নির্ভয়পুর বিজি নীলকণ্ঠ শিক্ষানিকেতন |
প্রতিষ্ঠা ১৯৬৭।
ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১০০০।
মোট শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০ জন।
শিক্ষাকর্মী ৩ জন। পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকা ৩ জন।
২০১২ সালে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৯৮ জন। উত্তীর্ণ ৮৮ জন। |
|
|
নিরাপদ পাঁজা
(প্রধান শিক্ষক) |
|
আর্থিক কারণে স্কুলভবনের দৈন্যদশা এখনও কাটানো যায়নি |
কম এবং সাধারণ মেধার ছাত্র-ছাত্রীদের ‘তৈরি করে’ তোলাই আমাদের লড়াই। ছাত্র-ছাত্রীদের ৮০ শতাংশই তপসিলি জাতি, উপজাতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। অত্যন্ত দরিদ্র শ্রেণির। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯০-১০০ শতাংশ উত্তীর্ণই শুধু হয় না, বিভিন্ন বিষয়ে অনেকেরই ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর ওঠে। মহকুমার মধ্যে ভাল স্কুলগুলির সঙ্গে টেক্কা দিতে পারছি আমরা। শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা নিয়ে বিশেষ ভাবে সচেতন সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা। জুনিয়র হাইস্কুল হিসেবে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৭ সালে। সে সময় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৫০ জন। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত চিকিৎসক জগন্নাথ কার্ফা। ১৯৮২ সালে স্কুলটি মাধ্যমিক হিসেবে উন্নীত হয়। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হল। কিন্তু আর্থিক কারণে স্কুল ভবনের দৈন্যদশা কাটিয়ে ওঠা যায়নি। কোনও করণিক না থাকায় ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। শ্রেণি-একক সংখ্যা অনুযায়ী অবিলম্বে আরও ৯ জন শিক্ষকের প্রয়োজন। শ্রেণি-কক্ষও অপ্রতুল। উপযুক্ত ল্যাবরেটরি এবং লাইব্রেরি নেই। খেলার মাঠটির সংস্কারও একান্ত জরুরি। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার মান উন্নয়নের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাংস্কৃতিক বিষয়ে প্রতিযোগিতাগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের যোগদান করা করা নিয়েও আমরা যত্নবান হচ্ছি। বিদ্যালয়ের নতুন পরিচালন কমিটি স্কুলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাঁদের কর্মতৎপরতায় সমস্যাগুলি দ্রুত কাটানো যাবে বলে বিশ্বাস। |
আমার চোখে
লাবণী বন্ধু
(ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট গার্ল) |
|
|
আমাদের কিছু শেখাবার জন্য শিক্ষকদের মরিয়া চেষ্টাটাই স্কুলের প্রধান আকর্ষণ। সব রকম ছাত্র-ছাত্রীর প্রতি সম্যন মনোযোগ দেন তাঁরা। পড়াশোনা ছাড়া অন্যান্য বিষয়েও যাতে সুশিক্ষিত হতে পারি সে বিষয়েও সচেতন থাকেন। স্কুলে উপযুক্ত লাইব্রেরি না থাকায় অসুবিধা হয়। শ্রেণি-কক্ষও কম। কম্পিউটার শিক্ষার দাবি আছে। উপযুক্ত সরঞ্জাম-সহ ল্যাবরেটরিও পড়ুয়াদের জন্য খুবই জরুরি। |