|
|
|
|
ইলামবাজারে সার সমস্যা |
অন্য জেলা থেকে সার আনার সিদ্ধান্ত নিল কৃষি দফতর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইলামবাজার |
সারের দাবিতে কৃষক বিক্ষোভ ও জাতীয় সড়ক অবরোধের জেরে নড়েচড়ে বসল জেলা কৃষি দফতর। আন্তঃব্লক কৃষি ভিত্তিক সারের লেনদেন করার পাশাপাশি চাহিদা মেটাতে লাগোয়া জেলা থেকে সার আনা হবে বলে জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলা কৃষি উপ-অধিকর্তা প্রদীপকুমার মণ্ডল বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সারের যোগান বাড়ানো হচ্ছে। ইলামবাজারের সমস্যা দ্রুত মিটবে।” তাঁর আশ্বাস, “পাশাপাশি কালোবাজারি, সারের কৃত্রিম অভাব যাঁরা তৈরি করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।” |
|
সার নিতে চাষিদের লাইন। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
সারের দাবিতে বুধবার পানাগড়-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন ইলামবাজার ব্লকের কৃষকেরা। অভিযোগ ছিল, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার ভোর থেকেই ইলামবাজার ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় ৫০০ কৃষক ওই দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়ান। সকাল ৮টা নাগাদ সার বিলি শুরুর সময় চালকল কর্তৃপক্ষ জানান, পুরনো তালিকায় যে ১৪০ জন কৃষক আছেন, তাঁদের আগে সার দেওয়া হবে। এই কথা শুনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা কৃষকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পরে আশ্বাস পেয়ে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন। প্রতিশ্রুতি মতো বৃহস্পতিবার মজুত থাকা ২০০ বস্তা সার বিলি করা হয়। ব্লক কৃষি দফতরের সহ-অধিকর্তা নন্দিতা ভট্টাচার্য বলেন, “ওই চালকল থেকে প্রথমার্ধে ২০০ বস্তা সার কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। জেলার অন্য জায়গা থেকে বেসরকারি উদ্যোগে আরও সার আনা হচ্ছে। জেলার বাইরে থেকেও সারের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চলছে।”
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ইলামবাজার ব্লক এলাকায় আরও ৩৫ টন ইউরিয়া সার এসেছে। আজ শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে ৬৫ টন সার আসার কথা। এ দিকে সারের দামের ফেরফের ও কৃত্রিম অভাব তৈরি করা-সহ নানা অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে নজরদারি বাড়িয়েছে জেলা কৃষি দফতর। বিডিও অনিরুদ্ধ নন্দী, নন্দিতা ভট্টাচার্য, ইলামবাজার থানার ওসি ত্রিদিব প্রামাণিককে নিয়ে একটি দল গঠিত হয়েছে। ওই দল সমবার কৃষি উন্নয়ন সমিতি, সমবায় সমিতি, ডিলারদের কাউন্টার ঘুরে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। জেলা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানান, ইলামবাজার ব্লকের মোট ১৬টি জায়গা ঘুরে দেখেছে ওই দল। কৃত্রিম অভাব তৈরি, দাম বাড়িয়ে সার বিক্রি, বেশি লাভের আশায় বাজারে সার পাচারের মতো অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ৮টি কাউন্টারে ‘শো-কজে’র নোটিস দেওয়া হয়েছে, দু’জনকে সতর্ক করা হয়েছে।
বোলপুর মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “সারের কালোবাজারি, কৃত্রিম অভাব তৈরির লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। ব্লক কৃষি অধিকর্তা, পুলিশ, বিডিওদের সঙ্গে কথা আলোচনা করেছি। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে সার বণ্টন, জল যোগানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” বৃহস্পতিবার থেকে ১০ দিন ময়ূরাক্ষ্মী ক্যানাল থেকে জল সরবরাহ করা হবে বলে মহকুমাশাসক জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|