দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পুড়শুড়া থেকে ডিহিভুরসুট প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তাটি। বর্ষায় পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দ আরও বেড়েছে। ফলে, ওই রাস্তা যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি তুলেছেন বাস-মালিকেরা।
রাস্তাটির এক দিকে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর। অন্য দিকে তারকেশ্বর। মোট দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। তার মধ্যে পুড়শুড়া থেকে ডিহিভুরসুট প্রায় ৮ কিলোমিটার অংশেরই সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা। ওই রাস্তায় যেমন তারকেশ্বর, হাওড়া এবং আরামবাগের মধ্যে দূরপাল্লার বাসগুলি চলে, তেমনই চলে ট্রেকার এবং ছোট বাসও। কিন্তু বেহাল রাস্তার কারণে গত ২০ জুলাই থেকে ওই রাস্তায় ট্রেকার এবং ছোট বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খালি দূরপাল্লার বাসগুলি যাতায়াত করছে। বাস-মালিকদের অভিযোগ, পুড়শুড়া থেকে ডিহিভুরসুট পর্যন্ত বেহাল রাস্তাটিতে গত ২০ বছরে সার্বিক ভাবে কখনও সংস্কার করা হয়নি। শুধু কিছু জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয়েছে। এখন রাস্তার এমনই অবস্থা, প্রতিদিন গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে। এই অবস্থায় গাড়ি চালানো দায়। রাস্তাটি মেরামতের দাবিতে গত মঙ্গলবার দূরপাল্লার বাস-মালিকদের পক্ষে পুড়শুড়ার বিডিও সম্রাট মণ্ডলের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ওই বাস-মালিকদের সংগঠনের সম্পাদক গৌতম ধোলে বলেন, “বিডিও জুলাই মাসের মধ্যে রাস্তাটির ভাঙা জায়গাগুলি মেরামতের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিডিও। সার্বিক সংস্কারের ব্যাপারেও তিনি উদ্যোগী হয়েছেন। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, জুলাই মাসের মধ্যে রাস্তাটি মেরামত না হলে ১ অগস্ট থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাস চালানো বন্ধ করে দেওয়া হবে।” বিডিও বলেন, “পূর্ত (সড়ক) দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁরা শীঘ্রই কাজ শুরু করবেন।” আরামবাগ মহকুমা পূর্ত (সড়ক) দফতরের সহকারী বাস্তুকার সৌম্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই রাস্তাটি সার্বিক ভাবে সংস্কারের ওয়ার্ক-অর্ডার হয়ে গিয়েছে। সেই কাজ বর্ষার পরে শুরু করা হবে। আপাতত আগামী সপ্তাহে বোল্ডার-ঝামা ফেলে খানাখন্দগুলি মেরামত করে রাস্তাটি চলার উপযোগী করা হবে।” |