গন্ডার তাড়াতে গিয়ে, গন্ডারকেই গুলি করে বসলেন এক বনরক্ষী। মারা গেল গন্ডারটি। ঘটনাটি ঘটেছে কাজিরাঙার বাগোরি রেঞ্জে। পাশাপাশি, কাজিরাঙার ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত চর এলাকায়, বনরক্ষীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে এক চোরাশিকারির মৃত্যু হল। প্রথম ঘটনাটি ঘটে গত কাল বিকেলে। পূর্ব বোকাখাট রেঞ্জের ডিএফও দিব্যধর গগৈ জানান, গত কাল আজার কাঠোনি এলাকায় একটি গন্ডার জঙ্গল থেকে বের হয়ে পাশ্ববর্তী গ্রামে চলে আসে। সেখানে তখন বেশ কয়েকজন শিশু খেলা করছিল। গন্ডারটিকে ধাওয়া করেন এক বনরক্ষী ও এক হোমগার্ড। শূন্যে গুলি চালিয়ে গন্ডারটিকে তাড়াবার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। তখনই গন্ডারটি তাঁদের দিকে ধেয়ে আসে। হোমগার্ড পালালেও, বনরক্ষী পাঁকে আটকে যান। ধেয়ে আসা গন্ডারকে ভয় পাওয়াতে ফের গুলি চালান তিনি। সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গন্ডারটিকে বিদ্ধ করে। সে জঙ্গলের দিকে পালাবার সময় একটি বিলে পড়ে যায়। গগৈ বলেন, “সম্ভবত গুলির জখমের জন্য বিলটি সাঁতরে অন্য পাড়ে যেতে পারেনি গন্ডারটি। জলে ডুবে যায় সে। আজ বনরক্ষীরা জল থেকে গন্ডারের দেহটি উদ্ধার করে। সেখানেই তার ময়না তদন্ত হয়।” ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই বনরক্ষী ও হোমগার্ডের দোষ মেলেনি, তাই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়নি বলে ডিএফও জানান।
|
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা রেঞ্জের খড়কুসমা গ্রামের জঙ্গলে অবস্থান করা দলমার আরও ৪৫টি হাতি শুক্রবার বিকেলে ঢুকে পড়ল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বন বিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জের কলাবাগানের জঙ্গলে। মাত্রই দু-দিন আগে প্রথম দফায় এই পথ দিয়ে ঢুকেছে ২৭টি হাতি। শুক্রবার সেগুলি সোনামুখীর অর্জুনবাঁধ জঙ্গলে অবস্থান করছে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, খুব কাছাকাছি বেলিয়াতোড়ের বৃন্দাবনপুর জঙ্গলে রয়েছে ময়ূরঝর্না থেকে গত প্রায় দু-মাসে আসা ২৫টি হাতি সংঘাত এড়াতে ওই দলটিকে বিষ্ণুপুরে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। এ দিকে, হাতির তাড়া খেয়ে পড়ে গিয়ে এক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। বাঁকাদহ রেঞ্জের আধিকারিক বিজয় চক্রবর্তী বলেন, “আগের দলটি দ্রুত বাঁকাদহ ছেড়ে সোনামুখীর দিকে গিয়েছে। আশা করছি এই দলটিও ওই পথ অনুসরণ করবে। তবু গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। বনকর্মীরাও তাদের উপরে নজর রাখছে।”
|
হুড়ার লধুড়কা গ্রামে একটি বাড়ির কুয়ো থেকে শুক্রবার সকালে এই গন্ধগোকুল উদ্ধার হয়। ওই গ্রামের বাসিন্দা দেবদাস মুখোপাধ্যায় জানান, সকালে তাঁর ভাই মুখ-হাত ধুতে জন্য কুয়োর কাছে যেতেই এই প্রাণীটিকে দেখতে পান। কুয়োর মধ্যে একটি ছোট্ট খাঁজে আটকে ছিল সে। প্রাণীটি কোনও বিরল প্রজাতির ভেবে তাঁরা বালতি দিয়ে সাবধানে তাকে কুয়ো থেকে উপরে তুলে আনেন। পরে বনদফতরে খভর দেন। বন দফতরের কর্মীরা পরে প্রাণীটিকে হুড়া থানা এলাকার শামুকগড়িয়া পাহাড়ে ছেড়ে দেন। হুড়ার বিট অফিসার দেবাশিস ভঞ্জ বলেন, “এরা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বাস করে। রাকাব জঙ্গলের দিক থেকে কোনওভাবে এই গন্ধগোকুলটিও হয়তো লোকালয়ে চলে এসেছিল। আড়াই ফুটের মত লম্বা হবে।”
|
পল ম্যাকারর্টনি ও পামেলা আ্যন্ডারসনের তৎপরতায় মহারাষ্ট্র থেকে উদ্ধার হল গুরুতর জখম এক হাতি। বেঙ্গালুরুর অভয়ারণ্য হতে চলেছে তার নতুন ঠিকানা।
|
অভিনেতা মাধবনের সাত বছরের ছেলে নিজের জন্মদিনের উপহার নেয়নি। বন্ধুদের বলে, পশুপ্রেমী সংগঠন ‘পেটা’-কে যা পারো অনুদান করো। |