নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
দক্ষিণ দিনাজপুরে এডস রোগী বাড়ছে। সরকারি হিসাবে পাঁচ বছর আগে এই জেলায় এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ জন। ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত এডসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৭। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এটাই প্রকৃত সংখ্যা নাকি আক্রান্তের সংখ্যা আরও তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। কেননা, সামাজিক নিরাপত্তার ভয়ে রোগ লুকিয়ে রাখার ঘটনা রয়েছে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আশঙ্কা, এখনই পদক্ষেপ করা না-হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। এই জেলা থেকে শ্রমিকের কাজে প্রচুর তরুণ, তরুণী ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। তাদের অনেকের বেপরোয়া জীবনযাপনের ফলে শরীরে এইচআইভির ভাইরাস দানা বাঁধছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হয়ে কাজল মন্ডল বলেন, “এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ করতে দ্রুত প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ২০০৭ সালে এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের একত্রিত করে এ জেলায় গড়ে ওঠে ‘দক্ষিণ দিনাজপুর সোসাইটি অব পিপলস লিভিং ইউথ এইচআইভি এডস’ নামে একটি সংগঠন। ওই বছর মোট ১১ জনকে নিয়ে কাজ শুরু হয়। ২০০৮ সালে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে রোগীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ, নিয়মিত ওষুধ খাওয়া এবং খাবারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজে নামে ওই সংগঠন। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ২৮৭ জন রোগীকে সংস্থার সদস্য করা হয়। সংস্থার সম্পাদক সোবাহান মণ্ডল বলেন, “এর দ্বিগুণ রোগী সমাজে আত্মগোপন করে আছেন বলে আমাদের সন্দেহ। গরিব শ্রেণির রোগীদের মূলত সংস্থার অধীনে আনা সম্ভব হয়েছে। উচ্চবিত্তরা বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন।” সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, লুকিয়ে থাকা রোগীরাই রোগ ছড়াচ্ছেন। এরা রোগ গোপন করে বিয়ে করছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদকের কথায়, “জেলায় যৌনপল্লি নেই। হিলি সীমান্তে বর্হিবাণিজ্যের জন্য ভিনরাজ্যের ট্রাক চালকদের প্রচুর যাতায়াত রয়েছে। ২০১২-র মার্চ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৮২ জন হলেও পরে তিন মাস আরও ৫ জন বেড়েছে।”
|
প্রাচীন কাল থেকেই ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে রোগ নিরাময়ে আদা ব্যবহার করা হয়। এ বার বিজ্ঞানীদের গবেষণাতেও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আদার উপযোগিতার প্রমাণ মিলল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দাবি, দেখা গিয়েছে আদা পেশি কোষের গ্লুকোজ-গ্রহণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। সম্প্রতি জার্নাল প্ল্যান্টা মেডিকায় তাঁদের এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রির অধ্যাপক বাসিল রোফোগ্যালিস এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। তাঁর দাবি, “বিউডেরিম প্রজাতির আদার নির্যাস পেশি কোষে গ্লুকোজ গ্রহণের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।” তিনি জানান, আদার রাইজোমে জিনজেরল নামে এক ধরনের ফেনোলিক উপাদান থাকে, যা পেশি কোষে গ্লুকোজ গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে এটি ইনসুলিনের সঙ্গে স্বাধীন ভাবে শর্করার পরিমাণ কমাতে পেশি কোষগুলিকে সাহায্য করে। রক্তে শকর্রার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তা ডায়েবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর। যা থেকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে বলে জানান তিনি। বাসিলের মতে, পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে খুব সামান্য পরিমাণ আদার নির্যাসই পেশি কোষের গ্লুকোজ গ্রহণের ক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
|
স্থায়ী চালকের অভাবে পড়ে নষ্ট ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
স্থায়ী চালকের অভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া আইসিটিসি মোবাইল ল্যাবরেটরি ভ্যান পড়ে বিকল হয়েছে। লাটে উঠেছে দুই দিনাজপুর ও মালদহ জেলায় এডস রোগ নির্ণয়ের কাজ। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ সহ বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের উদাসীনতার কারণে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যার কথা স্বীকার করে উত্তর দিনাজপুরের উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌতম ঘোষ বলেন, “স্থায়ী চালকের অভাবে আইসিটিসি মোবাইল ল্যাবরেটরি ভ্যানটি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সেটি বিকল হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। তিন জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় এডস নির্ণয়ের কাজ বন্ধ আছে। সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ভ্যানের স্থায়ী চালক নিয়োগ করার আবেদন করা হয়েছে।” উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্তারা সমস্যার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দুষেছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোক্তার আলি সর্দার বলেন, “স্থায়ী চালক না থাকায় একবছর ধরে এডস রোগ নির্ণয়ের কাজ হচ্ছে না। জেলা ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে সমন্বয় না থাকায় ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।”
|
ছোটবেলায় মাকে দেখেছিলেন গরিব মানুষের সেবা করতে। জামাকাপড় থেকে বইপত্র, ওষুধপত্র দিয়ে তাঁদের সাহায্য করতেন। তাঁরা যাতে স্বনির্ভর হয়ে দাঁড়াতে পারেন সে জন্যও আজীবন চেষ্টা করে গিয়েছেন। মা জ্ঞানদা সরকারের সেই সেবার কাজকে আদর্শ করে নিজেও তাতে ব্রতী হয়েছে ৭১ বছরের বীরেন্দ্রকুমার। তার পথ ধরেই রবিবার হাবরার গণদীপায়নে এক স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তিনি। স্থানীয় এবং কলকাতা থেকে চিকিৎসকেরা এসে রোগী দেখলেন। তাঁদের ওষুধপত্র দিলেন। সবই বিনামূল্যে। তবে এই একবারই নয়, প্রতি মাসেই একদিন করে এই স্বাস্থ্যশিবির করা হবে বলে জানিয়েছেন রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রমের সঙ্গে যুক্ত বীরেন্দ্রবাবু।
|
পুলিশের উদ্যোগে শিবির সংবর্ধনা |
জনসংযোগ বাড়াতে রবিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও ওষুধ বিতরণ শিবিরের আয়োজন করল কালনা থানা। পূর্বস্থলী থানা নাগরিক কমিটি আয়োজন করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। কালনা থানার উদ্যোগে আয়োজিত মেদগাছি উচ্চবিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য শিবিরে ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। মহকুমা হাসপাতালের প্রাক্তন স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ অমিয়কান্তি তা বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভীতি কাটাবে।” পূর্বস্থলী থানা মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ছিল ফুটবল প্রতিযোগিতাও। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরুণ হালদার, মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি প্রমুখ।
|
দুঃস্থদের রোগ নির্ণয় ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে রবিবার স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে একটি স্বাস্থ্য শিবির করা হয়। উদ্যোক্তা ছিলেন নানুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এ দিন বিনামূল্যে ৭০ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়িতে চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন চেন্নাই অ্যাপলো স্পেশালিটি হাসপাতালের পেডিয়েট্রিক অর্থোপেডিক এবং ‘স্পাইন সার্জেন’ আর শঙ্কর। এ জন্য ২-৩ মাস অন্তর শিলিগুড়িতে আসবেন তিনি।
|
চিকিৎসা সত্ত্বেও দেহে যক্ষ্মার ব্যাক্টেরিয়া জীবিত থাকলে এ বার ধরা যাবে সহজে। নয়া পদ্ধতিতে কেবল ওই কোষগুলিকেই চিহ্নিত করার হদিস পেলেন বিজ্ঞানীরা। |