|
|
|
|
অচলাবস্থা কাটাতে চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাথাভাঙা |
বৃহস্পতিবারের মধ্যে গরহাজির চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে মঙ্গলবার একযোগে গরহাজির সমস্ত চিকিৎসককে ফোনে ওই নির্দেশের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তথা মাথাভাঙার এসিএমওএইচ লিখিতভাবেও ওই নির্দেশ সম্বলিত চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারেও হাসপাতালে কাজে যোগ না দেওয়ায় ৯ জন চিকিৎসককে ফোনে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলেন ভারপ্রাপ্ত সুপার। মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তথা এসিএমওএইচ শঙ্করলাল ঘোষ বলেন, “হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক করার যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে। অনুপস্থিত ৯ জন কে চিকিৎসককেই এদিন ফোনে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সকলকে চিঠি দিয়েও বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করছি। তার পরেও কেউ কাজে যোগ না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হাসপাতাল ও প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, শুক্রবার চিকিৎসায় গাফিলতিতে উপল সাহা নামের একজন রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ওই দিন ভারপ্রাপ্ত সুপার সহ অন্তত তিন জন চিকিৎসকও নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ। শনিবার ও রবিবারেও একই ঘটনার জেরে আরও বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে একজন চিকিৎসক ইস্তফা দেন। একযোগে ছুটিতে যান আরও ১১ জন চিকিৎসক। এ ছাড়াও আরও কয়েকজন গরহাজির থাকায় রবিবার মোট ১৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে মাত্র ৪ জন কাজে যোগ দেন। সোমবার পরিস্থিতি সামলাতে মাথাভাঙার মহকুমা শাসকের দফতরে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনের উপস্থিতিতে বৈঠক করেন পুলিশ,পুরসভা, প্রশাসনের কর্তারা। তার পরেও অবশ্য অর্ধেক চিকিৎসক গরহাজির থাকায় পরিষেবা নিয়ে ভোগান্তি চলছেই। মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় মহকুমা শাসক ছিয়ং পালজার বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা কাজে যোগ না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই ব্যাপারে তাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন।” মাথাভাঙার বিধায়ক বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে তা প্রশাসন খতিয়ে দেখছে। কিন্তু যেভাবে পরিষেবা বন্ধ করে চিকিৎসকেরা একযোগে ছুটি নিয়েছেন তা সমর্থন করা যায় না। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য চিকিৎসকেরা কাজে যোগ না দিলে সুপার কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আমরা সুপারকেই সমর্থন করব। তার পরেও অবশ্য রোগী ও তাঁর পরিবারের সকলে আশ্বস্ত নন। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, “শল্য, চোখ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ না থাকায় সমস্যা বেড়েছে। রেডিওলজিষ্ট না থাকায় ইসিজি, এক্স রে রিপোর্ট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এমনকী, গত কয়েকদিন ধরে পরিষেবা না মেলায় অনেকে রোগীকে ছুটি করিয়ে বাইরে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হচ্ছেন।” |
|
|
|
|
|