অল্প বৃষ্টির কারণে রাজ্যের বিস্তীর্ণ কৃষি এলাকার খরা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের সার্বিক গ্রামোন্নয়ন নিয়ে আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার সঙ্গে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনার পাশাপাশি চলতি কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়ে মুন্ডার সঙ্গে কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় যোজনা পর্ষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়ারও। বৈঠকে রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সহযোগিতার অভাব হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, সম্প্রতি মাওবাদীর পাশাপাশি কতগুলি উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠনও সক্রিয় হয়ে উঠেছে লাতেহার জেলায়। জঙ্গি দমনে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালু থাকলেও ক্রমবর্ধমান উগ্রপন্থার মোকাবিলায় উন্নয়নকেই প্রধান অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরতে চায় জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রের তথ্য অনুসারে লাতেহার জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে এখনও কোনও পরিকাঠামো গড়ে ওঠনি। অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভাল পথঘাটও নেই। পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ। |
গড়ে ওঠেনি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাধ্যমিক স্তরের স্কুলের অভাবে শিক্ষার অগ্রগতিও প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি। অনুন্নয়নের এই ছবিই গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কারণ। ওই ক্ষোভ থেকেই একাংশকে সমাজের বিপথগামী করেছে বলে একান্ত আলাপে স্বীকার করছেন প্রশাসনের পদস্থ অনেকেই।
আজ দুপুরে রাঁচি থেকে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তায় লোহারডাগার উদ্দেশ্যরওনা দেন সপার্ষদ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ। লোহরডাগা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির পর্যালোচনা করেন। পরে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সিমারডিহি, হিড়ি, বীরকুর প্রভৃতি এলাকায় চলতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে যান রমেশ। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় গড়ে ওঠা সিমারডিহি অঞ্চলের মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত ৬৪ একর জমির উপরে আম বাগানটিও ঘুরে দেখেন রমেশ।
জাতীয় গ্রামীণ কর্ম সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আওতায় শুরু হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের রিপোর্ট দেখে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিশেষ করে একই ভাবে ইন্দিরা আবাস যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার কাজ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। |