এক গুচ্ছ চেক, পাট্টা বিলির তালিকা, ওবিসি তালিকাভূক্তদের জন্য বিশেষ বৃত্তিপ্রদানের কাগজপত্র, আর গাঁ-গঞ্জ উজিয়ে আসা প্রতিবন্ধীদের তালিকাপর পর এগিয়ে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তাড়াহুড়োয় প্রতিবন্ধীদের সেই ফাইলটা এগিয়ে দেওয়ার বদলে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে যেটি এগিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেটি আদপে ইন্দিরা বিকাশ যোজনার তালিকা। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চেই তাঁর বিরক্তি আড়াল করেননি। কর্তাদেরও মুখ ভার। বুধবার দুপুরের ওই ঘটনার পরের সকালে, বৃহস্পতিবার অফিস গিয়ে জেলা উন্নয়ন বিভাগের ওই কর্মী শেখর রায় দেখেন, তাঁর টেবিলে পড়ে রয়েছে বদলির চিঠি। তাঁকে লালবাগে বদলি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে শেখরবাবুর লালবাগ মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বদলি ‘নিয়মমাফিক’।
শেখরবাবু অবশ্য এই বদলিকে ‘নিয়মমাফিক’ মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা হিসেবেই তাঁকে রাতারাতি বদলি করে দেওয়া হয়েছে। ওই সরকারি কর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন (নব পর্যায়)। সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রদীপ দাসের অভিযোগ, “জোর করেই ওই কর্মীকে বদলি করা হয়েছে। এ ব্যপারে অতিরিক্তি জেলাশাসক (উন্নয়ন)-এর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।” অতিরিক্তি জেলাশাসক (উন্নয়ন) সন্দীপ দত্ত অবশ্য বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। প্রশাসনিক কারণেই ওই কর্মীর বদলি হয়েছে।”
শেখরবাবু বলেন, “আসলে সবাই মুখ্যমন্ত্রীর সামনে মুখ দেখাতে চান। আমাদের বিভাগেরই এক কর্তা আমার হাত থেকে ফাইলগুলো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এগিয়ে দিতে থাকেন। তিনিই ওই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। অথচ কোপ পড়ল আমার উপরে।” |