নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক ভাবে দু’টি পাঠ্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আজ দিল্লিতে একটি আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজ এবং ইকোলজি ও এনভায়রনমেন্টের পাঠ্যক্রম শুরু করা হবে। বিহারের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন গৌরবের বিষয়টি মাথায় রেখে ওই এলাকায় একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম। তাঁর প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজগিরে ওই বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কিছু দেশ। স্থানীয় লোকেদের ক্ষোভ মিটিয়ে জমি অধিগ্রহণের কাজও প্রায় সেরে ফেলেছে বিহার সরকার। নীতীশ কুমার অধিগৃহীত জমিতে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু করতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন।
আজ বিতর্ক সভায় প্রশ্ন ওঠে বিহারের মতো রাজ্যে ওই প্রকল্পের সাফল্য ঠিক কতটা? ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অমর্ত্য সেনের মতে, “বিহারের অতীত গৌরব রয়েছে। প্রায় ছ’শো বছর ধরে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতের অন্যতম শিক্ষাকেন্দ্র হিসাবে গোটা বিশ্বের কাছে কদর ছিল। সে সময়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্ররা পড়তে আসতেন এখানে।” তাঁর কথায়, “প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন রাজবংশের উত্থানের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত ছিল পাটলিপুত্র তথা বিহার।” এই বিশ্ববিদ্যালয়ও আগামী দিনে সেই উন্নতির শিখরে পৌঁছবে বলেই মনে করেন অর্মত্য। সে সময়ে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়- সংলগ্ন প্রায় দু’শোটি গ্রাম ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত চাহিদা মেটাত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রীবৃদ্ধির ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নতি ঘটেছিল ওই গ্রামগুলিরও। আজ বিহারের ওই জেলাটিকে পিছিয়ে পড়া এলাকা হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। তাই বর্তমানে রাজগিরে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি হচ্ছে সেটির কয়েক কিলোমিটার বৃত্তে যে গ্রামগুলি রয়েছে সেগুলির সার্বিক উন্নতির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত সুগত বসুর মতে “এর ফলে ওই এলাকার শ্রীবৃদ্ধি হবে।” |