জিন্স পরলেই মেয়েদের মুখে অ্যাসিড।
জিন্স পরলে এবং ওড়না ছাড়া বেরোলেই মুখে অ্যাসিড। ২০ অগস্ট থেকেই জারি হচ্ছে এই নয়া ফরমান।
রাঁচি শহরের বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের হুমকি-পোস্টার ঘিরে ছড়াল আতঙ্ক। অল্পবয়সী মেয়েদের মোবাইল ব্যবহার এমনকী তাদের বাইরে বেরনো নিষিদ্ধ করে সম্প্রতি হইচই ফেলে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বাগপতের একটি গ্রামের খাপ পঞ্চায়েত। এ বার মেয়েদের জিনস পরা নিয়ে এই ‘তালিবানি ফরমান’ ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
‘ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি সঙ্ঘ’ নামে একটি সংগঠনের নামে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। এমনকী সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের গেটে এবং জনবহুল অ্যালবার্ট এক্কা চকেও পড়েছে পোস্টার। |
পুলিশের বক্তব্য, এই সংগঠনের নাম তারা এই প্রথম শুনল। রাঁচি (শহর) পুলিশ সুপার বি শুক্ল জানিয়েছেন, শহরের জনবহুল তিন জায়গায় ওই হুমকি-পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ওই নামে আদৌ কোনও সংগঠন শহরে আছে বলে পুলিশের জানা নেই। আতঙ্ক ছড়াতে একটি চক্র ওই কাজ করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তবে ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। দেশে মেয়েদের পোশাক নিয়ে ফতোয়া যেমন নতুন ঘটনা নয়, তেমন মেয়েদের উপরে অ্যাসিড ছোড়ার ঘটনার হারও উদ্বেগজনক। উত্তর ভারতে মহিলাদের উপর খাপ পঞ্চায়েতের নানা বিধিনিষেধ ছাড়াও কখনও মণিপুরে স্কুলে-কলেজে হাঁটুর উপরে স্কার্ট না পরা বা ‘অশালীন’ পোশাক না পরার ফতোয়া জারি করেছে ছাত্র সংগঠন, কখনও পশ্চিমবঙ্গে শাড়ির বদলে শালোয়ার-কামিজ পরায় স্কুলে শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছে পরিচালন কমিটি।
রাঁচিতে কাঁচা হাতের লেখা ওই হুমকি পোস্টারে বলা হয়েছে, ‘২০ অগস্ট থেকে রাঁচি শহরে মেয়েদের জিন্স পরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। কোনও মেয়ে যদি জিন্স পরে এবং ওড়না ছাড়া পথে নামে, তবে তার উপরে অ্যাসিড-হানা হবে।’ পুলিশ ওই সব পোস্টারকে খুব গুরুত্ব দিতে না চাইলেও পরে ঝুঁকি নিতে পারেননি উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। রাজনৈতিক দলগুলিও তদন্তের জন্য চাপ দেয়। |