কলেজে সংঘর্ষ, জখম পাঁচ জন |
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) এবং এসএফআই কর্মী-সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের দক্ষিণ বারাসত কলেজে। জখম হন ৫ জন। তাঁদের জয়নগর পদ্মেরহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। তবে, রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষই এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ কলেজের ফর্ম দেওয়ার কাউন্টারের পাশের একটি জায়গায় বেঞ্চ পেতে এসএফআই কর্মী-সদস্যেরা ভর্তি সংক্রান্ত কাজ করছিলেন। সেই সময়েই দু’পক্ষের গোলমাল বাধে। এসএফআই নেতা অপূর্ব প্রামাণিকের অভিযোগ, “কলেজে ওই জায়গায় বসে সব সংগঠনই কাজ করে। কিন্তু ওখানে বসতে বাধা দিয়ে হঠাৎ টিএমসিপি-র লোকজন আমাদের কর্মীদের মারধর করে। বেঞ্চ তুলে মেরে এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিটের সভাপতি চিরঞ্জীব সর্দার। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “এসএফআইয়ের ছেলেরা কাউন্টারে ঢুকে ফর্মও তুলছিল। প্রতিবাদ করায় ওরাই আমাদের কর্মীদের মারধর করে। আমাদের দু’জন জখম হন। এসএফআইয়ের জখমদের দেখতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “টিএমসিপি কলেজে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। পুলিশের সামনেই ওরা আমাদের সংগঠনের ছেলেদের মেরেছে। পুলিশ নীরর দর্শক ছিল।” জয়নগর থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কলেজে গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
|
‘অবৈধ’ নির্মাণ নিয়ে গোলমাল |
অবৈধ ভাবে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভবন নির্মাণ করছে, এই অভিযোগ তুলে দিন কয়েক আগেই ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উস্তির রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার ওই ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংস্থার শ্রমিকদের গোলমাল বাধল। দুই শ্রমিককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে নিরাপত্তার দাবিতে দুই পুলিশকর্মী এবং সংস্থার ইনচার্জকে মিনিট কুড়ি ঘেরাও করেন শ্রমিকেরা। পরে উস্তি থানার ওসি বিজয় ঘোষ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একটি নিকাশি খাল এবং সংলগ্ন পুকুরের একাংশ ভরাট করে ভবন নির্মাণের কাজ করাচ্ছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এর ফলে, চাষাবাদে সমস্যা হবে। সংস্থার শ্রমিকেরা গ্রামের মহিলাদের কটূক্তিও করছেন বলে অভিযোগ। সংস্থার ইনচার্জ তপন সর্দার সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “নিকাশি খাল বা পুকুর-ভরাটের অভিযোগ মিথ্যা। শ্রমিকেরা নিরাপত্তা এবং তাঁদের উপরে হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন ঘেরাও করেন। তাঁরা কেউ মহিলাদের কটূক্তি করেন না। ওই গ্রাম এবং পাশের গ্রামের অনেকেই এই সংস্থায় নিরাপত্তা ও অন্য কাজ করেন।” মহকুমাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
ভিন্ রাজ্যে মৃত্যু তরুণীর |
তামিলনাড়ুতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে হাসনাবাদের ঢালিখালি-বিশপুর গ্রামের এক তরুণীর। ওই তরুণীর পরিবারের লোকের অভিযোগ, লক্ষ্মী দাসকে (২১) খুন করেছে তাঁর স্বামী। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলতে পারছে না পুলিশ। তরুণীর পরিবারের লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে লক্ষ্মীর স্বামী তপন দাসের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বছর ছয়েক আগে তপনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সন্দেশখালির কালিনগর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মীর। তাঁদের দুই সন্তান আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে অতিরিক্ত পণের দাবিতে লক্ষ্মীর উপর নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়ির লোক। এ দিকে, আয়লার পর সন্দেশখালিতে কাজ না পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লি চলে যান তপন। বছর খানেক আগে কাজের জন্য তাঁরা তামিলনাড়ু যান। সেখানে একটি গেঞ্জি কারখানায় দু’জনেই কাজ করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই কারখানার শ্রমিকেরা মোবাইলে লক্ষ্মীর বাবা শ্রীদাম দাসকে মেয়ের মৃত্যুর খবর দেন। শ্রীদামবাবুর অভিযোগ, তপন লক্ষ্মীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গলায় ফাঁস দিয়ে দেহ ঝুলিয়ে পালিয়েছে। মেয়ের মৃতদেহ আনার জন্য তামিলনাড়ু গিয়েছেন শ্রীদামবাবু। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর কাকা হরেকৃষ্ণ দাস হাসনাবাদ থানায় গোটা ঘটনা জানিয়ে তপনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল তামিলনাড়ু হওয়ায় তাদের বিশেষ কিছু করার নেই। অভিযুক্ত তপন দাস গ্রামে ফিরলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
অনাস্থা ভোটে ‘টাই’ হওয়ায় টসে জিতে প্রধান হলেন তৃণমূল নেতা লক্ষ্মণ অধিকারী। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্দেশখালি-২ ব্লকের দুর্গামণ্ডপ পঞ্চায়েতে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান মহকুমাশাসক আনন্দ সরকার। ওই পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৪। ২০০৮-এর নির্বাচনে সিপিএম ৬টি, তৃণমূল ৬টি, সিপিআই এবং নির্দল প্রার্থীরা একটি করে আসনে জয়ী হন। নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে প্রধান হয়েছিলেন সিপিএমের রামকৃষ্ণ মণ্ডল। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনে তৃণমূল। সমর্থন করেন দুই সিপিএম সদস্য। গত ৪ জুলাই অনাস্থার ভোটাভুটিতে ৮-৬ ভোটে হেরে প্রধান পদ থেকে অপসারিত হন রামকৃষ্ণবাবু। বৃহস্পতিবার ছিল প্রধান নির্বাচন। অনাস্থায় তৃণমূলকে সমর্থন করা সিপিএমের দুই পঞ্চায়েত সদস্য ফের দলে ফিরে আসায় উত্তেজনা ছড়ায়। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় সকাল থেকে এলাকা ছিল পুলিশে ছয়লাপ। দুপুরে ভোটাভুটির সময় সিপিএমের প্রধান পদপ্রার্থী ছিলেন অচর্না মণ্ডল। তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন লক্ষ্মণ অধিকারী। ভোট গণনায় দেখা যায় দুই প্রার্থীই ৭টি করে ভোট পেয়েছেন। শেষে টসের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচিত হন লক্ষ্মণবাবু। বিদায়ী প্রধান রামকৃষ্ণবাবু বলেন, “দলের যে দুই সদস্য অনাস্থায় তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন তাঁরা দলে ফিরে আসায় তাঁদেরই এক জনকে প্রধান পদে প্রার্থী করা হয়েছিল। অনুমান, আমাদের দলেরই কেউ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। দল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।” বর্তমান প্রধান লক্ষ্মণ অধিকারীর বক্তব্য, “উন্নয়নের স্বার্থে সিপিএমেরই একজন আমাকে ভোট দিয়েছেন।”
|
ইছামতী নদীতে মৃতদেহ উদ্ধার |
এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বনগাঁ শহরে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ইছামতি নদীতে ওই মৃতদেহটি ভাসতে দেখেন। পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা ওই দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বয়স আনুমানিক ষাট। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মৃতের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
|
গোসাবার হরিণভাঙা নদীর বিহারি খাল থেকে অপহৃত তিন মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দিল জলদস্যুরা। সকলেই সুস্থ আছেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে পুলিশ। |