|
|
|
|
|
|
|
মুখোমুখি ২... |
|
কিছু কিছু অভিনেত্রী ছিল... আছে... থাকবে |
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বললেন সংযুক্তা বসু-কে |
পত্রিকা: বদলা হল?
ঋতুপর্ণা: (সরবে হাসি) কীসের বদলা? আমি তো কোনও বদলার ব্যাপারে জানি না।
পত্রিকা: এই যে যারা বলেছিল ঋতুপর্ণা শেষ......
ঋতুপর্ণা: আমার কানে আসেনি এরকম কথা। প্রত্যেক অভিনেতা অভিনেত্রীর সম্বন্ধেই অনেকে অনেক কথা বলে থাকে। মাধুরী দীক্ষিত থেকে আমির খান, শাহরুখ সকলের সম্পর্কেই নানা কথা হয়। তার জন্য বদলা নেওয়ার কিছু থাকে না। আমি জীবনটাকে পজিটিভ ভাবে দেখি। কোনও শেষ বা শুরুর গল্পে যেতে চাই না। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে গেছি। তার ফল যখন যেমন হয়েছে মেনে নিয়েছি।
কিছু কিছু জিনিস সংসারে আছে পিকাসোর ছবির মতো। ইট নেভার লুজেজ ইটস ভ্যালু। একটা জায়গায় এসে কাজের ধারাবাহিকতাই কথা বলে।
পত্রিকা: পিকাসোর ছবির সঙ্গে তুলনা করছেন নিজের জীবনের?
ঋতুপর্ণা: আমি বলতে চাইছি কিছু কিছু জিনিস যেমন চিরকালীন তেমনি আমার নিষ্ঠা, অধ্যবসায় —কিছু না থেকে কিছু হয়ে ওঠার প্রত্যয় কেউ মুছে দিতে পারবে না। সেই চিরকালীনের কথা বলতেই পিকাসোর উদাহরণটা দিলাম।
পত্রিকা: এ বছর ‘মুক্তধারা’ আর ‘চারুলতা ২০১১’ দুটোই বক্স অফিস সাফল্য পেয়েছে....
ঋতুপর্ণা: দুটো ভিন্ন রকমের চরিত্রে অভিনয় করেছি দুটো ছবিতে। ‘চারুলতা ২০১১’র চৈতী আর মুক্তধারা’র নীহারিকা দুটো চরিত্রই আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং। এবং দুটোই নারীভিত্তিক গল্প নিয়ে ছবি। চ্যালেঞ্জটা সেখানেই। দর্শকদের যে এই দুটো ছবি ভাল লেগেছে তার জন্য আমি আনন্দিত।
পত্রিকা: ‘মুক্তধারা’ কি আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ছবিগুলোর মধ্যে একটা।
ঋতুপর্ণা: হ্যা। অবশ্যই। কারণ আমার অভিনয়ের জোরালো ভাব প্রকাশ করার যেমন চেষ্টা করেছি, তেমনি ‘মুক্তধারা’ ছবি হিসেবে একটা অন্য বক্তব্য তুলে ধরেছে। সেই অর্থে প্রেম, বিয়োগ, ব্যথা, যন্ত্রণা যেরকম সাধারণত সিনেমায় আমরা দেখি সেরকম ‘মুক্তধারা’য় নেই। তো এই ধরনের গল্পের ছবিতে প্রোটাগনিস্ট নায়িকার চরিত্র যে কোনও অভিনেত্রীর কাছেই ‘ড্রিম রোল’। এ ছবি শুধু বন্দিমুক্তির গল্প নয়, প্রত্যেকটা চরিত্র এ ছবিতে নিজের মতো করে মুক্তি খুঁজেছে। বলেছে মানুষের আত্মার মুক্তির কথাও। সেখানে দাঁড়িয়ে ‘মুক্তধারা’ অবশ্যই আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ছবিগুলোর মধ্যে একটা হয়ে থাকবে। প্রত্যেক দর্শক এ ছবি দেখলে নিজের মধ্যে নিজের মতো করে মুক্তি খুঁজবে। আর আমাকে দর্শক এখানে একেবারে নতুন রূপে, নতুন সাজে নতুন ধরনের অভিনয়ে দেখেছে। এমনকী রাজ্যপাল পর্যন্ত বলেছেন, “এই ছবি না দেখলে জীবনে একটা ভাল ছবি দেখা বাদ পড়ে যেত।” এই সব প্রশংসা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
এমন একটা নতুন ধরনের বিষয় নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নতুন প্রযোজক বাচ্চু বিশ্বাস ও অতনু রায় চৌধুরী যে ভাবে টাকা বিনিয়োগ করেছেন তা অভাবনীয়। কোনও নতুন প্রযোজককে এমন করতে আগে দেখিনি। |
|
পত্রিকা: লোকজনের চাকরি জীবনের এক্সটেনশন হয়। ‘মুক্তধারা’ আপনার কাজের জীবনের মেয়াদ কতটা বাড়াল?
