ইউসুফ রাজা গিলানির পরে পাক সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে হল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরফকেও। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা শুরু না করায় তাঁকেও আদালত অবমাননার নোটিস পাঠিয়েছিল
শীর্ষ আদালত।
জারদারির বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা ফের শুরু করতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ না মানায় আদালত অবমাননার দায়ে পড়ে পদ হারান গিলানি। এখনও সেই নির্দেশ পালন করেনি পাক সরকার।
আজ সকাল ন’টা নাগাদ সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছন আশরফ। তার আগেই হাজির হয়ে যান তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কাইরা ও অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক-সহ কয়েক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতা। আদালত ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মোতায়েন ছিল পাকিস্তান রেঞ্জার্স ও ফ্রন্টিয়ার কোর বাহিনীও। নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হয় কপ্টারও। |
সুপ্রিম কোর্টে পাক প্রধানমন্ত্রী রাজা আশরফ। ছবি: এ এফ পি |
সুপ্রিম কোর্টের ২ নং ঘরে বিচারপতি আসিফ সইদ খোসার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে হাজিরা দেন আশরফ। তিনি জানান, এই সমস্যার সমাধান করতে চায় সরকার। কিন্তু, তাঁর আরও সময় প্রয়োজন। বেঞ্চ প্রথমে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়। আশরফ জানান, তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনে থাকবেন। তখন ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিতে রাজি হয় কোর্ট।
স্পষ্টতই বিচারবিভাগের সঙ্গে সংঘাত কাটাতে চেষ্টা করছেন আশরফ। তিনি বলেন, আইন মেনেই তিনি চলতে চান। তাই আদালতে হাজির হয়েছেন। তবে বেঞ্চের তরফে খুব বেশি সাড়া পাওয়া যায়নি। বিচারপতিদের মতে, আদালতে এলেই আইনের প্রতি সম্মান জানানো হয় না।
তাঁকে পাঠানো নোটিস ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় সফরে চিন গেলে ওই নোটিস নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে বলে জানান তিনি। সেই আর্জিতেও সাড়া দেয়নি বেঞ্চ। ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জারদারির কালো টাকা সুইস ব্যাঙ্কে জমা আছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে তথ্য পেতে সুইৎজারল্যান্ডকে চিঠি লিখতে পাক সরকারকে বার বার চাপ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ শুনানির সময়েও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিশ্চয়তা চেয়েছে বেঞ্চ। আদালতের বক্তব্য, এই চিঠি লেখার দায়িত্ব আইনমন্ত্রীকে দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। আশরফ কোনও নিশ্চয়তা দেননি। |