|
|
|
|
গণ-ইস্তফায় সঙ্কট ফরওয়ার্ড ব্লকে |
সন্দীপন চক্রবর্তী • কলকাতা |
সরল দেব এবং সদস্যপদ-বিতর্কের জেরে গণ-ইস্তফার ধূম পড়ল বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকে!
সদস্যপদের প্রশ্নে জেলা নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে রাজ্য নেতৃত্ব কাজ করছেন, এই অভিযোগে ফব-র রাজ্য কমিটির চার জন-সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির ৪৯ জন সদস্য কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন! তাঁদের মধ্যে জেলা সম্পাদক-সহ প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়কেরা আছেন। জেলার ১১ সদস্যের সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে ৯ জনই পদত্যাগ করেছেন! স্বাধীনতা দিবসে জেলা কমিটির বিশেষ বৈঠক ডেকে প্রস্তাব পাশ করে সদস্যদের ইস্তফার কথা উল্লেখ করে তা ফ্যাক্সে এবং মুখবন্ধ খামে পাঠানো হয়েছে ফব-র রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষের কাছে। প্রস্তাবে সই করেছেন সব পদত্যাগীই। দলের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাসের কাছেও চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক কালের বাম রাজনীতিতে বিরল এমন ‘বিদ্রোহে’ বেনজির সঙ্কটে ফব। রাজ্য সম্পাদক অশোকবাবু জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। আজ, শুক্রবার ওই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা। বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য, জেলা কমিটিকে এড়িয়ে সদস্যপদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। তাঁদের ওই মনোভাব মাথায় রেখেই কোনও রফাসূত্র বার করার চেষ্টা চলছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
ফব-র সদস্যপদ নবীকরণ শেষ হয়েছে ৩০ জুন। প্রাক্তন মন্ত্রী সরলবাবু সদস্যপদ নবীকরণ না-করালেও গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সদস্যপদের স্ক্রুটিনি এবং তা চলাকালীন কোনও আবেদনের জন্য ৩১ অগস্ট পর্যন্ত সময় ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু সরলবাবু কোনও আবেদন না-করলেও রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে তাঁর ও অনুগামীদের জন্য প্রায় ১৫০ সদস্যপদের ফর্ম দু’দিন আগে জেলায় আসতেই সমস্যা ঘনীভূত হয়। বারাসতে জরুরি ভিত্তিতে ডাকা বুধবারের বৈঠকে সরলবাবু এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত রঞ্জিত চৌধুরী ছিলেন না। জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বাকি ৯ সদস্যই ইস্তফার প্রস্তাবে সই করেন। জেলা কমিটির সদস্য ৬৮। তার মধ্যে ৪৯ জন ইস্তফার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোর্তাজা হোসেন অসুস্থতার জন্য বৈঠকে ছিলেন না। কিন্তু ‘দূত’ পাঠিয়ে তাঁর সই আনা হয়েছে। মোর্তাজার সঙ্গেই জেলা থেকে আরও ৩ জন আব্দুল বারি, হরিপদ বিশ্বাস ও অনির্বাণ চৌধুরী রাজ্য কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে অনির্বাণবাবু ফব-র যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন ফব-র রাজ্য সম্পাদক অশোকবাবু। তবে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চাননি। ইস্তফার কারণ নিয়ে মুখ খোলেননি জেলা সম্পাদক হরিপদবাবুও। |
|
|
|
|
|