ঋতুপর্ণা: ‘মুক্তধারা’ আমার জীবনে একটা গতি দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু কাজের জীবনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে এমন বলব না। আমার কাজ এখনও অনেক বাকি। সে যোগ্যতাও রাখি। ভবিষ্যতে তার প্রমাণও দেব। ‘চারুলতা ২০১১’-র চৈতী বা ‘মুক্তধারা’র নীহারিকার মতো স্মরণীয় চরিত্র উপহার দেব দর্শকদের। এই আস্থা আছে। আমার মনে হয় ‘মুক্তধারা’র পর পরিচালকরা আমাকে আরও অনেক ডিফিকাল্ট চরিত্রে নিতে চাইবেন।
পত্রিকা: ‘মুক্তধারা’ আর ‘চারুলতা ২০১১’র আগে পর্যন্ত আপনার একটা খারাপ সময় কেটেছিল। সেই সময় নিজেকে কী ভাবে মোটিভেট করতেন?
ঋতুপর্ণা: বিশিষ্ট পরিচালকদের ছবিতে কাজ করেও ছবিগুলো ভাল ভাবে বক্স অফিসে আত্মপ্রকাশ করেনি। সেই সময়টা অবশ্যই আনফরচুনেট ছিল। তার মাঝখানে আমার বাবা মারা যান, ২০১১-য় আমার মেয়ে হয়। এই দুটো কারণে আমি একটু কাজের বাইরেও ছিলাম কিছু দিন। কিন্তু যাই হয়ে যাক কোনও দিন মনোবল হারাইনি। প্রবল ইচ্ছাশক্তি কাজ করে আমার মধ্যে। সেই সময় অনেকে অনেক কথা বললেও ডিমরালাইজড হইনি। প্রভাত রায় থেকে শেখর দাস, পিনাকী চৌধুরী থেকে অঞ্জন দাস, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকদের ছবিতে কাজ চালিয়ে গেছি। আমি ওয়ার্কঅ্যাহলিক। কাজই আমাকে মোটিভেট করেছে খারাপ সময়ে। মুম্বইতে গিয়ে প্রিয়দর্শনের সঙ্গে কাজ করেছি। অমল পালেকরের একটা ইংরেজি ছবিতে অভিনয় করেছি। খারাপ সময় বলে কাজ থামিয়ে বসে থাকিনি। অভিনয় ছাড়াও লিখেছি, বই পড়েছি, কিছু না কিছু করে গেছি। বড় বড় নাচের অনুষ্ঠান করেছি। এনডর্সমেন্ট করেছি বড় বড় ।
পত্রিকা: ‘মুক্তধারা’র পর কী ধরনের ছবিতে কাজ করার কথা ভাবছেন?
