টুকরো খবর |
হরিয়ানায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ছায়া এ বার হরিয়ানাতেও। ওই রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অধিগৃহিত কৃষিজমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে কংগ্রেস-শাসিত হরিয়ানায় এই আন্দোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভা সাংসদ কে ডি সিংহকে। গত কাল সোনিপথ, বড়খালসা ও ফতেহাবাদ জেলার গোরক্ষপুরে তিনটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তিনি। তৃণমূল সাংসদের কথায়, “হরিয়ানা সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতি কৃষকবিরোধী। ওই রাজ্যের একাধিক এলাকায় কৃষকদের ভয় দেখিয়ে জমি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সেই অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরতের দাবি জানাবে হরিয়ানা সরকারের কাছে।” সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে আন্দোলনের মাধ্যমেই পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক জমি ফিরে পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিয়ানায় দু’বছর পরেই বিধানসভা নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখে ওই রাজ্যে জমি আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে সক্রিয় তৃণমূল। বিষয়টিকে শুধু হরিয়ানাতে আবদ্ধ রাখতেও চাইছেন না দলীয় নেতৃত্ব। কে ডি সিংহ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, হরিয়ানা সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতির বিরুদ্ধে সংসদে সরব হবেন। তাঁর কথায়, “তৃণমূল জোর করে অধিগ্রহণের বিপক্ষে। তাই হরিয়ানার কৃষকদের স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” কংগ্রেস নেতৃত্ব এত দিন জমি অধিগ্রহণে হরিয়ানা মডেলকে দেশের সামনে তুলে ধরতেন। কিন্তু সম্প্রতি মানেসরে মারুতি কারখানায় সংঘর্ষের পরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি শিবির। রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। এখন ইউপিএ-র অন্যতম শরিক তৃণমূল ফের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়ায় কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ল। একই সঙ্গে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের শেষ লগ্নে সংঘাত ছেড়ে কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে যে বোঝাপড়ার আবহ তৈরি হয়েছিল, সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। |
জেরায় সলমনের সংলাপ শোনাল খুনি
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
প্রিয় নায়ককে পর্দায় দেখে তাঁর মতো সাজতে, কথা বলতে বা কেরামতি দেখাতে গিয়েছে এমন ভক্ত অগুন্তি। কিন্তু সেই নায়কের সংলাপকে ‘হাতিয়ার’ করে কেউ খুন করেছে, এমন ঘটনা খুব একটা শোনা যায়নি। যদিও গত জুন মাসে এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছে মুম্বইয়ের বছর তিরিশের যুবক, মুনাফ আনসারি। একটি ক্যুরিয়র সংস্থার কর্মীকে খুন করে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিল মুনাফ। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর জানায়, সলমন খানের ‘ওয়ান্টেড’ ছবিতে নায়কের সংলাপ শুনেই এ কাজে ‘উদ্বুদ্ধ’ হয়েছিল সে। পুলিশকে জেরায় ওই সংলাপ (ম্যায়নে জো একবার কমিটমেন্ট কর দি, তো ফির ম্যায় আপনে আপকি ভি নহি সুনতা) শুনিয়েও দিয়েছে ওই সলমন ভক্ত। পুলিশ জেরায় জেনেছে, কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ মেটাতে হত মুনাফকে। সময়সীমা শেষ, হাতে টাকা নেই, অথচ ‘কথা দিয়েছে’ সময়েই ঋণ মেটাবে। তাই ডাকাতির পরিকল্পনা করে সে। গত ১১ জুন সকালে ‘মামাজি ক্যুরিয়র কার্গো’ সংস্থার অফিসে গিয়ে জিতু সদারঙ্গনি (২২) নামে এক কর্মীকে খুন