‘ত্রুটি পূর্ণ’ মেধাতালিকা বাতিল করা, আগের মেধাতালিকা ও ২০০ আসনের তালিকা প্রকাশের দাবিতে সোমবার বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়াদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রকাশিত মেধাতালিকা থেকে বেআইনি ভাবে কিছু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার থেকে ভর্তির দিন ধার্য থাকলেও অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ভর্তির দিন বাতিল করেছে বিন ভবন কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ অগস্ট থেকে বিনয় ভবনের বিএড পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য ১০০ আসনের মেধাতালিকা প্রকাশ করেন কর্তৃপক্ষ। সোমবার ও মঙ্গলবার ভর্তির দিন ধার্য ছিল। পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে সোমবার দুপুরে বৈঠকে বসেন বিনয়ভবন কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অমৃত সেন বলেন, “উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের অনুমোদন ক্রমে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি ২১ অগস্ট প্রকাশিত তালিকা যাচাই করে দেখেছেন। যাচাইয়ের পরে সোমবার সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই মতো বিনভবনের বিএড পাঠ্যক্রমে ১০০ আসনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়া হবে।” তাঁর দাবি, “এনসিটিই কর্তৃপক্ষ বিএড পাঠ্যক্রমে আসন বৃদ্ধি নিয়ে কিছু জানাননি। জানানোর পরে বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক নিয়ম-নীতি মেনে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে।”
|
রাজ্যে শাসকদলের পরিবর্তন হলেও জেলার বেশ কয়েকটি স্কুলে নিজেদের দখল বজায় রাখলেন বাম সমর্থিত প্রার্থীরা। রবিবার নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ওই স্কুলগুলির শাসন ক্ষমতায় ‘পরিবর্তন’ আসেনি। ওই সব স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনে জয়ী হলেন ক্ষমতাসীনেরাই। মুরারইয়ের ভাদীশ্বর শ্যামাপ্রসাদ রায় হাইস্কুলের ক্ষমতা ধরে রাখলেন বাম প্রার্থীরা। রবিবারের নির্বাচনে ওই স্কুলে বাম সমর্থিত প্রার্থীরা ৫টি ও কংগ্রেস প্রার্থীরা ১টি আসন পেয়েছেন। তৃণমূল সেখানে একটিও আসন পায়নি। হারের পেছনে তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করছে। রবিবারই রামপুরহাট মহকুমাতে আরও ৪টি স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনে স্কুলগুলি দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন দলেরাই। নলহাটি থানার লোহাপুর বারা চারুবালা গার্লস্ স্কুলে বাম প্রগতিশীল প্রার্থীরা তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থিত জোটপ্রার্থীদের হারিয়ে ৬টি আসনই ধরে রাখতে পেরেছে। একই ভাবে জোট করে লড়াই করেও রামপুরহাট থানার শালবাদরা হাইস্কুলে বাম প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। রামপুরহাটের আয়াষ হাইস্কুলের ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। একই ফল মাসড়া হাইস্কুলেও। সেখানে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট ৫-১ ফলে জয়ী হয়েছে। অন্য দিকে, রবিবার খয়রাশোলের পারশুণ্ডি ও জুনিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। খয়রাশোলের দু’টি স্কুলেই ক্ষমতা ধরে রাখল তৃণমূল। এ দিকে, দুবরাজপুরের হেতমপুর রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি অসন পেয়েছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি তিনটির মধ্যে দু’টি বিজেপি ও একটি সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা পাওয়ায় একটি ত্রিশঙ্কু অবস্থা তৈরি হয়েছে।
|
এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল ইলামবাজার থানার পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবস্মিতা দাস বলেন, “এক বিবাহিত মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য দেহটি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজার থানার চৌপাহাড়ি জঙ্গলের মুর্গাবনি রাস্তায় ওই মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর যায় পুলিশের কাছে। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অন্য দিকে, নিজের বাড়ি থেকে এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সুমিতা লেট (১৫)। তার বাড়ি রামপুরহাট থানার শ্রীহরিবাটি গ্রামে। সোমবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য রামপুরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মীর। মৃতের নাম মহম্মদ হাসনাল আবেদিন সিদ্দিকি (৫৯)। বাড়ি নানুর থানার পাপুড়ি গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ বোলপুর থানার কোপাই এলাকায় রাত পাহারার কাজে ছিলেন শান্তিনিকেতন তদন্তকেন্দ্রের ওই পুলিশকর্মী। তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান সহকর্মীরা। হাসপাতাল সুপার সুদীপ মণ্ডল বলেন, “ওই কনস্টেবলকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে।” সোমবার ময়না-তদন্তের পরে দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
|
আজ শুরু হচ্ছে প্রাক্তন স্কুলশিক্ষিকা রেণু সরকার খুনের মামলায় দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণ। বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। |