আমাদের চিঠি

গুরুত্ব পায়নি ঐতিহাসিক স্থান
কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত সাধনপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন রুকুনপুর গ্রাম। শিয়ালদহ-লালগোলা রেলপথের মুড়াগাছা স্টেশন থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। মুড়াগাছা বাজার থেকে বাঁ-দিকে বেঁকে একটি দক্ষিণমুখী রাস্তা সোজা চলে গিয়েছে গ্রামের ‘অন্তিম আশ্রম’ অবধি। সামনে মজা নদী। নদিয়ার ভৌগোলিক ইতিবৃত্ত অনুযায়ী আগে গঙ্গা এই পথেই প্রবাহিত হত। পরে দূরে সরে গিয়েছে। তাই শ্মশানও দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশ্রম বলতে যা বোঝায়, তার কোনও কিছুই নেই। একতলা দালান বাড়িটি কিছু দিন আগে সংস্কার করা হয়েছে। দুই পাশে দুটি ছোট ঘর। সাবেকি জীর্ণ চেহারার। মূল ভবনের সামনে যুক্ত আছে আয়তাকার লম্বা বারান্দা। ওঠানামার জন্য লম্বা সিঁড়ি।
জীর্ণ চেহারার ‘অন্তিম আশ্রম’।
নদিয়া জেলার প্রাচীন জন-ইতিহাসের অমূল্য উপাদানস্বরূপ এই ‘অন্তিম আশ্রম’ পুরাতত্ত্ব গবেষকদের কাছে তেমন গুরুত্ব পায়নি। এক মাত্র প্রখ্যাত নদিয়া গবেষক মোহিত রায় অকপটে এই ভবনটির গুরত্ব স্বীকার করে গিয়েছেন বিভিন্ন গ্রন্থে।
শোনা যায়, মুমূর্ষু কুলীন ব্রাহ্মণদের মৃত্যুর পূর্বে এখানে অসংখ্য স্ত্রী-সহ আনা হত এবং স্বামীর মৃত্যুর পর এখানেই স্ত্রীদের সতীদাহে জীবন অবসান হত। তাই এমন নাম।
‘অন্তর্জলি’ ও ‘সতীদাহ’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই ভবনটি ২০০২ থেকে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র রূপে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা খুবই প্রাসঙ্গিক সিদ্ধান্ত। তবে ভবনটি লোক-সংস্কৃতি গবেষক এবং পর্যটকদের আরও বেশি অভিনিবেশ দাবি করে।
ব্যাঙ্কের দুরবস্থা
বর্ধমান জেলায় কাটোয়া মহকুমায় কেতুগ্রাম থানায় অবস্থিত বর্ধিষ্ণু একটি গঞ্জ কান্দারা। এখানে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের একটি শাখা আছে। কয়েক লক্ষ সাধারণ মানুষ, দিনমজুর, পেনশন প্রাপক, বার্ধক্য ভাতা প্রাপ্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এই ব্যাঙ্কের ওপর নির্ভরশীল। দৈনিক কয়েক হাজার মানুষকে বিভিন্ন লেনদেনের জন্য এই ব্যাঙ্কটিতে আসতে হয়।
কিন্তু ব্যাঙ্কটির ‘নেই’ এর তালিকা দীর্ঘ। পর্যাপ্ত জায়গা নেই, লেনদেনের প্রয়োজনীয় কাউন্টার নেই, এটিএম-এর ব্যবস্থা নেই, বসার ও দাঁড়িয়ে কিছু লেখার জায়গা নেই, শৌচাগার নেই, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা ভিড়ে ঠাসা স্বল্প পরিসর জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কাজ সারতে বাধ্য হন। দিনের পর দিন ব্যাঙ্কের কাস্টমার সংখ্যা বাড়লেও উন্নত পরিষেবা দেওয়ার কোনও পরিকাঠামো নেই। ফলে দুর্ভোগ ও অসন্তোষ বাড়ছে।
ভাঙা সেতু
হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর ব্লকের মাজু অঞ্চলে অবস্থিত সন্তোষবাসী গ্রামে কৌশিকী ওরফে কানা নদীর সেতুটি তিন বছর যাবৎ ভেঙে পড়ে আছে। পঞ্চায়েত প্রধান, সভাপতি, সভাধিপতি, বিধায়ক ও সেচ দফতর সকলেই অবগত আছেন এই সেতুটির বিষয়ে। গ্রামবাসীরা লিখিত আবেদন করেছিলেন এটিকে মেরামত করার জন্য। কোনও কাজ হয়নি।
অথচ এই কানা নদীর পূর্বপাড়ে বিভিন্ন জায়গার মানুষজন পারপার করেন এই সেতুটির মাধ্যমে। নদীটির পশ্চিমপাড় মাজু অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র। মাজু রেলস্টেশন, দুটি হাইস্কুল, মাজু পাবলিক লাইব্রেরি, হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এবং শহরের সঙ্গে যোগাযোগের পাকা সড়ক। সেতুটি ভাঙার জন্য জরুরি অবস্থায় কোনও গাড়ি তাড়াতাড়ি যাতায়াত করতে পারে না। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, পঞ্চায়েত মন্ত্রী, এবং জেলা সভাধিপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করি। আপনাদের উদাসীনতায় তিন বছর অতিবাহিত হল। আবার নির্বাচন এসে গেল। আবার ভোট ভিক্ষে শুরু হবে। নতুন সরকার আসার পর আশা করেছিলাম যে এ বার বুঝি সেতুটির হাল ফিরবে। কিন্তু কিছুই হল না। আমাদের একান্ত অনুরোধ, আপনারা গ্রামের মানুষের অসুবিধে দূর করুন। মানবিকতার পরিচয় দিন। মানুষই আপনাদের পাশে থাকবে।
লেডিজ স্পেশাল
প্রতি দিন সন্ধে ৬.২৫ মিনিটে খড়গপুর লেডিজ স্পেশাল ট্রেনটি জনা পঞ্চাশেক মহিলা যাত্রী নিয়ে হাওড়া স্টেশন থেকে খড়গপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বাগনান স্টেশনের পর আর কোনও মহিলা যাত্রী ওঠেন না। প্রায়ই রেল পুলিশ কর্মী থাকে। কিন্তু ফাঁকা ট্রেনটিতে উঠতে মহিলারা ভয় পান। ওই গাড়িটির পঞ্চাশ শতাংশে পুরুষদের ওঠার অনুমতি দিলে উভয়েরই উপকার হয়। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.