করে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা নিয়ে পালায় মুনাফ। পুলিশ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মুনাফকে শনাক্ত করে। ২০ জুন তাকে গ্রেফতার করে মুম্বইয়ের ‘ক্রাইম ব্রাঞ্চ’এর অফিসাররা। ওই পুলিশ অফিসাররাই সম্প্রতি জানিয়েছেন, জেরায় খুনের কারণ জিজ্ঞাসা করতে সলমন খানের ওই সংলাপ শোনায় মুনাফ। তার বাড়ি তল্লাশি করে প্রিয় নায়কের সঙ্গে মুনাফের একটি ছবিও পেয়েছে পুলিশ। ‘দাবাং’ ছবির সেটে গিয়ে সলমনের সঙ্গে ছবিটি তুলিয়েছিল সে। খুনের ঘটনায় ক্যুরিয়র সংস্থার আর এক কর্মীকেও পুলিশ খুঁজছে। ঘটনার দিন থেকেই সে পলাতক। |
জঙ্গিদের গুলিতে জখম ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মণিপুরে আধা সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে দুই জওয়ান ও এক গ্রামবাসী জখম হলেন। গত কাল বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে।
আসাম রাইফেল্স সূত্রে খবর, উখরুল ও চান্ডেল জেলার সীমায়, খৈবু সেন্টারের কমিউনিটি হলে রান্না করছিল পিএলএ জঙ্গিরা। তখনই ৪টি গাড়ির কনভয় নিয়ে আসাম রাইফেল্স-এর জওয়ানরা সেখানে আসেন। জওয়ানদের গ্রামে ঢোকার খবর পেয়েই পিএলএ-র প্রায় ৫০ জন জঙ্গি কনভয়ের উপরে আক্রমণ করে। জওয়ানরাও পাল্টা জবাব দেন। দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষে গুলির লড়াই হয়। পালান গ্রামবাসীরা। টি মোসেল নামে এক গ্রামবাসীর শরীরে একাধিক গুলি লেগেছে। আসাম রাইফেল্স-এর দুই জওয়ানের হাত ও পায়েও একাধিক গুলি লেগেছে। তবে জঙ্গিদের তরফে হতাহতের খবর নেই। জঙ্গিদের মদত দেওয়ার গ্রামের এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
মেঘালয়ে জঙ্গি ও জওয়ানদের গুলির লড়াইয়ের মধ্যেই কম্যান্ডোদের চোখে ধুলো দিয়ে পালাল জিএনএলএ সংগঠনের এক এরিয়া কম্যান্ডার ফিলিপোর্ট সাংমা। পুলিশ জানায়, মেঘালয়ের উত্তর গারো পাহাড়ের দাবিংগ্রে এলাকায় আজ সকালে ফিলিপোর্ট ও তার সঙ্গীদের ঘিরে ফেলে কম্যান্ডোরা। দু’পক্ষে প্রায় এক ঘণ্টার লড়াইয়ের পরে ফিলিপোর্ট-সহ বাকি জঙ্গিরা জঙ্গলে পালিয়ে যায়। কোনও হতাহতের কোনও খবর নেই। |
বাড়িতে হামলা, শিশু-সহ গুলিবিদ্ধ ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
গুমলায় এক দল সশস্ত্র দুষ্কৃতীর আক্রমণে কাল রাতে একই পরিবারের এক শিশু, কিশোরী এবং বৃদ্ধা-সহ চারজন গুলিতে জখম হয়েছে। আহতদের রাঁচির একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আক্রমণের কারণ এবং এর পিছনে কারা আছে, তা নিয়ে রীতিমতো ধন্দে পড়েছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। পুলিশ জানিয়েছে, যে ভাবে ঘরের ছাউনি ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে, তা কোনও সাধারণ অপরাধীর পক্ষে সম্ভব নয়। ঘরের জিনিসপত্রও খোয়া যায়নি। গুমলা জেলার পুলিশ সুপার যতীন নারওয়াল ঘটনার পিছনে উগ্রপন্থী মদত থাকার সম্ভবনা খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক বিরোধের জেরেই এই আক্রমণ। পুলিশ জানায়, কাল রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পালকোট থানার মরুমকেলা গ্রামে। দুষ্কৃতী দলে ছিল প্রায় জনা পনেরো সশস্ত্র যুবক। সকলের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা। ওই বাড়িতে চড়াও হয়ে পরিবারের পুরুষদের নাম ধরে ডাকে দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কায় প্রাণ ভয়ে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় পরিবারের তিন পুরুষ। এরই মধ্যে হাঁক ডাক করেও কোনও সাড়া না মেলায় দুষ্কৃতীরা ঘরের ছাউনি ভেঙে ভিতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হন সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা এবং পঞ্চাশোর্ধ্ব গৃহবধূ। গুলি লেগেছে আড়াই বছরের এক শিশুকন্যা এবং এক কিশোরীর হাতেও। |
