বোমায় জখম মা-ছেলে
পদ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ অব্যাহত কেশপুরে
ক সময়ে যেখানে সিপিএমের ‘দাপটে’ বহু তৃণমূল কর্মীকে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল, সেই কেশপুরেই এখন ‘গৃহযুদ্ধে’ দীর্ণ তৃণমূল। দলের রাজ্য ও জেলা নেতারা যতই সামাল দেওয়ার চেষ্টা করুন, পদ নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি চলছেই।
ব্লক সভাপতির পদ নিয়ে শুক্রবারের গোলমাল গড়িয়েছে শনিবারেও। বোমাবাজিতে গুরুতর জখম হয়েছেন দামোদরচক গ্রামের আনিসুর রহমান ও তাঁর মা আবেদা বিবি। তাঁরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। মারামারি হয়েছে ইছাইপুরেও। সেখানে শেখ হাসেন নামে এক তৃণমূল কর্মী থানায় অভিযোগ জানান, যদিও অন্য পক্ষের তরফে কোনও অভিযোগ হয়নি। পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, তার জন্য পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।
পালাবদলের পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর-নারায়ণগড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। জেলা নেতৃত্বের কাছে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে লাগাতার নানা অভিযোগ জমা পড়েছিল। কেশপুরের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি চিত্ত গড়াই ও সদ্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিকের অনুগামীদের মধ্যে বোমা-গুলির সংঘর্ষও হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে লাগাম দিতেই সম্প্রতি ব্লক সভাপতি পদে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার রাতে কেশপুরের ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিককে সরিয়ে তাঁর জায়গায় বসানো হয় মহিউদ্দিন আহমেদকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ঘরছাড়া থাকা আর এক নেপাল ঘোষকে সভাপতি করতে শুক্রবার তাঁর অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখান। সংঘর্ষও বাধে। জখম নেপাল-অনুগামী ৮ জন।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশি টহল চলছিলই। গণ্ডগোলে জড়িত সন্দেহে পুলিশ কয়েক জনকে চিহ্নিতও করে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কিন্তু পুলিশ ফিরে যাওয়ার পরেই শুরু হয় বোমাবাজি। গ্রামবাসীর একাংশের অভিযোগ, পুলিশকে বাড়ি চিনিয়ে দেওয়াতেই নতুন করে হামলা চালানো হয়েছে। নতুন ব্লক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন। তবে তা বেশি দিন চলবে না। আমরা কেশপুরে শান্তি আনবই।”

আইআইটিতে ‘শ্লীলতাহানি’
খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসেই এক মহিলা গবেষকের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ওই মহিলা খড়্গপুর টাউন থানার হিজলি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও তিনি যুবকদের পরিচয় জানাতে পারেননি। শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশও কারও হদিস পায়নি। মহিলার অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় হস্টেলে ফেরার সময় কয়েক জন যুবক তাঁকে উত্ত্যক্ত করে। ওড়না ধরে টানা হয়। প্রতি দিনই আইআইটি ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে বাইরের বহু মানুষ আসা-যাওয়া করেন। সে কারণে, বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে ঢুকলে তাঁর পরিচয় লিপিবদ্ধ করে রাখাটাই নিয়ম। এমনকী গাড়ির নম্বরও লিখে রাখার কথা নিরাপত্তাকর্মীদের। তা সত্ত্বেও কী করে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ জানায়, এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য আপাতত আইআইটি ক্যাম্পাসে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.