নবদ্বীপ তারাসুন্দরী গার্লস হাইস্কুল (স্থাপিত ১৮৭০ সাল) নবদ্বীপ তো বটেই সম্ভবত নদিয়া জেলার মেয়েদের সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যালয়। কিন্তু স্কুলের সামনের রাস্তাটি প্রশস্ত না হওয়ার কারণে প্রতি দিন যানজট লেগেই থাকে। জনবহুল ও ব্যস্ততম ওই রাস্তা দিয়েই দু’টি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র, কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে পুরসভা ও রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মীরা যাতায়াত করে থাকেন। এতে বিশেষ করে স্কুল শুরু ও ছুটির সময়ে ওই গার্লস স্কুলের সামনে প্রচণ্ড যানজট হয়ে থাকে। সাধারণ পথচারীদের যেমন যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়ে থাকে, তেমনি স্কুলের ছাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অবিলম্বে ওই স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক পুলিশের বন্দোবস্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
উৎপলকুমার পাল, নবদ্বীপ
|
এক্সপ্রেস ট্রেন প্রধান প্রধান স্টেশনে দাঁড়াবে। এটাই নিয়ম। কিন্তু এই ‘প্রধান’ চিহ্নিতকরণটা যদি ঠিকঠাক না হয়, তবে নিয়মের মধ্যে ঢুকে পড়ে বেনিয়ম। সেক্ষেত্রে অনেক অপ্রধানের কপাল খোলে, আবার অনেক প্রধানেরও কপাল পোড়ে। পূর্বরেলের শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার ভগবানগোলা স্টেশনটির কথাই ধারা যাক। এই স্টেশনে নামা-ওঠা করা যাত্রীর সংখ্যা ওই শাখার অনেক তথাকথিত প্রধান স্টেশনকে কিন্তু টেক্কা দেবে। আবার ভগবাগোলার ঐতিহাসিক গুরুত্বও কম নয়। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বিকেলবেলায় পলাশির প্রান্তর থেকে পালিয়ে এসে ৩০ জুন সিরাজদ্দৌলা ধরা পড়েন এই ভগবানগোলার কাছেই। সব দিক থেকেই তাই ভগবানগোলা স্টেশনটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু এখনও এটি না পেল বড় স্টেশনের গরিমা, না পেল এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ-এর স্বীকৃতি। শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় কৃষ্ণনগরের পরে এমনিতেই ট্রেন সংখ্যা কম। তার উপর বহরমপুরের পর তো আরও কম। যেহেতু নতুন দেওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে দুটির যাত্রাপথ বহরমপুর পর্যন্ত। এই অবস্থায় ভগবানগোলাকে এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ থেকে বঞ্চিত করা কিন্তু সত্যিই দুর্ভাগ্যের!
সুদীপ জোয়ারদার, বহরমপুর
|
গঙ্গাতীরের দুই তীর্থক্ষেত্র শ্রীধাম নবদ্বীপ ও মায়াপুরের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম জলযান নৌকা। জলঙ্গি নদীর পাড়স্থিত হুলোরঘাট থেকে রওনা হয়ে মোহনা (জলঙ্গি ও গঙ্গার সংযোগস্থল) হয়ে ওপারের বড়ালঘাট (নবদ্বীপ ঘাট) পৌঁছানো খানিকটা সময়ের ব্যাপার। দেশি-বিদেশি পর্যটক ছাড়াও প্রতি দিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি যাত্রী নিরাপত্তার দিকটিও এখানে উপেক্ষিত। নৌকায় কোনও আচ্ছাদন না থাকায় রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে যাতায়াত করতে হয়। তেমনই লোহার জেটি থাকলেও নিচে বাঁশের জেটি দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। এছাড়া কোনও ভাবে নৌকা দুর্ঘটনার কবলে পড়লে যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেটের কোনও বন্দোবস্ত থাকে না। প্রশাসনও নির্বিকার। গোটা বিষয়টি সরজমিনে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাই।
সুরজিৎ মণ্ডল, ধুবুলিয়া
|
প্রায় ছ’বছর আগে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর ও রেজিনগর থানা এলাকার সংযোগকারী লোহাদহ ঘাটের উপরে সেতু নির্মাণের অনুমোদন পায়। ওই সেতু নির্মাণে ৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়, যার একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্প ও অপর অংশটি তৎকালীন কংগ্রেস পরিচালিত জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই সেতু নির্মাণ কাজ শুরুই হয়নি। কিন্তু ওই সেতু নির্মাণ হলে অন্তত ২০টি গ্রাম বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে লোহাদহ ফেরিঘাটের উপরে নির্ভরশীল। তাও নৌকা পরিষেবা রাত ৮টাতেই বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ওই সেতু নির্মিত হলে মুর্শিদাবাদ জেলার ২টি বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে যোগাযোগের দূরত্ব ৩০ কিমি কমে যাবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রদীপনারায়ণ রায়, শক্তিপুর
|