মেঘালয়ে গ্রেফতার গারো জঙ্গি প্রধান
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মেঘালয় পুলিশের বিদ্রোহী ডিএসপি তথা গারো জঙ্গি সংগঠন, জিএনএলএর প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান চ্যাম্পিয়ন সাংমাকে আজ সরাকারিভাবে গ্রেফতার করল পুলিশ। আট মাস ধরে বাংলাদেশে আটক ছিলেন তিনি। তবে, তা রাজ্য পুলিশ সরকারিভাবে ঘোষণা করেনি। আজ ডিজি এন রামচন্দ্রণ জানান, উমক্রেম-পাইরদিয়া এলাকা থেকে মেঘালয় পুলিশ চ্যাম্পিয়নকে গ্রেফতার করেছে। আদালত তাকে ১৫ দিন পুলিশ হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর, ময়মনসিংহের হাওলাঘাট থেকে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন চ্যাম্পিয়নকে আটক করে। এর আগে, এ ভাবেই বাংলাদেশ থেকে মেঘালয় সীমান্তে আলফা চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া ও এনডিএফবি চেয়ারম্যান রঞ্জন দইমারিকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। |
গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গায় দণ্ডিত ২১
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
গোধরা কাণ্ডের পর দীপদা দরওয়াজা দাঙ্গায় এক পরিবারের ১১ জনকে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আজ দোষী সাব্যস্ত করল স্থানীয় আদালত। এঁদের মধ্যে এক পুলিশ অফিসারও রয়েছেন। অভিযুক্ত ছিলেন মোট ৮৩ জন। অন্য ৬১ জন আজ বেকসুর খালাস পান। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক প্রহ্লাদ গোসা এবং পুরসভার প্রাক্তন প্রধান দয়াভাই পটেল। তবে অভিযুক্ত ২২ জনকে খুন এবং ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। তাঁদের মধ্যে ২১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। ওই পুলিশকর্মীকে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ১ বছর কারাবাসের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। |
স্কুলবাসে রেলবাসের ধাক্কা, মৃত ৪ পড়ুয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • অমৃতসর |
|
কোট মেহতাব সিংহ গ্রামের কাছে রেলবাসের সঙ্গে স্কুলবাসের
ধাক্কায় প্রাণ গেল চার পড়ুয়ার। ছবি: এএফপি |
অরক্ষিত ক্রসিং পেরোনোর সময়ে রেলবাস স্কুলবাসকে ধাক্কা মারায় মৃত্যু হল চার পড়ুয়ার। মৃতদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। আহত হন রেলবাসের ১৯ জন যাত্রী। আজ ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতসর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কোট মেহতাব সিংহ গ্রামের কাছে। এ দিন ২৩ জন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে বাসটি স্কুলে যাচ্ছিল। রেলবাসটি বিয়াস স্টেশন থেকে গোণ্ডিওয়াল যাচ্ছিল। অরক্ষিত ক্রসিংয়ে স্কুলবাসটিকে ধাক্কা মারে রেলবাসটি। |
ট্রেনে ধাক্কা ট্রাকের, মৃত ২
সংবাদসংস্থা • রোহতক |
কিষাণ এক্সপ্রেসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিন জন। দিল্লি-রোহতক লাইনের আসাউন্দা স্টেশনের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। জিআরপি সূত্রে খবর, অরক্ষিত একটি ক্রসিংয়ে কিষাণ এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ট্রাকের। মৃতদের মধ্যে এক জনের নাম আশিস। কিষাণ এক্সপ্রেসের যাত্রী ওই ব্যক্তি রোহতকেরই বাসিন্দা। ট্রাকের চালকও মারা গিয়েছেন। তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। |
রেলের দেওয়াল ধসে মৃত বালিকা
সংবাদসংস্থা • ভুবনেশ্বর |
রেলের দেওয়াল ধসে মৃত্যু হল ১০ বছরের এক বালিকার। আহত আরও চার জন। ওড়িশার খুরদা রোড স্টেশনের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। পরে খুরদা রোড স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বাসিন্দারা। ব্যাহত হয়েছে হাওড়া-চেন্নাই রুটের ট্রেন চলাচল। |
|