বছর সাতেক আগে রাস্তায় মোরাম দিয়েছিল পঞ্চায়েত। তারপর থেকে আর ওই রাস্তা সংস্কারের আর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর ফলে ওই রাস্তা ভেঙেচুরে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। তারফলে এলাকার বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে দিয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হচেছন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের সকল স্তরে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর সাতেক আগে লাভপুরের হাতিয়া কবরডাঙা থেকে রায়পুর পর্যন্ত ৬ কিমি রাস্তায় মোরাম দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় হাতিয়া পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। কিন্তু তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সংস্কারের আর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর ফলে বর্তমানে ওই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে স্থানীয় প্রাথমিক ও হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। |
সপ্তম শ্রেণির হেনা খাতুন, নবম শ্রেণির তনুশ্রী মণ্ডলরা জানায়, স্কুলের রাস্তা গর্তে ভরা হওয়ার কারণে তাদের স্কুলে যেতে প্রায়ই দেরি হয়ে যায়। হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম মির্ধা বলেন, “এই স্কুলের বেশীরভাগ পড়ুয়া দরিদ্র পরিবারের। তাই স্কুলে আসার পথে যদি কারও ইউনিফর্ম ভিজে যায় তাহলে সে দুই-তিন দিন স্কুলে আসতে পারে না।”
দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীদেরও। রায়পুর গ্রামের সন্তোষ মণ্ডল, হাতিয়ার আব্দুল হক মির্ধারা বলেন, “ওই রাস্তা দিয়েই আমাদের হাসপাতাল এবং হাটে-বাজারে যেতে হয়। কিন্তু বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সংস্কারের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” যদিও রাস্তাটির বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত প্রধান মানু বাগদি। পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “শুধু ওই রাস্তাটিই নয়, প্রতিটি সংসদের ১টি করে রাস্তা সংস্কারের প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে।” |