কোনও ভাবে এক জনের বিমান টিকিটের পিএনআর যদি অন্য লোকের হাতে চলে যায়, তা হলে সে একটা ফোন করেই টিকিট বাতিল করে দিতে পারে! বুধবার এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে সুমিত চক্রবর্তী নামে রায়গঞ্জের এক বাসিন্দার। কলকাতা বিমানবন্দরে ইনডিগোর কাউন্টারে পৌঁছে হতবাক হয়ে যান সস্ত্রীক সুমিতবাবু। কাউন্টারের অফিসার তাঁদের বলে দেন, “কলসেন্টারে ফোন করে আপনাদের টিকিট তো আগেই বাতিল করা হয়েছে!”
সুমিতবাবু ও তাঁর স্ত্রী শিপ্রাদেবী বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। সেখানে তাঁর ছেলে সৌরিৎ বায়ো-টেকনোলজিস্ট। সোমবার ডেঙ্গি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সৌরিতের স্ত্রী ইন্দ্রিতা এবং তাঁদের ন’মাসের মেয়ে। তাই তড়িঘড়ি টিকিট কেটে ছেলের কাছে যাচ্ছিলেন সস্ত্রীক সুমিতবাবু। টিকিট বাতিল করার কোনও কারণ নেই। তা হলে কে বাতিল করে দিল সুমিতবাবুর দু’টি টিকিট? কোন উদ্দেশ্যেই বা বাতিল করা হল? তদন্তে নেমে ইনডিগোর কর্তারা জানতে পেরেছেন, মঙ্গলবার রাতে তাঁদের কলসেন্টারে পরপর দু’টি ফোন এসেছিল। প্রথম ফোনটি ছিল টিকিট বাতিল করার নিয়ম জানার জন্য। আর দ্বিতীয় বার ফোন করে সুমিতবাবুর টিকিট বাতিল করা হয়। ইনডিগোর এক কর্তার কথায়, “সাধারণত কলসেন্টারে ফোন করে টিকিট বাতিল করতে গেলে পাল্টা কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। যেমন, আপনি কী ভাবে টিকিট কেটেছেন? নগদ টাকা দিয়ে, নাকি ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে? আপনার ফোন নম্বর কত?” সুমিতবাবুর টিকিট বাতিল করার সময় ওই সব তথ্য ঠিকঠাকই দেওয়া হয় বলে জানান ওই ইনডিগো-কর্তা। |
কিন্তু কে তাঁর টিকিট বাতিল করল? বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সুমিতবাবু এ বিষয়ে অন্ধকারে। বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে বললেন, “মঙ্গলবারেই টিকিট কাটা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে যখন টিকিট বাতিল হয়, তখন আমি ট্রেনে।” ওই যাত্রী জানান, তিনি কলকাতায় পৌঁছে টিকিট হাতে পান। টিকিট কেটে দেন তাঁর ছেলে সৌরিতের শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়। কিন্তু সেই টিকিট বাতিলের জেরে বুধবার তাঁরা ইনডিগোর উড়ান ধরতে পারেননি। পরে বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কেটে অন্য সংস্থার উড়ানে হায়দরাবাদ ঘুরে রাতে বেঙ্গালুরু পৌঁছন সুমিতবাবুরা। |