এক শিক্ষকের হাজিরা খাতায় সই না করাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হল বর্ধমান রাজ কলেজে। সই না করতে চাওয়া শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে কলেজের প্রায় ৩০ জন শিক্ষক অধ্যক্ষকে প্রায় দু’ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন। শেষে অধ্যক্ষ সুভাষ নন্দী তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে ঘেরাও উঠে।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত কলেজের বিবিএ এবং বিসিএ বিভাগে। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কলেজের বিসিএ বিভাগে অঙ্কের ক্লাস নিচ্ছিলেন নিমাইচাঁদ দাঁ। কলেজের বেয়ারাকে দিয়ে বিভাগের নতুন কো-অর্ডিনেটার তথা তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা তারকেশ্বর মণ্ডল তাঁর কাছে হাজিরা খাতা পাঠান। নিমাইবাবু গত কয়েক দিন ধরে সই না করে ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ দিনও নিমাইবাবু সই করতে অস্বীকার করে হাজিরা খাতা ফিরিয়ে দেন। এর পরে তাঁকে সই করার কথা বলতে যান তারকেশ্বরবাবু। সে সময় দু’জনের মধ্যে বচসা বেধে যায়। নিমাইবাবু অভিযোগ করেন, সেই সময়ে তারকেশ্বরবাবু তাঁকে জোর করে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।
ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষক তথা অপর তৃণমূল সংগঠনের নেতা শ্রীধর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন শিক্ষক অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন। তাঁদের অভিযোগ, তারকেশ্বরবাবু নিমাইবাবুকে ক্লাস থেকে ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে’ বের করে দেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁকে কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে অপসারণের দাবি করেন ওই শিক্ষকেরা। অধ্যক্ষ তাঁদের বলেন, “যত দূর শুনেছি, তারকেশ্বরবাবু নিমাইবাবুকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেননি। তবু যদি তিনি এ কথা বলে থাকেন, তা হলে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।”
তারকেশ্বরবাবুর দাবি, “আমাদের বিভাগের প্রত্যেক শিক্ষক হাজিরা খাতায় সই করছেন। শুধু নিমাইবাবুই করছেন না। অধ্যক্ষের নির্দেশেই আমি তাঁকে এ দিন সই করাতে গিয়েছিলাম। কোনও খারাপ কথা না বলে শুধু সই করতেই অনুরোধ করি।” নিমাইবাবুর আবার দাবি, “উনি আমাকে ক্লাস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাতেই শিক্ষকেরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।”
|