রেললাইনের উপরেই প্রায় এক ঘণ্টা পড়ে রইল ট্রেনের ধাক্কায় মৃত এক রেলকর্মীর দেহ। সেই লাইন দিয়ে চলাচল করল ট্রেনও।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ কাটোয়া শহরের লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দেহ তুলতে রেলপুলিশ দেরি করেছে। রেলপুলিশের অবশ্য দাবি, খবর পাওয়ার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম জয়প্রকাশ রাম (৩৭)। তিনি নবদ্বীপের রেলকর্মী। থাকতেন কাটোয়া রেল আবাসনে। এ দিন বিকেলে একটি ডিজেল ইঞ্জিনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর। এলাকার বাসিন্দারা জানান, রেললাইনে মৃতদেহ পড়ে থাকার সময়ে হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন পেরিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রেনচালক বলেন, “আমরা জানি, বিষয়টি অমানবিক। কিন্তু রেলের নিয়ম মেনে আমরা ট্রেন চালাতে বাধ্য।”
কিছু দিন আগেও ট্রেনে পা কাটা যাওয়া এক যুবককে হাসপাতালে পাঠানো নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের মধ্যে টানাপোড়েনের অভিযোগ উঠেছিল কাটোয়ায়। প্রাণে বাঁচলেও শেষ পর্যন্ত ওই যুবকের একটি পা বাদ যায়। এ দিনের ঘটনার পরে বাসিন্দাদের প্রশ্ন, লেভেল ক্রসিং থেকে স্টেশন দশ মিনিটের পথ। তা সত্ত্বেও দেহ তুলতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগল কেন? কাটোয়া স্টেশন ম্যানেজার দিলীপকুমার মণ্ডল বলেন, “সাড়ে ৫টা নাগাদ ঘটনার কথা শুনি। তার পরেই রেলপুলিশকে জানিয়েছি।” কাটোয়া রেলপুলিশের ওসি তুষার সর্দার অবশ্য বলেন, “৬টা নাগাদ স্টেশন কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা আমাদের লিখিত ভাবে জানান। তার পরে ডোম জোগাড় করে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।” |