বাড়ি লাগোয়া ঝোপ থেকে এক মহিলা ও তাঁর নাবালক ছেলের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থানা এলাকার নাটাবাড়ড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম সোহাগী নমদাস (৩০) ও শুভ নমদাস (৬)। সোহাগীদেবীর গলায় কাপড় পেঁচানো ছিল। ওই মহিলার নাবালক ছেলের গলাতেও দাগ মিলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পরিকল্পিতভাবে ওই দুজনকে গলায় কাপড় ও দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। ঘটনার পর থেকে সোহাগী দেবীর স্বামী লালন নমদাস নিখোঁজ বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার শ্বশুর আনন্দ দাস ও শ্বাশুড়ি ঝুল নমদাসকে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “শ্বাসরোধ করে ওই মহিলা ও তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে অবশ্য ওই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দুই জনকে ধরা হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক মৃতার স্বামীর খোঁজ চলছে। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত হচ্ছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, নাটাবাড়ীর চাড়ালজানি এলাকার বাসিন্দা লালন নমদাসের সঙ্গে প্রায় ১১ বছর আগে সোহাগীদেবীর বিয়ে হয়। সাত-আট মাস আগে ওই দম্পতির বড় ছেলে অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরে ছোট ছেলে শুভ ও স্ত্রীকে নিয়ে জয়পুরে দিনমজুরের কাজ করতে যান লালন। প্রায় ছ’মাস জয়পুরে থাকবার পরে বুধবার তাঁরা গ্রামে ফেরেন। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে-বৌমা ও নাতিকে বাড়ীতে রেখে গ্রামেরই এক বাসিন্দার বাড়িতে কীর্তনের অনুষ্ঠানে যান লালনবাবুর বাবা আনন্দ নমদাস ও মা ঝুলু নমদাস। গভীর রাতে তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। বাড়িতে কেউ নেই। কিছুক্ষণ পরে খোঁজাখুঁজি করলে মা ও ছেলের দেহ মেলে। শুক্রবার ঘটনার কথা জানবার পর চাড়ালজানি গ্রামে ওই বাড়িতে যান এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বিধায়ক বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা। পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দ্রুত ঘটনার কিনারা করবার ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি।” |