কাটাখালি সেতু: দেখা মিলল না ঠিকাদার সংস্থার কর্তাদের |
ক্ষতিগ্রস্ত স্তম্ভ দেখে ক্ষোভ পূর্ত দফতরের বাস্তুকারদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
পূর্তমন্ত্রীর দেওয়া সময়সীমা মেনে হাসনাবাদে কাটাখালি সেতুর কাজ যে শেষ হবে না তা বুঝতে পারছেন এলাকার মানুষ। কারণ, সেতুর প্রথম পিলারের নীচে বড় রকমের ফাটল দেখা দিয়েছে তাতে পূর্ত ও সড়ক দফতরের আধিকারিকদের আশঙ্কা ওই সময়সীমায় সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে না। ঠিকাদারের গাফিলতিতেই এই অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
হাসনাবাদে কাটাখালি নদীর উপরে নির্মীয়মাণ ওই সেতুর প্রথম পিলারে গভীর ফাটল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দ্বিতীয় পিলারটি নিয়েও উদ্বেগে রয়েছেন পূর্ত দফতরের কর্তারা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মহাকরণে পদস্থ কর্তাদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন পূর্ত ও সড়ক দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মলয় ঘোষ। তিনি বলেন, “প্রাথমিক পরিদর্শনের পরে দেখা গিয়েছে, পিলারের জোড়ার মুখে স্ল্যাব থেকে যে আর একটি পিলার উঠেছে তার নীচে কোথাও এক ফুট, কোথাও ৬ ইঞ্চি ফাঁক রয়েছে। কোনও কংক্রিট নেই। কাজের সময় চোখ এড়িয়ে যাওয়ায় ৩০-৪০ ফুট পিলারটির এমন অবস্থা। দ্বিতীয় পিলারটির গায়ে মাটি থাকায় সেটিরও এমন অবস্থা কি না তা বোঝা যায়নি। তবে পিলারের যা অবস্থা তাতে আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।” |
|
ক্ষতিগ্রস্ত স্তম্ভ দেখছেন বাস্তুকার। ছবি: নির্মল বসু। |
মঙ্গলবার পূর্ত ও সড়ক দফতরের বাস্তুকার মলয় ঘোষ, বিনয় মজুমদার এবং বসিরহাট মহকুমার সহকারি বাস্তুকার রানা তারাং হাসনাবাদে আসেন। কিন্তু এমন ঘটনার পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার তরফে কেউই সেখানে হাজির ছিলেন না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। দু’পারের কাজের গতিপ্রকৃতি দেখে অসন্তোষও প্রকাশ করেন তাঁরা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, কোনওরকম জোড়াতালি দিয়ে এই ফাটল মেরামত করা চলবে না। তাঁরা নৌকা করে সেতুর পিলারের কাছে গিয়ে তা পরীক্ষা করেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
২০০৬ সালে রাজ্যের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টচার্য হাসনাবাদ ও পার হাসনাবাদের মধ্যে কাটাখালি নদীর উপরে এই সেতুর শিলান্যাস করেন। খরচ ধরা হয় প্রায় ২৬ কোটি টাকা। ঠিক হয় নদীর মধ্যে মাত্র দু’টি পিলারের মধ্যে সেতুটি থাকবে। ২০০৯ সালে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয়নি। নানা টালবাহানায় সেতুর কাজে বিলম্ব হয়। শেষ পর্যন্ত গত জুলাই মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পূর্ত ও সড়ক দফতরের মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার হাসনাবাদে এসেছিলেন সেতুর কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে। পরিস্থিতি সরেজমিন দেখে তিনি আগামী এক বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করে ফেলার জন্য নিদের্শ দেন। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় সেতুর কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হওয়া নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
দুর্ঘটনায় মৃত যুবক। বন্ধুর বিয়ের জন্য পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। জখম হয়েছেন তাঁর বন্ধু। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রবিবার রাতে গাইঘাটার আঙুলকাটা এলাকার ঘটনা। মৃত যুবকের নাম সুজয় কীর্তনিয়া (৩০)। বাড়ি অশোকনগরের এজি কলোনিতে। পুলিশ জানিয়েছে, বনগাঁ থেকে পাত্রী দেখে বন্ধুকে নিয়ে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন সুজয়। |
|