|
|
|
|
প্রধানমন্ত্রী কর্ম সুনিশ্চিত যোজনা |
স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ঋণদানে নয়া উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রধানমন্ত্রী কর্ম সুনিশ্চিত প্রকল্প (প্রাইম মিনিস্টার এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি প্রোগ্রাম) রূপায়ণে উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ঋণদানের এই প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরে ৬৫৫ জনকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মোট ঋণ দেওয়া হবে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অরিন্দম দত্ত বলেন, “চলতি বছরে দ্রুত এই প্রকল্প রূপায়ণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
কেন্দ্রীয় এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর। মূলত, কুটির শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যেই গাঁ-গঞ্জ থেকে শহর বিভিন্ন এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। গোষ্ঠীগত ভাবে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ ছাড়ের সুযোগও রয়েছে। অর্থাৎ কেউ সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিলে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ঋণ ছাড় পাবেন, যে টাকা দেবে সরকার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর এই প্রকল্পে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য কাজ করা যায়নি। এ বার আবার পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার মোট ২৯৫৪ জনকে আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছিল। ২০২৯ জন আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিয়েছেন। তা খতিয়ে দেখে ৬৫৫ জনকে ঋণ দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় আসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন আবেদনকারীকে ১৮ বছরের বেশি বয়সের হতে হবে। ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে। তবেই জেলা শিল্পকেন্দ্র বা জেলা খাদি গ্রামোদ্যোগ দফতর থেকে আবেদনপত্র মিলবে। তিনি যে প্রকল্প রূপায়ণ করতে চান, তার সবিস্তার রিপোর্টও তৈরি করতে হবে। তারপর আবেদনকারীর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে আবেদনকারীকে উপযুক্ত মনে হলেই ঋণ দেওয়ার জন্য মনোনীত করে প্রশাসন। প্রশাসন জানিয়েছে, এই প্রকল্পের দু’টি উদ্দেশ্য। প্রথমত, একজন শিক্ষিত বেকার যুবক বা যুবতীকে স্বনির্ভর করা। দ্বিতীয়ত, ক্ষুদ্রশিল্পের প্রসার ঘটিয়ে কর্মসংস্থানের পরিধি বাড়ানো। এলাকায় কোনও ক্ষুদ্রশিল্প গড়ে উঠলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কমপক্ষে ১০ জন তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে রোজগার করতে পারেন। ধরা যাক, কেউ ধূপকাঠি বানানোর পরিকল্পনা নিলেন। কাঁচামাল, উৎপাদন থেকে ঝকঝকে প্যাকিং, প্রতিটি ধাপেই আলাদা আলাদা লোকের প্রয়োজন। প্রশাসন জানিয়েছে, বছরে গড়ে যদি ১টি জেলায় ১০০টি ক্ষুদ্রশিল্পও গড়ে তোলা যায় তাহলে জেলার সার্বিক উন্নয়ন সহজেই ত্বরান্বিত হবে।
এতদিন এ পথে হাঁটা হয়নি কেন? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন ঋণ ছাড়ের লোভে প্রকল্প তৈরি করে ঋণ নিলেও ক্ষুদ্রশিল্প গড়ে ওঠেনি। অনেকেই ঋণের টাকা অন্য কাজে লাগিয়েছেন। ফলে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। এ বার যাতে এমন না ঘটে, সে জন্য প্রথম থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|