মানেসরে মারুতির কারখানা খুললে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় হরিয়ানা সরকার। কারখানায় আপাতত কিছু দিন পুরোদস্তুর পুলিশ পাহারা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সে ক্ষেত্রে কারখানা খুললে প্রাথমিক ভাবে অন্তত ৫০০ পুলিশকর্মীর উপস্থিতিতে সেখানে গাড়ি তৈরি হবে।
গত ১৮ জুলাই কারখানায় হিংসাত্মক ঘটনার জেরে মারুতির এক উচ্চপদস্থ কর্তার মৃত্যু হয়। পদস্থ কর্তা ও কর্মী মিলিয়ে আহতের সংখ্যা প্রায় ১০০। গত ২১ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই হরিয়ানা সরকার পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেয়। এত দিনও অবশ্য কারখানায় পুলিশি পাহারা রয়েছে। হরিয়ানা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার অনিল কুমার বলেছেন, কারখানার পুর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব তাঁরা নিয়েছেন। এবং এলাকাটি এখন নিরাপদ।
তবুও সংশ্লিষ্ট মহলে এ নিয়ে আশঙ্কা থাকায় আগামী দিনেও পুলিশ পাহারা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, “একজন এসএসপি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি ব্যাটেলিয়নকে সেখানে মোতায়েন করা হবে।” তবে কতদিন এই পাহারা থাকবে, সে নিয়ে বিশদে কিছু জানাতে চাননি তিনি। তিনি বলেন, “কারখানা খোলার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত ওই পুলিশ বাহিনী সেখানে থাকবে।” কারখানা খোলার ব্যাপারে আগামী কাল, সোমবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছেন মারুতি কর্তৃপক্ষ। পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি সংস্থা নিজেও গোটা ঘটনার তদন্ত করেছে। কারখানার অবস্থাও তারা খতিয়ে দেখছে। সংস্থার সিইও (প্রশাসন) এস ওয়াই সিদ্দিকি জানিয়েছেন, সেই সব রিপোর্ট এবং পুলিশের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তবেই কারখানা খোলার ব্যাপারে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। সোমবার সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন মারুতি কর্তৃপক্ষ। |