তিনটি ভিন্ন ঘটনায় আরামবাগ মহকুমায় তিন জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘরের কড়িকাঠ থেকে রবিবার রাতে গোঘাটের ফলুই গ্রামের হাটপুকুর পাড়ার বাসিন্দা সুমু মালিকের (১৭) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পারিবারিক অশান্তির জেরে সে আত্মঘাতী হয় বলে পুলিশের অনুমান। একই ভাবে ওই রাতেই খানাকুলের পিলখাঁ গ্রামের বাসিন্দা সহদেব মান্নার (৭৫) দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণেই আত্মঘাতী হন বলে পুলিশের অনুমান। সোমবার সকালে পুড়শুড়ার চিলাডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা সমীর সামন্তের (৩২) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এ ক্ষেত্রেও পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তিতে তিনি আত্মঘাতী হন। তিনটি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ।
|
‘ভাবমূর্তি’ নিয়ে উদ্বেগ তৃণমূলে |
খুনে অভিযুক্তকে ছাড়াতে দলীয় নেতার থানায় তদ্বির করতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে হুগলির তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রের খবর, ইদানীং দলের মুষ্টিমেয় কিছু নেতার ‘কাজকর্মে’ দলের ‘ভাবমূর্তি’ ক্ষুন্ন হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব বৈঠকে বসবে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার চিমা নামে এক দুষ্কৃতীকে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই দুষ্কৃতীকে ছাড়াতে থানায় হাজির হন শ্রীরামপুর শহর তৃণমূলের এক পদস্থ নেতা। এলাকার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেন, “দলের কেউ পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করলে দল বরদাস্ত করবে না। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। সাংসদ বলেন, “ওই দিন পুলিশের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে আমি ওই নেতাকে থানা থেকে বের করে দিতে বলি।”
|
আরামবাগে লরির ধাক্কায় মৃত্যু প্রৌঢ়ের |
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ় সাইকেল আরোহীর। রবিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে হুগলি জেলার আরামবাগের ভাটার মোড়ে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অনিল সাঁতরা (৫৮)। বাড়ি বর্ধমান জেলার মাধবডিহি থানার সুন্দরপুর গ্রামে। তিনি আরামবাগ-বর্ধমান রোড ধরে আরামবাগের দিকে আসছিলেন। সে সময়ে উল্টো দিক থেকে আসা লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় অনিলবাবুকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান বলে জানায় পুলিশ। দেহটি পরে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়।
|
শ্রীরামপুরে অগ্নিদগ্ধ ৩ শিশু |
লম্ফ থেকে ঘরে আগুন লেগে যাওয়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছে ৩টি শিশু। সোমবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে হুগলির রিষড়ার ৪ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন বস্তিতে। পুলিশ জানায়, রাত পৌনে ৯টা নাগাদ লম্ফ থেকে দরমা এবং প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া ওই ঘরে আগুন লাগে। ঘরে ৩টি শিশু ছিল। তিন জনকেই উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। |