব্রাল পালসি’ বা আইআইসিপি-তে আয়োজিত অনুষ্ঠান এঁদের মতো বহু জীবনযোদ্ধাকে একত্র করেছিল। আইআইসিপি-র ডেপুটি ডিরেক্টর শুভ্রা চট্টোপাধ্যায় জানান, এ বার থেকে প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার বিশ্ব জুড়ে সেরিব্রাল পালসি দিবস পালিত হবে। মূল উদ্দেশ্য, সেরিব্রাল পালসি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, এই রোগে আক্রান্তদের জন্য নীতি নির্ধারকদের দিয়ে কিছু নীতি প্রণয়নের বন্দোবস্ত করা এবং আক্রান্তদের জীবনধারণ আরও সহজ করার পন্থা খোঁজা। গোটা কার্যক্রমে ভারতের দূত নিযুক্ত হয়েছেন মালিনী চিব।
লড়াইটা কত কঠিন এবং সেটা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মনটাকে কত উঁচু তারে বাঁধতে হয়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের হয়ে যেন সেটাই বলে গেলেন ডেন। বললেন, “কখনও মানতে চাইনি, নিঃশেষ হয়ে যাব। ১৯৮২ থেকে যুক্ত হই আইআইসিপি-র সঙ্গে। ২০০৫-এর নভেম্বরে শুরু হয় চিকিৎসা।” তাতে কিছু সাড়া মেলে। ‘ইগনু’ থেকে ইংরেজিতে বিএ পড়ছেন ডেন। গত ১৪ নভেম্বর একটি এফএম চ্যানেলে যুক্ত হন রেডিও জকি হিসেবে। ডেনের বেতার অনুষ্ঠান কতটা জনপ্রিয়, এ দিনের অনুষ্ঠানে তা শোনাচ্ছিলেন একটি কলেজের শিক্ষিকা সুপত্রা সেন। অনুষ্ঠানকক্ষের শেষ বেঞ্চে বসে একমাত্র সন্তানের সাফল্যের কথা শুনছিলেন ডেনের মা আলপনা মুখোপাধ্যায়।
একই রোগের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে শিরোনামে পৌঁছেছেন কলকাতারই মেয়ে জিজা ঘোষ। প্রথমে প্রেসিডেন্সি থেকে সমাজবিদ্যায় বিএ। তার পরে দিল্লি থেকে সোস্যাল ওয়েলফেয়ার বা সমাজকল্যাণে স্নাতকোত্তর। লিডস থেকে ফের মাস্টার্স। এ দিনের অনুষ্ঠানে জিজা বললেন, “মস্তিষ্কের কোষে আঘাতের জন্য যে-কারও এই অবস্থা হতে পারে। তাই বলে হাল ছেড়ো না।” সেরিব্রাল পালসির শিকার মাধুরী কপূর, শ্রদ্ধা খটর-ও জানালেন নিজেদের লড়াইয়ের কথা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.