অটোয় বাড়তি যাত্রী এবং বেশি ভাড়া না-নেওয়ার ব্যাপারে পরিবহণমন্ত্রীর নির্দেশকে আগেই অগ্রাহ্য করেছেন অটোচালকেরা। এ বার মন্ত্রীকে পাল্টা চাপে রাখতে তিনটি রুটে অটো বন্ধ রাখলেন তাঁরা। আর পরিবহণমন্ত্রী শুধু ‘দেখছি দেখব’ আশ্বাসই দিলেন।
চার জনের বেশি যাত্রী ও বাড়তি ভাড়া নেওয়ার দাবিতে উত্তর শহরতলির বিস্তীর্ণ অংশে কিছু দিন ধরে অটো-পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন চালকেরা। সোমবার পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র সেখানে গিয়ে জানিয়েছিলেন, বুধবারের মধ্যে ধর্মঘট না উঠলে চালকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই ফরমানকে গুরুত্ব দেননি চালকেরা। বৃহস্পতিবারও অটো চলেনি বারাসত-মধ্যমগ্রাম, মধ্যমগ্রাম-বাদু এবং চাঁপাডালি-কলোনি মোড় রুটে।
বৃহস্পতিবার মহাকরণে মদনবাবুকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ধর্মঘটীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। যাত্রীদের সমস্যায় ফেলে চালকেরা এমন করতে পারেন না। আগামীকাল অটো-প্রতিনিধিদের ডেকেছি। এ সব নিয়ে কথা হবে।” কিন্তু এত সময় পাওয়া সত্ত্বেও কেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? পরিবহণমন্ত্রীর উত্তর, “প্রয়োজনে রুট বন্ধ করে দেওয়া যায়। কিন্তু তাতে যাত্রীরাও সঙ্কটে পড়বেন। তাই চালকদের সব রকম ভাবে বোঝানোর চেষ্টা চলছে।” |
বিভিন্ন রুট ভেঙে অর্থাৎ ‘কাটা রুটের’ মাধ্যমে চালকদের একাংশ বাড়তি আয় করছে। ভোগান্তি হচ্ছে যাত্রীদের। এ কথা স্বীকার করে নিয়ে মদনবাবু বলেন, “বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ নিয়ে তিন হাজারের উপরে অভিযোগ এসেছে। আচমকা অটো থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে ব্যস্ত রাস্তায় বাঁক নিয়ে অটো ঘোরানোয় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকছে। এটা রুখতে পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছি।” শুক্রবারের প্রস্তাবিত বৈঠকে এ নিয়ে চালকদের সতর্ক করবেন বলে জানান মন্ত্রী। অটোয় বাড়তি ভাড়া নেওয়া রুখতে কেন সরকার কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না? পরিবহণমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, “বাড়তি ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে চালকদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আমাদের হাতে নেই! এ ব্যাপারে আমরা তাই কিছুটা অসহায়। তবে, এ নিয়ে চালকদের ফের কড়া বার্তা দেব।”
রাজ্য সরকার চায়, অটো-মালিকেরা চালকদের সচিত্র পরিচয়পত্র দিক। বৃহস্পতিবার পরিবহণমন্ত্রী এ কথা জানিয়ে বলেন, “প্রয়োজনে কোনও স্বীকৃত অটো-সংগঠনও স্থানীয় থানার সহযোগিতায় এই পরিচয়পত্র দিতে পারে।”
|
নারী নির্যাতন বন্ধে সরকার নিষ্ক্রিয়, এই অভিযোগে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল চার বাম মহিলা সংগঠন। তাদের হিসেব, এক বছরে ৩০ জন ধর্ষিতা, ৪০০০ নির্যাতিতা হয়েছেন। |