খেলা
হাতেখড়ির টেবল টেনিস
টেবিল ঘিরে খুদে শিক্ষার্থীদের ভিড়। কোচেদের কাছে ওরা শিখছিল টেবল টেনিসের অ আ ক খ। সম্প্রতি বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এবং হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাবে বসেছিল টেবল টেনিসের ‘সামার কোচিং ক্যাম্প’। এক মাসের এই প্রশিক্ষণ শিবিরের পর প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র।
বিশ্বকল্যাণ সঙ্ঘ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিল পার্থ মুখোপাধ্যায়। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র পার্থ চার বছর টেবল টেনিস শিখছে। খুদে এই শিক্ষার্থীর কথায়, “এখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসে সার্ভিসটা অনেক ভাল মারতে শিখেছি।”
বি গার্ডেন ক্রীড়া সমিতিতে সবে টেবল টেনিস শিখতে ভর্তি হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া সৃজিতা গুপ্ত। দানেশ শেখ লেন থেকে মা মৌসুমী গুপ্তর সঙ্গে টেবল টেনিস শিখতে এসেছিল ছোট্ট মেয়েটি। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র অমিত দত্ত কিংবা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বিজয়লক্ষ্মীরা টেবল টেনিস শেখে হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাবে। হাওড়া শিক্ষা সদনের ছাত্রীটি বলল, “আগে ফোরহ্যান্ড মারতে অসুবিধা হত। সামার ক্যাম্পে এসে সমস্যাটা কেটেছে। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।”
ছবি: রণজিৎ নন্দী
এই প্রথম বিটিটিএ-র গ্রীষ্মকালীন কোচিং ক্যাম্প হল হাওড়ায়। জেলার পাঁচটি ক্লাব থেকে অংশ নিল সাত থেকে ১২ বছরের ১৫ জন শিক্ষার্থী। হাওড়া স্পোর্টিং, বিশ্বকল্যাণ সঙ্ঘ, বি গার্ডেন ক্রীড়া সমিতি ছাড়াও শিক্ষার্থীরা এসেছিল রামকৃষ্ণ স্পোর্টিং ক্লাব ও অন্নপূর্ণা ব্যায়াম সমিতি থেকে। প্রশিক্ষক ছিলেন দুই কোচ শ্যামল দত্ত ও দেবতনু ভাট। শ্যামলবাবু বললেন, “একেবারে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে। তাই বলের ওপর চোখ রাখা, ব্যাট ধরা, ফুটওয়ার্ক ঠিক রাখা থেকে হাল্কা ফিজিক্যাল ট্রেনিং, সবাইকে হাতে ধরে শেখানোর চেষ্টা করেছি। খুব উৎসাহ নিয়ে ওরা অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতিদিন ক্যাম্পে এসেছে।”
হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট টেবল টেনিস ও বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনরও যুগ্ম সচিব সিদ্ধার্থ ঘোষ বললেন, “২৭ বছর ধরে চলছে বিটিটিএ-র এই সামার কোচিং ক্যাম্প। এই শিবির থেকেই উঠে এসেছেন পৌলোমী ঘটক, মৌমা দাসের মতো খেলোয়াড়রা। এর আগে প্রতি বছর ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে এই শিবির বসত। এ বারেই প্রথম হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতা মিলিয়ে সাতটি কেন্দ্রে হল গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণ শিবির।”
ক্ষুদিরামে হয় সমাপ্তি পর্বের অনুশীলন। বিটিটিএ-র ওয়েবসাইট প্রকাশ করেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। এই অনুষ্ঠানেই অন্য সব শিবিরের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাওড়ার শিক্ষার্থীদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.