টুকরো খবর
জীর্ণ হচ্ছে ব্লাড-ব্যাঙ্ক
প্রায় দুই দশক ধরে সংস্কারের অভাবে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের বেহাল দশা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে দুটি ল্যাবরেটরির ছাদ চুইয়ে মেঝেতে জল দাঁড়িয়ে যায়। দেওয়ালে ফাটল ধরায় বৃষ্টির জলে বিদ্যুতের সুইচ বোর্ড ভিজে শটসার্কিটের বিপদ বেড়েছে। পাখা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টির জল পড়ছে রক্ত মজুত রাখার ফ্রিজ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের উপরেও। ঘরের দরজার একাংশ ভাঙা। অভিযোগ উঠেছে সমস্যার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে লাভ হয়নি। যদিও সমস্যা কথা অস্বীকার করেননি হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি। তিনি বলেন, “ব্লাডব্যাঙ্কের পরিস্থিতি সত্যি খারাপ। যে কোনও সময় শর্টসার্কিট হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি ছাদ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কর্মীরা আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন।” বুধবার সকালে হাসপাতাল সুপার পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ব্লাডব্যাঙ্ক ঘুরে দেখেন। পরিস্থিতি দেখে তাঁরা আবাক। বৃষ্টির জল কিভাবে ভিতরে ঢুকছে এ দিন তাঁরা সেটাও খতিয়ে দেখেন। পরে হাসপাতাল সুপার বলেন, “পূর্ত দফতরের উদ্যোগে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে।” রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য অরিন্দম সরকার বলেন, “সমিতির তরফে ব্লাডব্যাঙ্কের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ১৯৯৭-এ বহির্বিভাগ সংস্কার করে ব্লাডব্যাঙ্ক চালু করা হয়। রিসেপশন, স্টোর ও ল্যাবরেটরি মিলিয়ে সেখানে ৭টি ঘর রয়েছে। এক চিকিৎসক এবং ৯ স্বাস্থ্যকর্মী ব্লাডব্যাঙ্কে কাজ করেন। রক্তের নমুনা ও কিট সংরক্ষণের জন্য ৮টি বড় ফ্রিজ এবং ৪টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র আছে। ব্লাডব্যাঙ্কের টেকনিশিয়ান অনির্বাণ বেরা বলেন, “তৈরির পরে সংস্কারের কাজ হয়নি। সামান্য বৃষ্টি হলে দুটি ল্যাবরেটরির ছাদ চুইয়ে মেঝেতে জল দাঁড়িয়ে যায়। ঘরের ছাদ ও দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। দেওয়াল চুইয়ে বৃষ্টির জলে সুইচ বোর্ড ভিজে শটসার্কিট হচ্ছে। পাখা চালানো সম্ভব হচ্ছে না।” বৃষ্টির জল যে ভাবে ফ্রিজ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের উপরে পড়ছে সেটা দেখে ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা চিন্তায়। আশঙ্কা সেগুলি বিকল হতে পারে। দরজার একাংশ ভেঙে যাওয়ায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালু রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। রক্ত সংরক্ষণ করার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ব্লাডব্যাঙ্ককর্মী নাড়ুগোপাল সাহা বলেন, “ঘরের ছাদ ভেঙে পড়তে পারে। অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটাও অসম্ভব কিছু নয়।”

ডায়মন্ডহারবার হাসপাতাল পরিদর্শনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
ছবি: দিলীপ নস্কর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শনে করে সার্বিক উন্নয়নের আশ্বাস দিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি হাসপাতালে পৌঁছন। এর পরে তিনি হাসপাতাল সুপার চিরজ্ঞীব মুর্মু, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শিখা অধিকারি, ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার ও কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে বৈঠক করেন। চন্দ্রিমাদেবী জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর রাজ্য সরকার নতুন করে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছে। ফলে হাসপাতালের কর্মী সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অনুরোধ বা নির্দেশ যাই-ই ভাবুন, চিকিৎসকেরা যেন সঠিক পরিষেবা প্রদান করেন। সরকার তাঁদের পিছনে সবসময় রয়েছে।” বৈঠকের পরে তিনি গোটা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স ও এক্স-রে মেশিনের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে সমাজবিরোধীদের আনাগোনা বন্ধ করতে এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ- প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সমগ্র পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে।” ওষুধপত্র সরবরাহ এবং হাসপাতালের সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নতির আশ্বাস দেন তিনি। এ দিন মন্ত্রী যখন যখন মহিলা ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন সেখানে তখন রোগীদের খাবার দেওয়া হচ্ছিল। খাবারের গুণমান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। ভাল মানের খাবার পরিবেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দেশ দেন তিনি।

