দিনদুপুরে কর্মীদের মারধর করে রূপনারায়ণপুরের একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার অফিসে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে যায় সালানপুর থানার পুলিশ। চলে আসেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়। দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। শনিবারই এক বৈঠকে অপরাধ দমনে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড পুলিশ। তার পরেই এই ঘটনা ঘটায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুরে ডাবর মোড় সংলগ্ন আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোডে অফিসটিতে ভরদুপুরে এই ঘটনা ঘটায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। ঘটনার সময়ে ওই বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থার অফিসটির ঘটনার সময়ে দায়িত্বে ছিলেন তনুশ্রী সরকার। তিনি পুলিশকে জানান, অফিসের এক কোনায় লোহার গ্রিল দেওয়া একটি ঘেরা জায়গা রয়েছে। সেখানে প্রায় ১৪টি টাকা বোঝাই ব্যাগ রাখা ছিল। দুপুরে জনা ছয়েক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হুড়মুড়িয়ে অফিসে ঢুকে পড়ে। ওই সময়ে অফিসে স্থায়ী তিন কর্মী ছাড়াও জনা দশেক এজেন্ট ছিলেন। দুষ্কৃতীরা প্রথমে এজেন্ট ও কর্মীদের বন্দুক দেখিয়ে ঘরের একটি কোনায় নিয়ে যায় ও তাদের কাছ থেকে মোবাইলগুলি কেড়ে নেয়। এর পরে তারা তনুশ্রীদেবীর কাছে লোহার গ্রিলের চাবি চায়। |
তিনি চাবি দিতে অস্বীকার করলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে তাঁর কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। এর পরে তালা খুলে টাকার ব্যাগগুলি নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা একটি ছাই রঙের বড় গাড়িতে চেপে এসেছিল। তারা রূপনারায়ণপুর লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে পালিয়ে যায়। যে অফিসে লুঠপাট হয়েছে সেখানকার কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা সকলেই হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল।
শনিবারই আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ ও ঝাড়খণ্ডের তরফে ছিলেন ডিআইজি (বোকারো) লক্ষ্মণপ্রসাদ সিংহ ও ডিআইজি (দুমকা) দদনজী শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন। দুই রাজ্যের পুলিশ কর্তারা যৌথ বিবৃতিতে দাবি করেন, সীমান্ত এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়িয়ে দুই রাজ্যের সীমানায় দুষ্কৃতী অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে এবং যৌথ অভিযান চালু হবে। বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই লুঠপাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরা হবে। ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী থানাগুলিকেও খবর দেওয়া হয়েছে।” |