ঋতুপর্ণা: এমন সব ছবিতে কাজ করব যেখানে অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে বারবার আবিষ্কার করা যায়। আমি আপাতত অভিজিৎ আর সুদেষ্ণা রায়ের একটা ছবিতে অভিনয় করছি। কাজ করছি অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়, অনুপ সেনগুপ্ত-র সঙ্গেও। শিবপ্রসাদের পরের ছবিতেও আছি। যার কাহিনি সুচিত্রা ভট্টাচার্যের। দুটো ভাল চিত্রনাট্য শুনেছি, কাজ করতে পারি।
পত্রিকা: ‘মুক্তধারা’কে তো আপনার কামব্যাক ছবিই বলা যায়।
ঋতুপর্ণা: আমি তো কোনও দিন চলে যাইনি। কামব্যাকের প্রশ্নটা আসে কী করে? কিছু কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীর এমনই হয়, তাদের জীবনে কামব্যাক বলে কিছু হয় না। তারা সব সময় ছিল। আছে। থাকবে। হয়তো তারা কখনও খুব উজ্জ্বল ভাবে আত্মপ্রকাশ করে। কখনও বা হাইবারনেশনে চলে যায়।
(হাসি) আমিও সেই রকম এক শিল্পী। এই সব কামব্যাক টামব্যাক একেবারেই মিডিয়ার তৈরি কথা। ইন্ডাস্ট্রিতে পনেরো বছর হয়ে গেল আছি। থাকবও। এত বছর ধরে থেকে যাওয়ার আন্দোলন আর কোনও নায়িকা করেননি। কিছু দিন আগে এক নামকরা পুরনো দিনের অভিনেত্রী আমায় ফোন করে বললেন, “ঋতুপর্ণা, তোমার ‘চারুলতা ২০১১’, ‘মুক্তধারা’ দেখলাম। তুমিই পারলে অভিনেত্রীদের এই আন্দোলনটা চালিয়ে যেতে। এই পুরুষশাসিত ইন্ডাস্ট্রির ময়দান ছেড়ে আমাদের সরে যেতে হয়েছিল।” ফোনটা পেয়ে খুব ভাল লেগেছিল।
আসলে অনেকটা পথ পেরিয়ে এলাম তো। লম্বা জার্নি। কত ছবি। ‘দহন’এর রমিতা যদি হয় আমার সংগ্রাম, ‘পারমিতার একদিন’এর পারমিতা আমার পরিচয়, ‘আলো’ ছবির আলো আমার অস্তিত্ব আর ‘মুক্তধারা’র নীহারিকা আমার তৃপ্তির মুক্তি। |
|
‘মুক্তধারা’র দৃশ্যে |
পত্রিকা: পুরুষশাসিত ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার জায়গাটা আজ ঠিক কেমন?
ঋতুপর্ণা: পুরুষেরা যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের অনেক অবদান আছে ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু মেয়েরাও যে ভাবে ফুটহোল্ড রাখছে-- আমি সেই নারীদের প্রতিনিধি বলে মনে করি নিজেকে। আমি খুব অনুপ্রাণিত বিদ্যা বালনের কাজ দেখে। ‘ডার্টি পিকচার’ থেকে ‘কহানি’ কোথাও ওর কাজ করতে গিয়ে সুপারস্টার নায়ক দরকার পড়েনি।
পত্রিকা: প্রসেনজিৎ তাঁর রিয়্যালিটি শো-‘সেরা পরিবার’এ একবার ‘মুক্তধারা-ইচ্ছে’ পরিবার, আরেকবার অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের ‘তিন কন্যা’ টিমকে ডেকে অনুষ্ঠান করেছিলেন। কোনও অনুষ্ঠানেই আপনাকে দেখা যায়নি। কেন?
