টুকরো খবর
ব্যাঘ্র সংরক্ষণ আইন খতিয়ে দেখার আর্জি নিয়ে কোর্টে কেন্দ্র
বাঘের ডেরায় পর্যটন বন্ধ করার অন্তর্বর্তী সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে গেল কেন্দ্র। বিভিন্ন রাজ্যের থেকে পাওয়া আবেদনের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতের কাছে কেন্দ্র এবং জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের যৌথ আর্জি, বাঘ সংরক্ষণের বর্তমান নিয়মকানুন আরও এক বার খতিয়ে দেখা হোক। ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর অঞ্চলে পর্যটন বন্ধ করে দিলে কী কী সমস্যা হতে পারে, কেন্দ্রের হলফনামায় সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রের মতে, পর্যটন বন্ধ হলে শুধু বহু মানুষ বা অরণ্যবাসী জীবিকা হারাবেন এমন নয়, জাতীয় পশুর নিরাপত্তাও যথেষ্ট প্রশ্নের মুখে পড়বে। তাই হলফনামায় সংরক্ষণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির দেওয়া পরামর্শেরও উল্লেখ রয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের মত, বাঘের ডেরায় পর্যটন বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ দেশের অন্যতম ঐতিহ্যকে চাক্ষুস করার সুযোগ হারাবেন। অন্য দিকে, শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত মানতে গিয়ে কিছু রাজ্য নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছামতো ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এবং বাফার অঞ্চল চিহ্নিত করছেন বলে অভিযোগ সিপিআই সাংসদ ডি রাজার। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, কোনও গ্রামসভা বা বৈঠক না ডেকেই রাজ্যগুলি ইচ্ছামতো বাফার এলাকা চিহ্নিত করার ফলে আদিবাসীদের অরণ্যের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে শীর্ষ আদালতের দেওয়া সময়সীমা আদৌ যথেষ্ট নয়।

জমিতে বর্জ্য, প্রতিবাদে বন্ধ রুটের বাস
পুরসভার ফেলা আবর্জনায় দুর্গন্ধে থাকতে পারছেন না বাসকর্মীরা। অসুস্থতার কবলে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন যাত্রীরাও। রিষড়া স্টেশন-সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড-লাগোয়া জায়গায় ওই আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরেই। এই অভিযোগে এবং অবিলম্বে আবর্জনা সরানোর দাবিতে মঙ্গলবার ওই স্ট্যান্ড থেকে চুঁচুড়া ও হাওড়া রুটের বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বাসকর্মীরা। রিষড়া থেকে চুঁচুড়ায় যায় ২ নম্বর রুটের বাস। ৫৪/২ রুটের বাস হাওড়ায় যায়। এ দিন সকালে বাস স্ট্যান্ডের সামনে সার দিয়ে বাস দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে কিছু ক্ষণের জন্য ওই রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ২ নম্বর রুটের বাগখাল-চুঁচুড়া বাস চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। আইএনটিটিইউসি-র ২ নম্বর বাস সংগঠনের সভাপতি গোবিন্দ দাশগুপ্ত বলেন, “পুরসভা দীর্ঘ দিন ধরেই বাসস্ট্যান্ড-লাগোয়া জমিতে বর্জ্য পদার্থ ফেলছে। প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বিষয়টি পুরসভাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তারা কোনও কথা কানে তুলছে না।” ওই আবর্জনা না সরানো পর্যন্ত বাস চালানো হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্করপ্রসাদ সাউ বলেন, “আমরা সাময়িক ভাবে ওই জায়গায় ময়লা ফেলছি। ওখানে পচনশীল এবং অপচনশীল পদার্থ থেকে জৈব সার প্রকল্পের কাজ হবে। তার আগে কিছু দিনের জন্য হয় তো সামান্য সমস্যা হতে পারে। তবে তার জন্য বাস বন্ধের কোনও যৌক্তিকতা নেই।”

হাতি নিয়ে সতর্কতা
চাষের খেতে হাতির হানা। বাঁকাদহে শুভ্র মিত্রের তোলা ছবি।
হাজারিবাগ থেকে সুবর্ণরেখা নদী পার হয়ে ঝালদায় ঢুকে পড়া ১৩টি হাতিকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছে পুরুলিয়া বন দফতর। শুক্রবার ঢোকা হাতির দলটি সোমবার ঝালদা-বাঘমুণ্ডি লাগোয়া হেঁসলা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিল। মঙ্গলবার ভোরে তারা বাঘমুণ্ডির বাঁধডি গ্রামে হানা দিয়ে কিছু খেতের সব্জি ও ধান নষ্ট করে। বন দফতর জানিয়েছে, সুবর্ণরেখায় জল বেশি থাকায় রবিবার রাতে ওপারে ফিরতে গিয়েও হাতিদের দলটি নদীর তীর থেকে ফিরে আসে। পুরুলিয়ার ডিএফও অজয় কুমার দাস বলেন, “নদীতে জল থাকায় ওরা যেতে পারছে না। তাই জল না কমা পযর্ন্ত ওদের খেদানো হবে না। তবে ওদের উপর নজর রয়েছে।” অন্য দিকে, দলমার ২০টি হাতির পাল পশ্চিম মেদিনীপুর ছেড়ে বিষ্ণুপুরের সীমান্তে আমডোবা গ্রামের কাছে এসে পৌঁছয় সোমবার রাতে। শিলাবতী নদী পেরিয়ে আসা এই দলটির পিছনে রয়েছে ৪৫টি হাতির আরও একটি দল। বাঁকাদহ রেঞ্জের আধিকারিক বিজয় চক্রবর্তী বলেন, “ফসল বাঁচানো ও দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য গ্রামবাসীদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। বন কর্মীদের নিয়ে হাতির দলটির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।”

জোড়া ময়াল
—নিজস্ব চিত্র।
জোড়া ময়াল উদ্ধার হল কাশীপুরে। মঙ্গলবার সকালে কাশীপুর থানার ধতলা গ্রামের কাছে প্রায় সাড়ে ৬ ফুটের একটি ময়াল দেখতে পান বাসিন্দারা। তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বনকর্মীরা ময়ালটিকে উদ্ধার করেন। কাশীপুরেরই সুঁড়া গ্রামের কাছে ৭ ফুটের আরও একটি ময়ালের সন্ধান পাওয়া যায়। বনকর্মীরা সেই সাপটিকেও নিয়ে যান। কাশীপুরের রেঞ্জ অফিসার বলরাম পাঁজা বলেন, “গ্রামবাসীরা সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে কেউ ময়াল দু’টিকে আঘাত করেননি। পরে তাদের স্থানীয় হাঁড়িভাঙা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু
সাপে কাটায় মৃত্যু হল এক কিশোরের। মঙ্গলবার কাঁকসায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম গৌতম বাগদি (১৫)। বাড়ি গৌরতলায়। সে মায়ের সঙ্গে মাঠে গিয়েছিল। মাঠ থেকে ফেরার পথে তাঁকে সাপে কাটে। বাড়ি ফেরার পর তাকে কাঁকসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার।

চিতাবাঘের মৃত্যু
উত্তরাখণ্ডে অম্বরি বনে ফাঁদ থেকে ১টি জখম চিতাবাঘকে উদ্ধার করেছিল রক্ষীরা। মঙ্গলবার সেটি মারা গিয়েছে। ফাঁদ পেতেছিল কারা, চলছে তদন্ত।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.