খয়রাশোলের ভবানীগঞ্জ নিম্নবুনিয়াদী স্কুল চত্বরে কোনও নলকুপ না থাকায় পানীয় জলের জন্য সমস্যা হচ্ছিল পড়ুয়াদের। সমস্যা ছিল মিড-ডে মিল রান্নার ক্ষেত্রেও। প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে স্কুল চত্বরে সম্প্রতি একটি নলকূপ বসেছে। কিন্তু সেটি গভীর নলকূপ না হওয়ায় সমস্যা মেটেনি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। এমন কী ওই আগভীর নলকূপ বসানোর সময় বাধাও দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯৭ জন ছাত্র-ছাত্রী এই স্কুলে আছে। নতুন নলকূপ বসানোর আগে ও স্কুলে মিড-ডে মিল রান্নার জন্য পাশের উচ্চ বিদ্যালয়ের গভীর নলকূপের উপরেই নির্ভর করতে হত এই স্কুল কর্তৃপক্ষকে। বর্তমানেও তাই। প্রধান শিক্ষক অমল ঘোষ বলেন, “স্কুলের জন্য একটি গভীর নলকূপের দাবি ছিল। ৪০-৪৫ ফুট গভীরতার একটি নলকূপ বসানো হয়েছে। প্রথমত এই নলকূপগুলিকে কিছু দিন পরেই খারাপ হয়ে যেতে দেখেছি। দ্বিতীয়ত এই জল পানের যোগ্য কি না সেটা পরীক্ষিত নয়। তবে এই নলকূপের জল পান না করলেও বাকি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।” প্রায় একই বক্তব্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য চায়না বাউড়িরও। তিনি বলেন, “শুধু স্কুল নয় পানীয় জলের সমস্যা এই গ্রামের সর্বত্রই। যথেষ্ট সংখ্যায় নলকূপ থাকলেও তার মধ্যে সিংহভাগই অগভীর এবং বেশ কিছু নলকূপের জল এলাকার মানুষ পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করেন না। অথচ গভীর নলকূপ বসানো হচ্ছে না।” খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের সমীর রায় অবশ্য ওই দাবি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “শুধু মাত্র ওই গ্রামে গভীর নলকুপের বড় গাড়ি ঢোকাতে অসুবিধার জন্যই এ কাজ করা যায়নি। বার তিনেক চেষ্টা করে বিফল হয়ে শেষ পর্যন্ত স্কুলে ৭০ ফুট গভীরতার নলকূপ বসার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” |