ঋতুপর্ণা: আমাকে দেখা যায়নি তার কারণ আমি দু’বারই আউটডোর শ্যুটিঙে ছিলাম। ফোনে আমি জানতে পারি এই দুটো টিম নিয়ে অনুষ্ঠান হচ্ছে। খুব খুশি হয়েছিলাম কারণ ‘সেরা পরিবার’এ ভাল প্রচার পেয়েছে। এর জন্য ‘সেরা পরিবার’ টিমকে ধন্যবাদ।
পত্রিকা: প্রসেনজিৎকে ধন্যবাদ দেবেন না?
ঋতুপর্ণা: ‘সেরা পরিবার’ টিমকে ধন্যবাদ দিলে সেই ধন্যবাদ ওঁর কাছেও পৌঁছে যায় আপনা থেকেই। উনি তো ওই টিমেরই অন্তর্ভুক্ত।
পত্রিকা: ‘মুক্তধারা’ সফল ছবি। টিম ওয়ার্ক সফল কি?
ঋতুপর্ণা: অবশ্যই। খুব সফল টিম ওয়ার্ক। অতগুলো ছেলেমেয়ে যারা কয়েদিদের ভূমিকায় অভিনয় করেছে খুব ভাল টিম কো-অর্ডিনেশন না থাকলে সেটা সম্ভবই হত না। ‘বাল্মীকি প্রতিভা’র মতো একটা নৃত্যনাট্য সিনেমার মধ্যে দেখানো ভাল টিম ওয়ার্ক না থাকলে কখনই সম্ভব ছিল না। টিম ওয়ার্কের জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই পরিচালকদের।
পত্রিকা: টিম ওয়ার্ক তো সফল বলছেন। কিন্তু রাজ্যপালকে যেদিন ছবি দেখানো হল সে দিন তো এ ছবির নায়ক নাইজেলকে ডাকা হয়নি। এমনকী রাতের পার্টিতেও ডাকা হয়নি...
ঋতুপর্ণা: রাতের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল কি হয়নি আমি জানি না। কিন্তু গভর্নরের শো-এ ডাকা হয়েছিল। নাইজেল এখন ওদের নতুন নৃত্যনাট্য নিয়ে ব্যস্ত। রাত দিন রিহার্সাল চলছে। সেই জন্য সম্ভবত আসতে পারেনি।
পত্রিকা: ১) মুক্তধারা ২) নাইজেল ৩) অলকানন্দা রায়—এই তিনটে ব্যাপারে একটা করে মন্তব্য রাখুন।
ঋতুপর্ণা: মুক্তধারা— ক্লোজ টু মাই হার্ট। নাইজেল—পারদর্শিতার সঙ্গে অভিনয় করেছে ‘মুক্তধারা’য়। অলকানন্দা রায় একজন নৃত্যশিল্পী যিনি অসাধারণ একটা কাজের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন।
পত্রিকা: নাইজেল সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে নীহারিকার চরিত্র অলকানন্দা রায় করলে ভাল হত। শোনা যাচ্ছে এ নিয়ে একটা টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
ঋতুপর্ণা: (প্রবল হাসি) ওহ, তাই বলেছে বুঝি! হোয়াট অ্যান অ্যাবসার্ড কমপ্যারিজন। অলকানন্দাদি বলেন আমি ওঁর মেয়ের মতো। ওঁর কাজের ইন্সপিরেশন থেকেই নীহারিকা চরিত্র তৈরি হয়েছে। নাইজেল কোথাও এ কথা বলে থাকলে এটা ওর ব্যাপার। ওর বোধের অভাবের প্রমাণ।
আমার এ নিয়ে কিছু বলার নেই, ওর সঙ্গে আমার কোনও দূরত্ব তৈরি হয়নি। পরিচালক যাকে মনোনীত করবেন সেই তো অভিনয় করবে। ‘মুক্তধারা’র জন্য আমি মনোনীত হয়েছিলাম। এটাই পরিণতি ছিল।
পত্রিকা: এত ভাল কাজ করার পর এই টিমটার তালটা কোথায় যেন কেটে গেল। জিতে উঠেও কোনও বিষণ্ণতা কাজ করছে কি?
