টিকল না প্রেসিডেন্টের ‘রক্ষাকবচ’।
শীর্ষ আদালতের রায়ে ফের অনিশ্চিত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ভবিষ্যৎ। শুক্রবার পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইফতিকার মহম্মদ চৌধুরির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পার্লামেন্টের দুই কক্ষে পাশ হওয়া ‘আদালত অবমাননা আইন২০১২’ সংবিধানবিরোধী। কারণ সেখানে আদালতের ক্ষমতা কমিয়ে প্রশাসনের কিছু ব্যক্তিকে অতিরিক্ত ক্ষমতা বা রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে, যা পাকিস্তানের সংবিধানের পরিপন্থী। তাই নতুন আইনের বদলে ২০০৩ সালে সংশোধিত এবং এত দিন ধরে কার্যকর থাকা আদালত অবমাননা আইনকেই মানতে হবে।
এই রায়ের ফলে জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির পুরনো মামলা ফের চালু করার আদালতের নির্দেশ মানতে কার্যত বাধ্য হতে পারেন নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরফ। নইলে পূর্বসুরি ইউসুফ রাজা গিলানির মতো তিনিও আদালত অবমাননার দায়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব খোয়াতে পারেন। প্রসঙ্গত, পাঁচ দিন পরেই জারদারির বিরুদ্ধে ফের মামলা চালুর বিষয়টি শীর্ষ আদালতে ওঠার কথা।
গিলানি প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর কিছু দিন পরেই প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষ স্তরের মন্ত্রীদের ‘বাঁচাতে’ আদালত অবমাননা আইন নিয়ে নতুন একটি প্রস্তাব পাশ করেছিল সরকার। সেখানে এমন কিছু রক্ষাকবচ ছিল যাতে প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি আদালতকে ‘এড়িয়ে’ যেতে পারেন। জুলাই মাসের প্রথমে সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে জারদারি ঘোষণা করেন, আদালত অবমাননা সংক্রান্ত পুরনো আইন বাতিল করে নতুন আইন কার্যকর হল।
শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানায়, কোনও আইন সংবিধান মেনে তৈরি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার ও প্রয়োজনে বাতিল করার অধিকার তাদের আছে। সেই নিয়মেই নতুন আইনটি পর্যালোচনা করে তা বাতিল করা হয়। |