গীতিকা শর্মার আত্মহত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল কাণ্ডার বিরুদ্ধে আজ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অভিযোগ আনল দিল্লি পুলিশ। ভুয়ো মেল পাঠিয়ে হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কী কারণে এই নয়া অভিযোগ? দিল্লি পুলিশের দাবি, কাণ্ডার সংস্থা ছাড়ার পর দুবাইয়ে যে বিমানসংস্থায় গীতিকা কাজ করতেন সেখানে একটি ভুয়ো ই-মেল আই-ডি থেকে নকল ই-মেল পাঠান ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত অরুণা চাড্ডা। তাতে তিনি ওই সংস্থাকে জানান, জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত গীতিকা। এর পরই ওই বিমানসংস্থা থেকে ছাঁটাই করা হয় গীতিকাকে। সুইসাইড নোট থেকে জানা যায়, এর পরেই আরও মুষড়ে পড়েন গীতিকা। পুলিশের অনুমান, চাড্ডাকে দিয়ে ওই কাজ করান কাণ্ডাই। সেই জন্য আজ তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে আজ কিছু নতুন তথ্যও সামনে এসেছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, চাড্ডা জেরায় কিছু মিথ্যে বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, গীতিকার এক মাস আগে তিনি কাণ্ডার সংস্থায় যোগ দেন। কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার থেকে পুলিশ জেনেছে অরুণা ওই সংস্থায় যোগ দেন ২০০৪-এ। তবে গত কালের পর আজ ফের চাড্ডাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশের আবেদন খারিজ হয়েছে।
এর মধ্যেই গীতিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কী ভাবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হল, তা নিয়ে আজ প্রশ্ন তুললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মমতা শর্মা। তাঁর অভিযোগ, গীতিকা-মামলায় পুলিশ পদক্ষেপ করতে অকারণ দেরি করেছে। তাই ঘটনার দশ দিন পরেও মূল অভিযুক্ত কাণ্ডাকে গ্রেফতার করতে পারেনি তাঁরা। মমতা জানান, গীতিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরিষ্কার যে দিনের পর দিন হেনস্থার শিকার হয়েই এই পথ নিয়েছেন গীতিকা।
|