ঋতুপর্ণা: না কোনও বিষণ্ণতা নেই। দারুণ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে সেলিব্রেট করছি আমাদের এই সাফল্য। আমি, নন্দিতাদি (পরিচালক নন্দিতা রায়) শিবু—আমাদের কোর টিম অনেক দিন আগে থেকে নানা রকম কাজ করে আসছি। তাই আমাদের আনন্দই আলাদা। নাইজেল, অলকানন্দা রায় পরের সংযোজন। আমাদের ‘কোর’ টিম-এর স্পিরিট কখনও নষ্ট হবে না।
পত্রিকা: নায়িকা হিসেবে আপনার এ ছবিতে সাফল্যে নাইজেলের ভূমিকা কতখানি?
ঋতুপর্ণা: আমি ভাল অভিনয় করছি, আর নাইজেল খারাপ বা মাঝারি অভিনয় করছে এমন হলে ছবিটা দাঁড়াত না। ভূমিকা এটাই। শিবু সব সময় নাইজেলকে মনে করিয়ে দিয়েছে, ‘দ্যাখো নাইজেল তুমি কিন্তু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয় করতে চলেছ।’ এবং নাইজেল সেই কথামতো যথেষ্ট পরিশ্রম করে কাজ করেছে। ছবিতে অন্য যে সব নামী অভিনেতারা কাজ করেছেন, যেমন ব্রাত্য বসু, দেবশংকর হালদার, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অরুণ মুখোপাধ্যায়—ওঁরা সকলে মিলে নাইজেলকে জায়গা করে দিয়েছেন অভিনয় দেখানোর জন্য। নাইজেল ভাল অভিনয় না করলে এ ছবির ব্যালেন্স নষ্ট হত।
পত্রিকা: আপনি অনেক দিন ধরে একজন নায়কের খোঁজ করছেন। প্রচুর ছবি করেছেন যিশু-ফিরদৌসের মতো নায়কদের সঙ্গে। অবশেষে নাইজেলের মতো একজন নায়ক এল—কিন্তু বিচ্ছেদ হয়ে গেল। তাই না?
ঋতুপর্ণা: প্রথমত আমি আর এখন নায়ক খুঁজতে যাই না। নায়ক চলে আসে গল্পের দাবিতে। দ্বিতীয়ত নাইজেলের সঙ্গে আমার কোনও বিচ্ছেদ হয়নি। এগুলো ভুল ধারণা।
পত্রিকা: নাইজেলের সঙ্গে আবার কাজ করার সম্ভাবনা আছে?
ঋতুপর্ণা: সেরকম কোনও বিষয় নিয়ে যদি ছবি হয়, যেখানে আমাকে-নাইজেলকে মানালে নিশ্চয় করব।
পত্রিকা: সব সময় এত দৌড়োতে ভাল লাগে? কিছু না কিছু করেই চলেছেন...
ঋতুপর্ণা: আমি কর্মব্যস্ত জীবনে বিশ্বাস করি। শুয়ে বসে সময় কাটানোয় নয়। কখনও বই পড়ি, কখনও লিখি, সামাজিক কাজ করি, লোকের বিপদে আপদে যাওয়ার চেষ্টা করি। জীবনটাকে আমি ‘পারপাসফুল’ ভাবে গড়ে তুলতে চাই। সেখানে কোনও বিরাম নেই। এমনকী সংসারের খুঁটিনাটি কাজও আমি করি। ছেলের পেরেন্ট-টিচারস মিটিং থেকে বরের লিনেন শার্ট কোন আলমারিতে আছে সবটাই আমার জানা। তবে আমার স্বামী-পরিবার আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেন। ওঁদের সাহায্য না পেলে আমি এত দূর এগোতে পারতাম না। |
|
|
|
|
|