মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকারকে শিলিগুড়ি জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের বোর্ডে মনোনীত করা হয়নি কেন, এই প্রশ্নে সংস্থার চেয়ারম্যান সমর চক্রবর্তীকে ঢুকতে বাধা দিলেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিলিগুড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। চেয়ারম্যান অফিসে ঢুকতে না-পারায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত জরুরি বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়। ফলে, শিলিগুড়ি মহকুমায় প্রাথমিক শিক্ষক পদে ২০০৯ সালের ১৭০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়াও অথৈ জলে। শুধু তা-ই নয়, রাজ্যে ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যে প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে তা থেকেও শিলিগুড়ি বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চেয়ারম্যান সমরবাবু। তিনি বলেন, “যা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে।” এই ঘটনার কথা শুনেছেন রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। মানিকবাবু বলেন, “ক্ষোভ-বিক্ষোভ, আন্দোলনও হতে পারে। তা কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা আলোচনা সাপেক্ষ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আন্দোলনের জেরে শিক্ষক নিয়োগ থমকে যাওয়া। আগের আবেদনকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা জরুরি। না হলে আগামী দিনে নতুন নিয়োগের সুযোগ শিলিগুড়ি পাবে না। তা হলে বেকার তরুণ-তরুণীদের চরম ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।” আগের আবেদনকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর পরেই আরও ৪০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের সম্ভাবনা আছে। সংসদ সূত্রের খবর, এ দিন বৈঠক ডাকা হয়। যাকে ঘিরে প্রশ্ন সেই বিধায়ক শঙ্করবাবু বলেন, “নিয়ম মেনেই সব কিছু করা উচিত। কেউ তা না করলে দায় তাদের নিতে হবে।” চেয়ারম্যান জানান, শঙ্করবাবুর নাম না থাকা নিয়ে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে জানানো হয়। কিন্তু, সেখান থেকে জানানো হয়, শঙ্করবাবু বিধানসভার নিজেকে শিক্ষা সংসদের সদস্য মনোনীত করার জন্য মনোনয়ন পেশ করেননি। |