মহাকাশে ক্যামেরা সারালেন সুনীতারা
সংবাদসংস্থা • হিউস্টন |
ফের মহাকাশে হাঁটলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। সঙ্গে ছিলেন জাপানের আকিহিকো হোশিদি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সরবরাহে গোলযোগ দেখা দিয়েছিল। গবেষণাগারের বাইরে মহাশূন্যে থাকা একটি ক্যামেরাও ঠিকঠাক কাজ করছিল না। সে সব সারাতেই সুনীতাদের এই ‘মহাকাশ-ভ্রমণ’। এই নিয়ে পাঁচ বার মহাকাশে হাঁটলেন ৪৬ বছর বয়সী সুনীতা। অগস্টেই দু’-দু’বার মহাকাশে হাঁটলেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের নভশ্চরেরা। গত ২০ অগস্ট মহাকাশে হাঁটেন রাশিয়ার দুই মহাকাশচারী। সে বারও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। ২০১১ সালের জুলাই মাসে শেষ মহাকাশ ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন মার্কিন নভশ্চরেরা। তার ১৩ মাস পরে আজ নাসার ইঞ্জিনিয়ার সুনীতা মহাকাশে হাঁটলেন। সব চেয়ে বেশি (৪) বার মহাকাশে হাঁটার রেকর্ড এত দিন ধরে তাঁরই দখলে ছিল। তাতে যোগ হল আরও একটি সংখ্যা। এ ছাড়া, সব চেয়ে বেশি দিন মহাকাশে থাকা (১৯৫ দিন) এবং সব চেয়ে বেশি ক্ষণ মহাকাশে হাঁটার রেকর্ডও রয়েছে সুনীতার ঝুলিতে। ১৫ জুলাই ‘সয়ুজ’-এ চেপে হোশিদি এবং ইউরি ম্যালেনচেঙ্কোর সঙ্গে মহাকাশ পাড়ি দেন সুনীতা। এই মহাকাশ সফরে তিনিই নেত্রী। নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে থাকবেন তিনি। ১৯৯৮ সালে সুনীতাকে মহাকাশচারী হিসেবে নির্বাচন করে নাসা।
|
কুমেরুতে মিথেন ভাণ্ডার, দাবি
সংবাদসংস্থা • ওয়াশিংটন |
কুমেরুর বরফের নীচে মিথেন গ্যাসের বিরাট ভাণ্ডার জমা থাকতে পারে বলে দাবি করলেন এক দল গবেষক। গ্রিন হাউস গ্যাসের মধ্যে অন্যতম মিথেন। কুমেরুর বরফ গলে ওই মিথেন বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে নতুন করে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই গবেষকদল। গবেষকদলের নেতৃত্বে থাকা জেমাইমা ওয়াধামের কথায়, “মিথেনের আকারে কুমেরুতে যে জৈব কার্বনের ভাণ্ডার রয়েছে তার পরিমাণ উত্তর মেরুর জৈব কার্বন ভাণ্ডারের প্রায় দশ গুণ।” জেমাইমা জানান, বরফের নীচের অঞ্চল যে জৈবিক ভাবে সক্রিয়, সেটা আগেই জানা ছিল। এই জৈবিক কার্বন থেকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অণুজীব মিথেন গ্যাস তৈরি করে। বিজ্ঞানীদলের দাবি, বরফের চাদরের খুব বেশি নীচে নয় এই মিথেন ভাণ্ডার। ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে সহজেই এই মিথেন বায়ুমণ্ডলে মিশতে পারে। এবং তেমন হলে তা বিশ্ব উষ্ণায়ণে আরও ইন্ধন জোগাবে। বিজ্ঞানপত্রিকা ‘নেচার’-এ এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। |