গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি জলদস্যুদের কবলে পড়তে হয় মৎস্যজীবীদের। কিন্তু বিপদের মধ্যে পড়লেও সেই খবর তৎক্ষণাৎ কাউকে জানানোর উপায় ছিল না। ফলে প্রভূত ক্ষতির মুখে পড়তেন মৎস্যজীবীরা। এমনকী বহু ক্ষেত্রে জলদস্যুদের হাতে অপহরণ ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। মৎস্যজীবীদের এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র ও রাজ্য। তাদের যৌথ উদ্যোগে সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার মৎস্যজীবীদের হাতে তুলে দেওয়া হল বিপদে পড়লে খবর পাঠানোর জন্য বিপদ সঙ্কেত প্রেরক যন্ত্র ‘ড্যাট’ (ডিস্ট্রেস অ্যালার্ট ট্রান্সমিটার)। |
কাকদ্বীপের মৎস্যবন্দরে সোমবার বিকেলে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীদের হাতে ওই যন্ত্র তুলে দেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা। সুব্রতবাবু জানান, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে প্রায়ই বিপদের মুখে পড়েন মৎস্যজীবীরা। এ বার থেকে কোনও বিপদের সম্মুখীন হলে এই যন্ত্রের মাধ্যমে তা উপকূল রক্ষীবাহিনীর কাছে পৌঁছে যাবে। জানা যাবে মৎস্যজীবীদের ট্রলার সমুদ্রের কোথায় অবস্থান করছে। তা জানার পরে উপকূল রক্ষী বাহিনীর পক্ষে ওই ট্রলার ও মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করা সহজ হবে।
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ হাজার টাকা দামের ওই যন্ত্রটি বিনামূল্যে সরকারি নথিভুক্ত ট্রলারের মৎস্যজীবীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই যন্ত্র ব্যবহারের জন্য ৫০০ জন মৎস্যজীবীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যন্ত্র থেকে মূলত যে সব বিষয়ে বিপদ সঙ্কেত পাঠানো যাবে সেগুলি হল ট্রলারে আগুন লাগলে, ট্রলার ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলে, জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়াও আরও নানা কারণে।
পার্থবাবু বলেন, “এলাকার মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবিগুলি আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী জেলার প্রতিটি ব্লকে হিমঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে চাষি এবং মৎস্যজীবীরা উপকৃত হবেন।” |