কল্যাণীতে হাসপাতালে ভাঙচুর
চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতাল সুপারের ঘরে ভাঙচুর চালাল মৃতের আত্মীয়েরা। বুধবার দুপুরে কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণীর মাঝেরচরের যুবক মিকু সিংহ বিষ খেলে তাঁকে মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে তিনি মারা যান। মিকুর আত্মীয়রা মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে নার্সরা তা জানাতে চান নি। এরপর উত্তেজিত হয়ে তারা সুপারের ঘরে ও ওয়ার্ডে ভাঙচুর করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ। হাসপাতালের সুপার নিরুপম বিশ্বাস বলেন,“ভর্তি হওয়ার সময়ই রোগীর অবস্থা সংকটজনক ছিল। তাই চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি। আত্মীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয়নি।”

চালু হবে নয়া পরিষেবা
রোগীদের আরও উন্নত পরিষেবা দিতে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নানা প্রকল্পের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে একটি হলচিকিৎসকদের সঙ্গে ওই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা যাতে সরাসরি অসুবিধার কথা জানাতে এবং চিকিৎসকেরা বাড়িতে বসেই রোগী ও নার্সদের পরামর্শ দিতে পারেন সে জন্য পিবিএক্স এবং ‘ভয়েস রেকর্ডিং’ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। হাসপাতাল সুপার মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “দুর্গাপুজোর আগে অথবা নভেম্বরের প্রথম দিকে ওই ব্যবস্থা চালু করা হবে। পাশাপাশি রোগীর লোকজনের সঙ্গে কথা বলার জন্য বর্তমানে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বৈঠক করবেন চিকিৎসকেরা।” হাসপাতাল চত্বরে টেন্ডারের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই একটা ওষুধের দোকান খোলা হচ্ছে। সেখানে সব ধরনের ওষুধ বাজার দর থেকে ৩০-৪০ শতাংশ ছাড়ে পাওয়া যাবে বলে সুপার জানিয়েছেন। চালু হচ্ছে ডায়ালিসিস কেন্দ্র। সেখানে একসঙ্গে ৫ জনের ডায়ালিসিস করা যাবে।

কালনায় আন্ত্রিক, হাসপাতালে ১৫
—নিজস্ব চিত্র।
পুকুরের জল দূষিত হয়ে গিয়েছে। তার থেকে ছড়াচ্ছে আন্ত্রিক। এমনই অভিযোগ কালনা ২ ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের উত্তর খাগরাকুর গ্রামে। বাসিন্দাদের দাবি, গত চার দিনে গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের গ্রামেই চিকিৎসা চলছে। সম্প্রতি একটি পুকুরের জল দূষিত হয়ে যাওয়ায় তা থেকেই মূলত এই রোগ ছড়াচ্ছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ওষুধ বিলি ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর হয়। কালনার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “জল দূষিত হওয়ায় ওই গ্রামে আন্ত্রিক ছড়াচ্ছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

ফল বিতরণ
রাজীব গাঁধীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ফল বিতরণ করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বুধবার বাসুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফল ও পথ্য বিতরণ করে মহিষাদল রাজ কলেজের টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদ।

অভিযুক্ত চিকিৎসক
প্যাথলজি ক্লিনিকের ‘সহায়তায়’ বধূকে অন্তঃসত্ত্বা দেখিয়ে গর্ভপাত করানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মালদহের বুলবুলচণ্ডী হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.