বোনকে কটূক্তি করছিল তিন জন। প্রতিবাদ করে দাদা। তাকে বেড়ধক মারধর করে ওই ‘ইভটিজার’রা পালায় বলে অভিযোগ। শুক্রবার দুপুরে বাগনানের এনডি ব্লকের এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’জনেই স্কুলপড়ুয়া। উত্তম দলুই নামে জখম কিশোরকে ভর্তি করা হয়েছে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে।
হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ভরতলাল মিনা বলেন, “ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তদন্তে নামে। ধরা পড়েছে দু’জন।” পুলিশ জানায়, ধৃতদের এক জন একাদশ শ্রেণির ছাত্র। বাড়ি খাজুট্টিতে। অন্য জন দশম শ্রেণির ছাত্র। মানকুড় মোড় এলাকায় তার বাড়ি। অন্য এক অভিযুক্তের খোঁজ করছে পুলিশ।
বাগনানের ঘটনা উস্কে দিয়েছে বছর দেড়েক আগে বারাসতে রাজীব দাসের পরিণতির কথা। দিদি রিঙ্কু দাসের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছুরির ঘায়ে প্রাণ যায় ভাই রাজীবের। ওই ঘটনায় অভিযুক্তেরা ধরা পড়লেও বারাসতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে এখনও আশঙ্কা থেকেই গিয়েছে। মাস খানেক ধরে একাধিক ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনায় বারাসতের নাম জড়িয়েছে। |
কী হয়েছিল বাগনানে? পানিত্রাস হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে উত্তম। তার পিসতুতো বোনও পড়ে একই ক্লাসে। সহপাঠী আরও দুই কিশোর-কিশোরীর সঙ্গে তারা এ দিন বাগনান ১ ব্লক অফিসে গিয়েছিল। সকলেই মতিমালা গ্রামের বাসিন্দা। বেলা ১টা নাগাদ এনডি ব্লকের রাস্তা ধরে বাগনান স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল ট্রেন ধরার জন্য। রাস্তাটি দুপুরের দিকে সুনসান থাকে। উত্তমের বোনের বক্তব্য, “ব্লক অফিস থেকে বেরনোর পরেই একটা সাইকেলে তিন জন পিছু নেয়। অনেক ক্ষণ ধরে আমাকে ও আমার বান্ধবীকে কটূক্তি করছিল ওরা। ক্রমেই মাত্রা ছাড়াচ্ছিল। তখন দাদা প্রতিবাদ করে।” উত্তম বলে, “ওরা বোন আর তার বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করছিল। সহ্য করতে না পেরে এক সময়ে বলি, কেন এমন করছ তোমরা? বাড়িতে কি মা-বোন কেউ নেই?” তার অভিযোগ, এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ঘিরে মারধর শুরু করে তিন ‘ইভটিজার’। তার ডান চোখে চোট লাগে। উত্তম বলে, “দু’জন আমাকে চেপে ধরেছিল। এক জন কিল-চড়-লাথি মারছিল। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই।” উত্তমের সঙ্গীদের চিৎকারে ছুটে আসেন পথচারীরা। পালিয়ে যায় তিন যুবক। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। উত্তমের বোন থানায় অভিযোগ দায়ের করে। |